একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু সর্বোচ্চ শনাক্ত

42

৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে প্রথম দিনেই সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হলো। রোগী শনাক্তের ১৩তম সপ্তাহে এসে করোনায় সর্বোচ্চ ৪০ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এটিই এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৫০।
গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুই হাজার ৫৪৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এটিও এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৪৭ হাজার ১৫৩ জন করোনা শনাক্ত হলেন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪০৬ জন।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৭৮১ জন।
রবিবার (৩১ মে) বেলা আড়াইটায় কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পডরস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনের আয়োজন করা হয়। সেখানে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ এবং সাত জন নারী। অঞ্চল বিবেচনায় ঢাকা বিভাগে ২৮ জন, চট্টগ্রামে বিভাগে আট জন, খুলনায় দু’জন এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে একজন করে রয়েছেন।
বয়স বিবেচনায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আট জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে চার জন রয়েছেন।
নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১২ হাজার ২২৯টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৮৭৬টি। এ নিয়ে মোট তিন লাখ আট হাজার ৯৩০টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩৮ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৯১ জনকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে, ছাড়া পেয়েছেন ১২৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন পাঁচ হাজার ৭৯৪ জন। এ পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন তিন হাজার ১৬ জন।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে দুই হাজার ৯৪৭ জনকে, ছাড়া পেয়েছেন তিন হাজার ৪২ জন। এ পর্যন্ত মোট কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে দুই লাখ ৮৫ হাজার ১৭২ জন, আর ছাড়া পেয়েছেন দুই লাখ ২৪ হাজার ৯৯১ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬০ হাজার ১৮১ জন। খবর বাংলাট্রিবিউনের
৫ বছরে সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডেএই বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার এবং জিপিএ-৫ দুটোই বেড়েছে। পাসের হার গত ৫ বছরে দ্বিতীয় হলেও এইবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা গত ৫ বছরে সর্বোচ্চ।
রোববার (৩১ মে) সকালে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে এইসব তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এই বছর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় ১ হাজার ৪৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮২৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ২১ হাজার ৮৮৮ জন। পাসের হার ৮৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
২০১৯ সালে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ছিলো ৭৮ দশমিক ১১ শতাংশ, ২০১৮ সালে ৭৫ দশমিক ৫০ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৮৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং ২০১৬ সালে ৯০ দশমিক ৪৫ শতাংশ। অর্থাৎ ২০১৬ সালের পর এইবছর পাসের হার সবচেয়ে বেশি।
এই বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৮ জন শিক্ষার্থী। ২০১৯ সালে ৭ হাজার ৩৯৩ জন, ২০১৮ সালে ৮ হাজার ৯৪ জন, ২০১৭ সালে ৮ হাজার ৩৪৪ জন এবং ২০১৬ সালে ৮ হাজার ৫০২ জন শিক্ষার্থী এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিলো। অর্থাৎ এই বার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা গত ৫ বছরে সর্বোচ্চ।