একগাদা ভাত খাওয়ার অভ্যাস বদলাতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

81

একগাদা ভাত খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করে বেশি করে শাক-সবজি, পুষ্টিসমৃদ্ধ সুষম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শাক-সবজি, মাছ-মাংস, দুধসহ সুষম খাদ্য উৎপাদনে সফলতা ও সরকারের মনোযোগের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
রোববার রবিবার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
খাদ্যে ভেজাল বন্ধে অভিযান অব্যাহত রাখতে ভবিষ্যতে আরও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘খাদ্যে ভেজাল দেওয়া আমাদের দেশে কিছু কিছু শ্রেণির চরিত্রগত বদ অভ্যাস। তা ছাড়া কিছুই না। এটা বন্ধ করতে হবে’।
তিনি বলেন, ‘ভেজালবিরোধী অভিযান চলছে। সেটাকে আরও ব্যাপকভাবে করার জন্য আমরা আলাদাভাবে একটা কর্তৃপক্ষ করে দিয়েছি’। হাটে-ঘাটে-মাঠে যেন এই ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকে তার ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছি এবং ভবিষ্যতে আরও নেব,’ বলেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি মানুষকে সচেতন হওয়ারও আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি মানুষকে সচেতন করা দরকার, যে আপনি কেন ভেজাল বিক্রি করবেন। আপনি ভালোটাই বিক্রি করেন। আপনার যে দাম পড়ে আপনি সেটাই নেন। একটু বেশি নিতে চান লাভও নেন। কিন্তু যা করবেন ভালোভাবে করেন। খারাপভাবে করে মানুষকে ঠকিয়ে মানুষের জীবন ধ্বংস করার অধিকার কারও নাই’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আমরা সফলতা অর্জন করেছি। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। খাবারে ভেজাল দেওয়া এক রকমের দুর্নীতি। কাজেই ভেজালের বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে, সেটাও অব্যাহত থাকবে’। তিনি বলেন, ‘খাদ্য শুধু উৎপাদন করলেই হবে না। খাদ্যটা মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। সেই খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি। যে সমস্ত মানুষ একেবারে হতদরিদ্র তাদের কাছে খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করছি। বিশেষ করে দুস্থ নারীরা- তাদের আমরা বিনে পয়সায় খাদ্য দেই। এছাড়াও মাত্র দশ টাকা কেজিতে ৩০ কেজি চাল ৫০ লক্ষ মানুষ যেন কিনতে পারে সে ব্যবস্থাও আমরা করে দিয়েছি। খাদ্য উৎপাদনে কৃষকরা যেন সবসময় উদ্বুদ্ধ হন সেজন্য ঋণভর্তুকিসহ নানা ব্যবস্থা আমরা করে থাকি’। খবর বিডিনিউজের
উৎপাদনের পাশাপাশি খাদ্য মজুদে নেওয়া বিভিন্ন পরিকল্পনা ও উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের কেউ ভিক্ষা করবে না। কিছু না কিছু কাজ করে খাবে। সেই সুযোগ যেমন করে দিচ্ছি আর যারা একেবারে কিছু করতে পারে না তাদের জন্য কিন্তু বিনা পয়সায়ও আমরা খাদ্য তাদের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছি। কেউ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায় এটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সে ক্ষেত্রে আমি খাদ্য মন্ত্রণালয়কে বলব আপনাদের মনে হয় একটা দায়িত্ব আছে এটা দেখতে যে, ঘরে খাবার নেই এরকম মানুষ আছে কিনা, এরকম মানুষ থাকলে খুঁজে বের করবেন। যত টাকা লাগে দেব। তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করব’।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক মাহফুজুল হক প্রমুখ।