একে একে মারা গেল পরিবারটির সবাই!

43

বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে মোবাইল চার্জার বিস্ফোরণে তড়িতাহত হয়ে দগ্ধ হয়ে একে একে চারজন মারা গেল এক পরিবারের। নগরীর ডবলমুরিং থানার মোল্লাপাড়ায় গত ১৮ অক্টোবর এ ঘটনার পর সাত দিনে মারা যান ছেলে, বাবা, মেয়ে ও মা। তারা হলেন- আমির হোসেন (৩২), তার স্ত্রী খালেদা আক্তার (২৫), আট বছর বয়সী মেয়ে আনিকা ও পাঁচ বছর বয়েসী ছেলে আশরাফুল।
তাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার জালশুকা গ্রামে। নগরীর মোল্লা পাড়া নিরিবিলি আবাসিক এলাকার আলী ভূঁইয়া বাড়ি নামে একটি বাসায় তারা ভাড়া থাকতেন। খবর বিডিনিউজের
ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির হোসেন জানান, দুই তলা ভবনের নিচ তলায় গত ১৮ অক্টোবর রাতে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে দগ্ধ হয় ওই চারজন।
পরিদন সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচ বছর বয়েসী শিশু আশরাফুল মারা যায়। আর অন্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
ঢাকা মেডিকেলে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে আমির ও সন্ধ্যায় তার মেয়ে আনিকা মারা যায়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে খালেদাও মারা যান বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা জহির।
তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি গত ১৫ অক্টোবর মাছ ব্যবসায়ী আমির বাসাটিতে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে উঠেছিলেন। ১৮ অক্টোবর রাতে খালেদা মোবাইল চার্জার লাগানোর সময় শর্ট সার্কিট হয়ে চার্জারটি বিস্ফোরিত হয়ে চুলে আগুন লেগে যায়।
এসময় পাশে থেকে ছেলে আশরাফুল মাকে ধরতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে দগ্ধ হয়। এসময় আমির ও তার মেয়েও তাদের ধরতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে দগ্ধ হয় বলে আমরা জানতে পেরেছি। প্রতিবেশীরাই তাদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
জহির বলেন, ওই বাসাটিতে আগুনে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। শুধু বিদ্যুৎ সংযোগ লাইনগুলো পুড়ে গেছে। আশরাফুলের মৃত্যুর পর প্রতিবেশীরা ১৯ অক্টোবর তাকে চট্টগ্রামে দাফন করেছে। আর অন্যদের লাশ স্বজনরা ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেছে বলে জানান জহির।