চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) একশো একর জায়গাজুড়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে এটি স্থাপিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. জামাল নজরুল ভৌত বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পাশে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী এবং হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, হাইটেক পার্ক নির্মাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১৮তম এক্ট্রা অর্ডিনারি সিন্ডিকেটে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাথমিকভাবে একশো একর জায়গা বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জাব্বার বরাদ্দকৃত স্থান পরিদর্শনে আসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত স্থানটি হাইটেক পার্ক তৈরি করার পরিবেশ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, তথ্য-প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধি অর্জন ছাড়া আধুনিক বিশ্বের নতুন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা সম্ভব নয়। তাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি বিশ্বমানের আধুনিক উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে বিগত চার বছরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক, প্রশাসনিক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে অভূতপূর্ব উন্নয়ন-অগ্রগতি সাধিত হয়েছে; যা এখন সকলের কাছে দৃশ্যমান। বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক নির্মিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-গবেষক এবং শিক্ষার্থীদের তথ্য-প্রযুক্তিতে আরো সমৃদ্ধি অর্জিত হবে। এছাড়াও এই অঞ্চলে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে, তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ শিক্ষার্থীদের ও এই অঞ্চলের জনসাধারণের কর্মসংস্থানের সুযোগ অবারিত হবে। সর্বোপরি এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অভূতপূর্ব সমৃদ্ধি অর্জিত হবে।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক বাস্তবায়নের ফোকাল পার্সন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. হানিফ সিদ্দিকী ও আইসিটি ডিভিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
