একুশের বইমেলা মিলনমেলায় ছন্দপতন

61

এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম মাঠে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর জমতো পাঠক-লেখক সহ বইপ্রেমীদের আড্ডা। কিন্তু গতকাল সোমবারের বৃষ্টি এই মিলনমেলায় ঘটিয়েছে ছন্দপতন। সন্ধ্যার পর অমর একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে বৃষ্টির তান্ডব। ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৭টি প্রকাশনীর ১১০টি স্টলের অর্ধশতাধিকই ছিল বন্ধ। বেশ ক’টি স্টলে বই ভিজে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে ঢেকে রাখা হয়েছে ত্রিপলে।
বইমেলায় মানুষের উপস্থিতিও নগন্য। যারা এসেছেন, তাদের সংখ্যা সব মিলিয়ে জনাপঞ্চাশেক। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে ভিজে তাদের বই পছন্দ করার সঙ্গী হয়েছেন খোলা থাকা স্টলের বিক্রেতারা। খবর বাংলানিউজের
মেলা প্রাঙ্গণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের স্থাপিত মঞ্চে গতকাল সোমবার কোন অনুষ্ঠান হয়নি। মঞ্চ রক্ষায় নিয়োজিত কর্মীরা জানালেন, সকালে বৃষ্টির সাথে তুমুল বাতাস শামিয়ানা উড়িয়ে নিয়ে গেছে। মেলায় প্রবেশ পথের তোরণও ভেঙ্গে গেছে। এ কারণে অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।
মেলায় লেখক-পাঠকদের আড্ডাঘরও ছিল প্রায় ফাঁকা। সেখানে কথা হয় সম্মিলিত বইমেলার যুগ্ম সচিব লেখক-গবেষক জামাল উদ্দীনের সাথে। তিনি বলেন, শেষ সময়ে এসে বইমেলায় বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। এ কারণে জনসমাগমও কম। মেলা চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
বইমেলায় শৈলীর স্টলে নিজামপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান কাঞ্চনা চক্রবর্তীর বই ‘মুক্ত করো ভয়’ দেখছিলেন একজন পাঠক। সেখানে ছিলেন লেখিকা নিজেই। তাঁর বই কিনতে দেখে বেশ খুশিই হলেন তিনি, ক্রেতাকে দিলেন অটোগ্রাফ।
স্কুলশিক্ষক সাদমান আরিফ ছেলেকে নিয়ে বৃষ্টির মধ্যেও এসেছিলেন বইমেলায়। তিনি বলেন, ‘ছেলে বায়না ধরেছে মেলায় আসবে। তাই প্রকৃতির বৈরিতাও বাধা হতে পারেনি। সায়মন আরিফের জন্য সায়েন্স ফিকশন আর ছোট মেয়ের জন্য ছড়ার বই কিনলাম’।
অন্যপ্রকাশ, অক্ষরবৃত্ত, নন্দন, অনিন্দ্য ও অনন্যা প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মীরা জানান, কিছু বই বৃষ্টিতে ভিজেছে। মজবুত ছাউনি না থাকায় একটু দুর্ভোগে তো পড়তে হচ্ছে-এটা মানতেই হবে।