উয়েফা কাপে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের কিশোররা

18

উয়েফার অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজক হয়েই বাজিমাত করেছে বাংলাদেশের কিশোররা। তিন ম্যাচের তিনটি জিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।
গতকাল রাতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে মালদ্বীপের কিশোরদের। হ্যাটট্রিক করেছেন মইনুল ইসলাম। তিনি গোল করেছেন ৩৭, ৫৪ ও ৮২ মিনিটে। অন্য গোল তিনটি করেছেন ৭ মিনিটে ইমন, ১৪ মিনিটে সাজেদ ইসলাম সুমন এবং ২৩ মিনিটে অপূর্ব মালি।
জনি সিকদারের দল ম্যাচের ছয় মিনিট বয়সেই লিড নিয়ে নেয়। মঈনুল ইসলাম মঈনের ক্রসে ইমন ইসলাম বাবুর হেড চলে যায় জালে। ১৪ মিনিটই বাংলাদেশ দল ব্যবধান দ্বিগুন করে। সাজিদ হাসান জুম্মানের শট বিপক্ষ ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে দিক বদল করে গোল লাইন অতিক্রম করে।
২৩ মিনিটে স্কোর বোর্ডে বাংলাদেশের নামের পাশে তিন গোল। এবার কর্নার থেকে আসা বলে ডিফেন্ডার অপূর্ব মালির হে জালে আশ্রয় নেয়। মঈনের হ্যাটট্রিক মিশন শুরু ৩৭ মিনিট থেকে। তার নেয়া শটে পরাস্ত মালদ্বীপের কিপার। ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের ম্যাচে দ্বিতীয় এবং দলের পঞ্চম গোল করেন মঈন।
৮২ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন বুদ্বিদীপ্ত শটে। সতীর্থের পাস থেকে বল পেয়ে মালদ্বীপের ডিফেন্ডারদের বোকা বানান মঈন। পেছনে ঘুরে এরপর আবার সামনে ঘুরে ডান পায়ে মাটি ঘেঁষা শট নেন। তাতেই তার হ্যাটট্রিক পূরণ। গতবছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এই আসরেও মালদ্বীপকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
ম্যাচে মালদ্বীপ কোনো চান্সই পায়নি। তারা তিন ম্যাচে ১৬ গোল খেয়ে আর এক পয়েন্ট নিয়ে বাড়ী ফিরলো। বাংলাদেশের বিপক্ষে মালদ্বীপ ৫৯ মিনিটে ১০ জনে পরিণত হয় মারামারি করার জন্য। তাদের ফরোয়ার্ড রাফি ফাজিল লালকার্ড পান। ৮২ মিনিটে তাদের কোচ মোহাম্মদ নিজামকেও লাল কার্ড দেখান কুয়েতের রেফারি।
বাংলাদেশ তিন ম্যাচেই জিতেছে। তাদের দেয়া গোলের সংখ্যা ১১টি। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলে হারিয়েছিল কম্বোডিয়াকে। দ্বিতীয় ম্যাচে ৩-১ গোলের জয় ইউরোপের দল ফারো আইল্যান্ডের বিরুদ্ধে।
অনূর্ধ্ব-১৬ এই দলটি পুরোপুরি বাফুফের একাডেমির ফুটবলারদের দিয়ে তৈরি। এর মধ্যে দিয়ে রাজধানীর বেরাইদে ফর্টিজ গ্রæপের মাঠে বাফুফে ও কে স্পোর্টস পরিচালিক একাডেমির ফুটবলাররা প্রথম কোনো ট্রফি পেলো। দিনের প্রথম ম্যাচে কম্বোডিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ফরো আইল্যান্ড।