একাত্তরে বৌদ্ধ পল্লীগুলি ছিলো মুক্তিযোদ্ধাদের অভয়াশ্রম

111

[গত সংখ্যায় প্রকাশের পর ]
নেতাজী অর্থ সংগ্রহের জন্য প্রচারে বের হলেন। সভা করলেন নানা স্থানে। তাঁর একটা বড় গুণ ছিল অপরকে আপন করে নেওয়ার আন্তরিকতা। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে সর্বশ্রেণীর প্রবাসী ভারতীয়রা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। ভারতের ইতিহাসে সর্বপ্রথম এবারই মাতৃভূমিকে স্বাধীন করার জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বসবাসকারী কুড়ি লক্ষ ভারতবাসী তাঁর ডাকে সংঘবদ্ধ হয়েছিল।
সে সময় বাঙালিদের মধ্যে চট্টগ্রামের লোকেরা রুজি-রোজগারের জন্য বেশির ভাগ বার্মায় যেতেন। এদের মধ্যে মাত্র স্বল্পসংখ্যকই চাকরি করতেন। বেশির ভাগই নানা প্রকার ব্যবসা করতেন। বলতে গেলে তখন বার্মার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতো চট্টগ্রামের বণিকেরা। নেতাজীর আহবানে সাড়া দিয়ে তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন শতসহস্র নাম না জানা মুক্তিপাগল প্রবাসী ভারতীয় যারা তাঁকে সর্বস্ব সমর্পণ করেছিলেন মাতৃভূমির মুক্তির জন্য। ত্রিসুরীর সংগতিসম্পন্ন বৌদ্ধ পরিবারের যুবক রোহিণী চৌধুরী তাদের ব্রহ্মদেশস্থ ব্যবসার টাকা নেতাজীকে দান করে নিজে আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদান করেন। তিনি ইম্ফল ও কোহিমা অভিযানেও অংশ নেন। এই সময় ঝড়-বাদলের জন্য আরাকান পর্বতমালার নির্জন বনপথ আরও দুর্গম হয়ে ওঠে। প্রায় দু’শ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পদাতিক বাহিনীর দু’সপ্তাহ সময় লাগে। এই সময়ে একদিন পাহাড়ি নদী চেন্দুইনের তীর দিয়ে অগ্রসর হওয়ার সময়ে কর্নেল এ সি চ্যাটার্জী পা ফসকে খরস্রোতা নদীতে পড়ে যান। রোহিণী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে জলে ঝাঁপ দিয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে আসেন। সেই থেকেই তিনি রোহিণীকে খুবই স্নেহপূর্ণ দৃষ্টিতে দেখতেন। এই সময় জীবনধারণের জন্য রসদের অভাবে সৈন্যরা বাঁশের কোঁড়া (কচি বাঁশের চারা), শামুক, শাকপাতা ও কচু ইত্যাদি সিদ্ধ করে খেত। বনজ কচু খেয়ে অনেকের আবার গলা ফুলে যায় এবং নানা প্রকার প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তা দেখে কর্নেল চ্যাটার্জী রোহিণীকে ডেকে বললেন, তুমি চট্টগ্রামের ছেলে, কোন্ কচু খাওয়ার উপযোগী তুমি তা পরীক্ষা করে দিও। সেই থেকে তিনি তাই করে দিতেন। ভারত স্বাধীন হওয়ার পরে তিনি কলকাতার ওয়াটগঞ্জ স্ট্রিটে ‘শ্রীমা’ নামে একটি রেস্তোরাঁ (রেস্টুরেন্ট) নিয়ে ব্যবসা করে জীবনের বাকি অংশ অতিবাহিত করেন।
ক্রমে ঘনিয়ে এল শক্তি পরীক্ষার দিন। প্রথম সামরিক বাহিনী নেতাজীর অদম্য প্রেরণা আর গভীর স্বদেশপ্রেমে অভিষিক্ত হয়ে অপর্যাপ্ত সমর-উপকরণ সঙ্গে নিয়ে ১৯৪৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আরাকান সীমান্তে এসে পৌঁছালো। এ সময়ে পটিয়া থানার কেলিশহরের সুধাংশু কাঞ্জিলাল গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসাবে একান্ন জন সহকর্মী নিয়ে টেকনাফ হয়ে চট্টগ্রাম জেলায় প্রবেশ করেন। এই একান্ন জন সহকর্মীদের মধ্যে বৌদ্ধ সমাজের প্রবীণতম বিপ্লবী প্র্রবীণ বড়ুয়াও ছিলেন। তিনি ১৯২৭ সালে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে অনুশীলন দলের কর্মকর্তার নির্দেশে রেঙ্গুনে চলে যান এবং রেলের চাকরি নিয়ে থিনাঞ্জাং স্টেশনের নিকট ভাড়া বাড়িতে থেকে চঁৎরঃু খবধমঁব নামক একটি শরীর শিক্ষা কেন্দ্র গড়ে তোলেন। এ কেন্দ্রের মাধ্যমে তিনি কর্মী সংগ্রহ করতেন। এই একান্ন জন কর্মীদের কাজ ছিল গোপনে ব্রিটিশ সামরিক ঘাঁটির ওপর নজর রাখা ও সৈন্য চলাচলের গতিবিধি লক্ষ্য করা এবং সেই সংবাদ নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছিয়ে দেওয়া। এই গোপন কাজ সম্পন্ন করতে গিয়ে বেশির ভাগই ইংরেজের হাতে ধরা পড়ে এবং বিচারে অনেকেরই প্রাণদন্ড হয়। এই দলের নেতা কাঞ্জিলালকেও বন্দী করে দিল্লির রেডফোর্টে পাঠানো হয়। তিনি শাহনওয়াজের সঙ্গে ছাড়া পান। কিন্তু প্রবীণ বড়ুয়ার আর কোন খবর পাওয়া যায় নি। অনেকেরই ধারণা তিনি ইংরেজের হাতে ধরা পড়েন এবং প্রাণদন্ড দন্ডিত হন।
গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে রাউজান থানার কদলপুর গ্রামের হিমাংশু বিমল বড়ুয়া আপার আসামের শিলচরের এক মিলিটারি বেস্ হাসপাতালের সামনে পানের দোকান দিয়ে রোগী, হাসপাতাল কর্মী ও ডাক্তারদের কাজকর্মের উপর নজরদারি করতেন। তিনিও পরে ধরা পড়ে বন্দী হয়ে আলিপুর জেলে আনীত হন এবং তিনমাস জেল খাটেন।
সুশীল বড়–য়া লিখেছেন, রাউজানের সংখ্যালঘু এলাকাগুলোও বিংশ শতাব্দীর প্রথম থেকে প্রগতিশীল রাজনীতির চারণভূমি ছিল। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশক থেকে গহিরা বৌদ্ধ পল্লী হয়ে উঠেছিল স¦দেশী আন্দোলনের কেন্দ্র। সেই সময় যে ব্যক্তি ব্রিটিশ বিরোধী স¦দেশী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন তিনি হলেন নগেন্দ্র লাল বড়–য়া। তার প্রাথমিক শিক্ষার হাতেখড়ি হয় বার্মায় কনভেন্ট স্কুলে। সেখান থেকে এন্ট্রান্স পাস করে তিনি কলকাতায় প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। সেখানে অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি ব্রিটিশবিরোধী স্বদেশী আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ। ইংরেজি সাহিত্যে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে তিনি নিজ গ্রামে চলে আসেন। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের কালেক্টরের লোভনীয় চাকরির প্রলোভন ত্যাগ করে অশিক্ষিত মানুষ তাঁর এসব মহতী উদ্যোগের তাৎপর্য অনুধাবণ করতে না পারে নি। শুধুমাত্র তাদের সহযোগিতা অভাবে নিজ গ্রামে যুবকদের স্বদেশী আন্দোলনে দীক্ষা দিতে শুরু করেন। রাউজান সহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন গ্রামে সামাজিক তিনি বক্তব্য রাখার সুযোগ স্বদেশী আন্দোলনের পক্ষে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে থাকেন। তিনি একপর্যায়ে নিজ গ্রামে অঙ্কুরিঘোনা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্র্তীতে বিদেশী দ্রব্য বর্জন করার উদ্দেশ্যে তিনি অঙ্কুর দিঘির পাড়ে চরকা দিয়ে খদ্দের কাপড় তৈরি করার উদ্দেশ্যে তাঁত প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর তিনি দিঘির পাড়ে উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু এলাকার তাঁত ও উচ্চ বিদ্যালয় বেশিদিন টিকতে পারে নি। এখনো পর্যন্ত তার গড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার আলো বিতরণ করে যাচ্ছে। পরবর্তীতে তিনি তাঁর আদর্শকে বিকশিত করার জন্য গহিরা এ.জে.ওয়াই.এম.এস ইনস্টিটিউশনে শিক্ষকতায় যোগ দেন। দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি অল্প বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
স্বদেশী আন্দোলনের আদর্শকে বুকে ধারণ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জীবনের সমস্ত সুখ বিলাসিতা ও ব্রিটিশ রাজের লোভনীয় চাকরি ত্যাগ করেছিলেন তিনি। পিতা ছিলেন জমিদার। দেশপ্রেমই ছিল তার সমস্ত ধ্যান-জ্ঞান। সমগ্র এলাকায় তিনি ছিলেন একমাত্র শিক্ষিত ব্যক্তি। তার জীবনটা উৎসর্গ করেছিলেন দেশের জন্য। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর শিষ্য কমরেড প্রফুল্ল বড়ুয়া, যামিনী বড়ুয়া ও দ্রোন বড়ুয়া তার আরব্ধ কাজকে এগিয়ে নিতে উদ্যোগ নেন। কমরেড প্রফুল্ল বড়ুয়া কমিউনিস্ট পার্টির সাথে যুক্ত ছিলেন সে সময়। বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশ ও ষাট দশকে গহিরা বৌদ্ধ পল্লী হয়ে উঠেছিল কমিউনিস্ট পার্টির অলিখিত কেন্দ্রস্থল। যেহেতু কমিউনিস্ট পার্টি পাকিস্তান আমলে নিষিদ্ধ ছিল, তাই তাদের কাজকর্ম করতে হতো গোপনে। অথবা গণসংগঠনের ব্যানারে। কমিউনিস্ট পার্টির অনেক কেন্দ্রীয়, জেলা ও থানা পর্যায়ের কমরেডদের আশ্রয়স্থল ছিল গহিরা বৌদ্ধ পল্লী। জেলা ও থানা পর্যায়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সভা যেখানে অনুষ্ঠিত হতো। কমিউনিস্ট পার্টির যেসব কমরেড সেখানে যেতেন তারা হলেন- কমরেড আব্দুস সাত্তার, কমরেড পূর্ণেন্দু দস্তিদার, কমরেড অনঙ্গ সেন, কমরেড চৌধুরী হারুনর রশিদ প্রমুখ। তারা ছদ্মনামে এখানে চলাফেরা করতেন। শুধুমাত্র কমরেড প্রফুল্ল বড়ুয়া ছাড়া কেউ তাদের আসল নাম জানতো না। এই সব কমরেডদের থাকা, খাওয়া ও রাখার ব্যবস্থা করা হতো পরিতোষ বড়ুয়া, সৌকৃতা বড়ুয়া ও যামিনী বড়ুয়ার বাড়িতে। কমরেড আব্দুস সাত্তার মাসের পর মাস সেখানে অবস্থান করতেন। যামিনী বড়ুয়ার ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার হাতেখড়ি কমরেড আব্দুস সাত্তারের হাতে। এলাকার কারো বাড়িতে ভালো রান্না -বান্না বা পিঠা-পুলি তৈরি হলে তাঁর জন্য রেখে দেওয়া হত। সেই সময় গহিরা বৌদ্ধ পল্লী হয়ে উঠেছিল প্রগতিশীল রাজনীতির আঁতুড়ঘর। বিংশ শতাব্দীর ষাট দশকের মধ্য ভাগ পর্যন্ত পূর্ব বাংলার সংখ্যালঘুরা ন্যাশানাল আওয়ামী পার্টি ও কমিউনিস্ট পার্টির সাথে ছিলেন। কিন্তু ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা ঘোষণার পর আস্তে আস্তে সংখ্যালঘুদের সমর্থন আওয়ামী লীগের দিকে ঝুঁকে পড়ে। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি।
মুক্তিযুদ্ধের অনেক আগে থেকে গহিরা অংকুরিঘোনার চন্দ্র মোহন বড়ুয়ার বাড়ি ছিল মেখল (হাটহাজারী) ও গহিরা বৌদ্ধ পল্লীর আওয়ামী লীগের অঘোষিত অফিস। কারণ মেখল ছিল মুসলিম লীগের প্রভাবাধীন এলাকা। এ কারণে মেখলে যারা আওয়ামী লীগ করতেন তারা অংকুরিঘোনার ওই বাড়িকে কেন্দ্র করে তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করতেন। চন্দ্র মোহন বড়ুয়ার ছেলে সুশীল বড়ুয়া ছিলেন ছাত্রলীগের একজন বিশিষ্ট নেতা। তাঁর বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মকান্ড পরিচালনার সুযোগ করে দিতে তিনি যে উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছিলেন তা’ বোধ করি না বললেও চলে। মেখলের যেসব আওয়ামী লীগ নেতা চন্দ্র মোহন বড়ুয়ার বাড়িকে ঘিরে পরিচালিত বাঙালি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তারা হলেন ফয়েজ মাস্টার, ফরেস্টার এ কাসেম, হাটহাজারী আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মুজিবল হক, চবি’র কমর্চারি জালাল আহমদ, সাহাব উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সেল্টার ছিল এই বাড়ি। সেখানে নতুন মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং হতো এবং সেখান থেকে হাটহাজারীতে গেরিলা অপারেশনও পরিচালনা করা হতো। যে মুক্তিযোদ্ধারা এই সেল্টারে থাকতেন তারা হলেন বি এল এফ কমান্ডার এস,এম,ফজলুল হক (স্বাধীনতার পর চাকসু ভিপি পদে নির্বাচিত, বর্তমানে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক), ব্যাঙ্কার এমদাদ, মো. মুসা, কাজী ফরিদ।
চন্দ্রমোহন বড়ুয়ার বাড়িকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধের তৎপরতার খবর বেশিদিন গোপন থাকলো না। দালালরা সত্তারঘাট পাক বাহিনীর ক্যাম্প এবং তাদের দোসরদের কাছে এসব কথা জানানোর পর তারা চন্দ্রমোহন বড়ুয়ার বাড়ি আক্রমণ করে। মুক্তিযোদ্ধা এবং সুশীল বড়ুয়াকে ধরতে না পেরে পাক বাহিনী সুশীল বড়ুয়ার বড় ভাই সুবোধ বড়ুয়া, শরবিন্দু ও মিন্টু বড়ুয়াকে সত্তারঘাট ক্যাম্পে নিয়ে যায়। চন্দ্রমোহন বড়ুয়া তাঁর ছেলে এবং ভ্রাতুষ্পুত্রদের রক্ষা করার জন্য মেখলের চেয়ারম্যানের শরণাপন্ন হন এবং কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে তাদেরকে হানাদার ক্যাম্প থেকে জীবিত ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা বিকল্প সেল্টারে চলে যেতে বাধ্য হন, আর সুশীল বড়ুয়া পুরোহিতের ব্রত গ্রহণ করে বিনাজুরি শান্তি নিকেতন বিহারে কোন মতে আত্মরক্ষা করতে সমর্থ হন। উল্লেখ্য চন্দ্রমোহন বড়ুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ষা করার জন্য অংকুরিঘোনার প্রবেশ পথে পাহারার ব্যবস্থা করেছিলেন, যাতে পাকিস্তানি বাহিনী আসার খবর সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায়। অংকুরীঘোনা ছিল মুক্তবাহিনীর জন্য নিরাপদ এলাকা, কারণ এলাকাটা ছিল একটা দ্বীপ। রাউজানের আবুরখীল বৌদ্ধ পল্লীও ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের অভয়ারণ্য।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক