একটি ব্রিজের অভাবে এলাকার মানুষের যোগাযোগে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করেছিল

47

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে অভ্যান্তরীন সড়ক কিংবা মূল সড়কের সাথে ব্রিজ না থাকায় বছরের পর বছর এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় মারাত্নক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার সার্বিক কার্য্যক্রমে বাধাঁ সৃষ্টি করেছে। অনেক ইউনিয়নের সড়ক আছে সড়কের মাঝখানে ব্রিজ না থাকায় এলাকার দুর্ভোগের শেষ ছিলনা। একটি ব্রিজের কারণে এলাকার শত মানুষ নানা সমস্যায় পড়ে সার্বিক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে আসছে। এলাকার এসব সমস্যা দুর করে তৃণমুলে উন্নয়নের ছোয়া দেয়ার জন্য রাঙ্গুনিয়া থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সরকারের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ দূর্যোগ ব্যবস্থপনাও ত্রান মন্ত্রাণালয় থেকে ২৩টি পিআইও ব্রিজের বরাদ্দ নিয়ে আসে। এসব ব্রিজ টেন্ডারের মাধ্যমে বর্তমানে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে নির্মানের কাজ চলছে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা যায়, ২৩টি ব্রিজের মধ্যে দ্রত গতিতে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পথে। কোন নাকোন ইউনিয়নে ব্রীজ নির্মানের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। প্রতিটি ব্রিজের প্রাকল্লিত ব্যায় ১৬ লাখ টাকা। ২৩টি ব্রিজের মধ্যে চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়নে ২টি, পদুয়া ইউনিয়নে ৩টি, রাজানগরে ১টি, পোমরায় ২টি, সরফভাটায় ৩টি, হোছনাবাদ ইউনিয়নে ১টি, মরিয়াম নগরে ১টি, স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়ায় ১টি, পারুয়ায় ২টি, বেতাগী ১টি, শিলকে ১টি, কোদালায় ১টি, ইসলামপুরে ১টি, দক্ষিণ রাজানগরে ১টি, লালানগরে ১টি। ব্রিজের টেন্ডারেপ্রাপ্ত ঠিকাদার গন ব্রিজ নির্মাণে দ্রুত সময়ে কাজ শেষ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। চন্দ্রঘোনা হাজি পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আবু জাফর জানান, আমার গ্রামে শুধুমাত্র একটি ব্রিজের কারণে সব কিছু বাধা সৃষ্টি করে আসছে।যুগ যুগ ধরে এসব অবহেলিত এলাকায় ব্রিজ নির্মাণের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। রাঙ্গুনিয়া থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হওয়ায় এলাকার অবহেলিত জনপদের কথা চিন্তা করে এসব ব্রিজ নির্মাণের ব্যবস্থা করায় এলাকার মানুষের সমস্যা নিরসন হয়েছে। এসব ব্রিজ হওয়ায় এলাকার গুরুত্ব বেড়েছে। তথ্যমন্ত্রীর একান্ত ব্যাক্তিগত সহকারী এমরুল করিম রাশেদ জানান, এলাকার সার্বিক উন্নয়নের কথা চিন্ত করে মাননীয় মন্ত্রী পিআইও ব্রিজের বরাদ্দ নিয়ে আসে।
এসব ব্রিজ নির্মাণ হলে এলাকার উন্নয়ন চিত্রে ভূমিকা রাখবে। সামনে আরো ব্রিজের বরাদ্দ আসবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) বাবুল কান্তি চাকমা বলেন, ইউনিয়নে ব্রিজগুলি খুবই প্রয়োজন ছিল। ইউনিয়নে আগে ব্রিজ গুলি নির্মান না হওয়ায় এলাকার উন্নয়নে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছিল। তথ্যমন্ত্রী এসব ব্রিজের বরাদ্দ এখানে নিয়ে আসায় ব্রিজের নির্মাণ কাজ সহজভাবে এগিয়ে চলছে। রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার জানান, আমার ইউনিয়নে হালিমপুর বাইশ্যাডেবা এলাকায় একটি ব্রিজের অভাবে এলাকার মানুষের যোগাযোগে মারাত্নক সমস্যা সৃষ্টি করেছিল। এখন এ এলাকায় ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পথে। এতে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান জানান, এসব ব্রিজ নির্মাণে এলাকার যোগাযোগ মাধ্যম সহজ হচ্ছে। তথ্য মন্ত্রীর প্রচেষ্টায় এসব ব্রিজের বরাদ্দ রাঙ্গুনিয়ায় আসে। ব্রিজগুলির কাজ পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখেছি খুবই টেকসই কাজ হচ্ছে। আগামী ১৭ মার্চ মুজিব বর্ষে এসব ব্রীজ এক সাথে উদ্বোধন করা হবে।