একদিনে আরও ৪৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৬৬৬

16

পূর্বদেশ ডেস্ক
নতুন করোনা ভাইরাসে দেশে আরও ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে; এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৫২ জনে। একদিনে আরও ২ হাজার ৬৬৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৭৯৫ জন হয়েছে। আইইডিসিআরের ‘অনুমিত’ হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৫ হাজার ৫৮০ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। তাতে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল মোট ৯৩ হাজার ৬১৪ জনে।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গতকাল রবিবারের বুলেটিনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা এই তথ্য জানান।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তা দেড় লাখ পেরিয়ে যায় গত ২ জুলাই। সেদিন ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ। আর ১৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ জুলাই তা দুই হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
নাসিমা সুলতানা বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩৬ জন পুরুষ, ১১ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪৩ জন হাসপাতালে এবং ৪ জন বাড়িতে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২৩ জন ঢাকা বিভাগের, ৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪ জন রাজশাহী বিভাগের, ৬ জন খুলনা বিভাগের, ২ জন বরিশাল বিভাগের, ২ জন রংপুর বিভাগের এবং ৪ জন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
এই ৪৭ জনের মধ্যে ২ জনের বয়স ৮০ বছরের বেশি। এছাড়া ৬ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ১৪ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ১৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল। খবর বিডিনিউজের
এ পর্যন্ত যারা মারা গেছেন, তাদের ৪৩ দশমিক ৬৬ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি। শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশের বয়স ১০ বছরের নিচে। এছাড়া ২৯ দশমিক ৮০ শতাংশের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৭ দশমিক ০৬ শতাংশের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ৩ দশমিক ২৩ শতাংশের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ১ দশমিক ১৫ শতাংশের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।
এই ২ হাজার ৩৫২ জনের মধ্যে ৫০ শতাংশই ঢাকা বিভাগের। এছাড়া ২৬ দশমিক ২৮ শতাংশ চট্টগ্রাম বিভাগের, ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ রাজশাহী বিভাগের, ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ খুলনা বিভাগের, ২ দশমিক ৩৪ শতাংশ ময়মনসিংহ বিভাগের, ৩ দশমিক ১০ শতাংশ রংপুর বিভাগের, ৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ সিলেট বিভাগের এবং ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭টি ল্যাবে ১১ হাজার ৫৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে ২ হাজার ২৯৫টি কম।
নমুনা পরীক্ষা কমে যাওয়ায় দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও কম হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের অনেকে মত জানিয়ে আসছেন। গতকাল রবিবার বুলেটিনে এ পর্যন্ত দেশে ৯ লাখ ৪০ হাজার ৫২৪ টি নমুনা পরীক্ষার কথা জানানো হয়।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ১১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫০ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং মৃত্যু হার ১ দশমিক ২১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে আনা হয়েছে ৭৩৭ জন রোগীকে, এখন পর্যন্ত সারা দেশে আইসোলেশনে রয়েছেন ১৭ হাজার ৩১৯ জন।