এক কক্ষেই ২৮ ব্রান্ডের পণ্য

139

দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য ২৮টি ব্রান্ডের পণ্যের কারখানার সন্ধান মিলেছে হাটহাজারীর বালুর টাল এলাকায়। সেখানে তৈরি হয় বিদেশি ব্রান্ডের ৬টি মসলা, দেশিয় ব্রান্ডের ৫ প্রকার চা, ৪ প্রকার ঘি, ৩ প্রকার সয়াবিন ও সরিষার তেল, হালিম, পায়েস, ড্রিংকস, ঝাল মুড়ি, দাঁতের মাজনসহ আরও কত কি। তবে একটাও আসল ব্রান্ডের নয়। প্যাকেট দেখে বোঝার উপায় নেই পণ্যগুলো দেশি নাকি বিদেশি।
আসল নামে দিয়ে এখানে তৈরি হয় নকল ব্রান্ডের ভেজাল পণ্য। উন্নতমানের প্যাকেট করে বারকোড লাগিয়ে নামিদামি ও দেশি-বিদেশি এসব নিম্নমানের ভেজাল ও নকল পণ্যগুলো প্রতিনিয়ত বাজারজাত করা হয়। এসব পণ্য কিনে বরাবরই ঠকছেন হাজার হাজার ক্রেতা-বিক্রেতা।
গতকাল বুধবার (১৪ মে) হাটহাজারীর ধলই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বালুর টাল এলাকায় কারখানাটিতে অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমীন। এ সময় ইউএনও ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছোট একটি কক্ষে ২৮টিরও বেশি ভেজাল ও নকল পণ্যের মালামাল, প্যাকেট, স্টিকার এবং কেমিক্যাল জব্দ করেন।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তালা ভেঙে কারখানার ভিতরে প্রবেশ করেন তারা। এ কারখানায় দেশি-বিদেশি প্রায় ২৮টি ভেজল পণ্য উৎপাদন এবং প্যাকেটজাত করা হয়। এসব ভেজাল পণ্যের মধ্যে রয়েছে চা পাতা, মসলা, সরিষা তেল, হালিম মিক্সড, পায়েস মিক্সড, সয়াবিন তেল, ঘি, ড্রিংকস, দাঁতের মাজন, ঝাল মুড়ি ও বোম্বাই সুইটসসহ নানা দেশি-বিদেশি ব্রান্ডের নকল পণ্য। এছাড়া মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক হরেক রকম কেমিক্যাল দিয়ে বানানো হয় ড্রিংকস, বিভিন্ন আইটেমের ঘি। পুরনো নিম্নমানের চা এবং মসলাই মূলত প্যাকেট জাত করা হয় নানা ব্রান্ডের প্যাকেটে। মসলার বস্তা ইঁদুরে কেটে ফেলেছিল, সেগুলো বিদেশি ব্রান্ডের প্যাকেটে ভরা হয়েছিল বলে জানান ইউএনও রুহুল আমীন।
তিনি জানান, ফিরোজ নামে এক ব্যক্তির ছেলে আব্দুল এই ব্যবসা পরিচালনা করছিল। তার বাড়ি অন্য ইউনিয়নে। অভিযানকালে কারখানায় কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে জব্দকৃত নিম্নমানের মালামাল ও কেমিক্যাল ধ্বংস করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।