উপহারের ২০ লাখ ডোজ টিকা দিল ভারত

18

ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে করোনা ভাইরাসের ২০ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেওয়াটা দুই দেশের বিদ্যমান ‘শক্তিশালী’ সম্পর্কের পরিচয় দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর কাছ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ওই টিকা গ্রহণের আয়োজনে একথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ওই অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে একটি ঐতিহাসিক দিন, ভারত সরকার আমাদের ২০ লাখ টিকা উপহার হিসাবে দিচ্ছে। আমাদের কোম্পানিগুলো যে চুক্তি করেছে তার ৩ কোটি ডোজ আসবে। আমরা এ জন্য ভারত সরকার ও ভারতের জনগণকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরি করেছেন, তারই একটি পরিচয় বহন করে’।
এর আগে বেলা সোয়া ১১ টার দিকে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইট উপহারের এই টিকার চালান নিয়ে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম দিন থেকে বলে আসছেন, সব দেশ সহযোগিতার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করতে হবে। এই সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের বড় নমুনা আজকে বাংলাদেশ ও ভারতের এই অর্জন। আমরা মনে করি, প্রত্যেক দেশেরই এই সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব প্রয়োজন’।
তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো উন্নত দেশ এখনও ভ্যাকসিন পায় নাই, ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করে নাই। গুটি কয়েক উন্নত দেশ ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে। আর আমরা প্রথমসারির দেশ হিসাবে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করব। শুরুতে ভ্যাকসিন পাওয়ার কারণে আমরা ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাই’।
অনুষ্ঠানে ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ ভারতের পক্ষ থেকে ধারাবাহিক সহযোগিতার অংশ হিসাবে এই টিকা উপহার বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘ভারত সরকার আমাদের যেভাবে সাহায্য করেছিল স্বাধীনতা যুদ্ধে, সেভাবে আজকে তারা মহামারির সময়েও আমাদের সাহায্য করল ভ্যাকসিন দিয়ে। ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদীর যে বন্ধুত্ব, দুই রাষ্ট্রের বন্ধুত্ব, দুই রাষ্ট্রের জনগণের যে বন্ধুত্ব, যে সহানুভূতি-সহমর্মিতা- তার প্রমাণ রাখল এই ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে। আমরা যে কোনো দুর্যোগ একসঙ্গে মোকাবেলা করব’।