উপজেলা ইউনিয়নে পুরো দমে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা ও মতবিনিময় সভা

126

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পরেছেন সব দলের প্রার্থীরা। ঘরে বসে নেই কোন প্রার্থী। সব সময় র‌্যালি, মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় ব্যস্ত প্রার্থীরা। ফলে উপজেলা ইউনিয়ন গুলোতেও বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
রাঙ্গুনিয়া : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও বোয়ালখালী উপজেলার একটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৭ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ এমপি নৌকা প্রতিক নিয়ে ভোটের মাঠে সরব থাকলেও বিএনপি জোটের প্রার্থীর ধানের শীষ প্রতিকের প্রচারণা এখনো চোখে পড়েনি। প্রতিক বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা পোস্টার ব্যানার নিয়ে মাঠে প্রচারণায় নেমে গেছে। প্রতিদিন পাড়ায় মহল্লায় উঠান বৈঠক ও সভা করছেন। নৌকার প্রার্থী হাছান মাহমুদ নিজে গত শুক্রবার ১৪ ডিসেম্বর থেকে উত্তর রাঙ্গুনিয়ার রাজানগর ও ইসলামপুর ইউনিয়নে গণসংযোগ করে প্রচারণা শুরু করেছেন। তাঁর পোস্টার ব্যানার ঝুলছে উপজেলা জুড়ে। প্রার্থী ছাড়াও ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির নেতাকর্মীরা কোমর বেঁধে নেমেছেন ভোটযুদ্ধে। বিপরীতে রাঙ্গুনিয়ার নির্বাচনী মাঠে ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. নুরুল আলমের এখনো দেখা পাননি জোটের নেতাকর্মীরা। ফলে ভোটযুদ্ধে নামতে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে এখনো দ্বিধাদ্বন্ধ কাটছেনা। জোটের প্রধান দল বিএনপির কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থীকে ডিঙ্গিয়ে মনোনয়ন ভাগিয়ে আনায় বিএনপি শিবিরেও গা ছাড়া ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দুর্বল সাংগঠনিক কাঠামোর এলডিপির নেতাকর্মীরাও আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন দায়িত্বশীলরা। উপজেলা এলডিপির সাধারন সম্পাদক আবু তাহের ধানের শীষের প্রার্থী এখনো প্রচারণায় নামেননি জানিয়ে বলেছেন প্রচারণার সবকিছু রেডি আছে। এখনো হোম ওয়ার্ক চলছে। সময়মত প্রার্থী জোটের সবাইকে নিয়ে মাঠে নামবেন বলে তিনি জানান। এদিকে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ এমপি গত শুক্রবার ১৪ ডিসেম্বর উপজেলার রাণীরহাট মাদ্রাসা সংলগ্ন জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করেন। এরপর নির্বাচনী গণসংযোগকালে সাধারণ মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করেন। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের আয়োজনে রাজানগর হাকিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, রাণীরহাট বাজার প্রাঙ্গন, ইসলামপুর ইউনিয়নের গাবতল, ফুলতল ও বগাবিলী এলাকায় আয়োজিত পথসভায় বক্তব্য রাখেন। নির্বাচনী এসব গণসংযোগ ও পথসভায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি ব্যাপক লোক সমাগম হয়। এ সময় নেতৃবৃন্দ নৌকায় ভোট দেওয়ার আহবান জানিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে প্রচারপত্র বিলি করেন। বক্তব্যে হাছান মাহমুদ বলেন, গত দশ বছরে রাঙ্গুনিয়ায় তিন হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। রাঙ্গুনিয়াকে একটি আধুনিক ও সমৃদ্ধ উপজেলায় রূপান্তরে আবারো নৌকা প্রতিকে ভোট দেয়ার আহবান জানান ভোটারদের। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, ডা. মোহাম্মদ সেলিম, ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন চৌধুরী মিল্টন, সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী, কামাল উদ্দিন চৌধুরীসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনের মাঠে এখনো ধানের শীষ প্রার্থীর দেখা না পাওয়া প্রসঙ্গে উপজেলা এলডিপির নেতা নঈম উদ্দিন আল মাহমুদ বলেন, এখনো ঘর গোছানোর কাজ চলছে। উপজেলা বিএনপির একাংশের সভাপতি শওকত আলী নুর দলীয় নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে পুলিশ দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে দাবি করে বলেন, জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে এটা সব ভোটারের জানা আছে। সুযোগ পেলে ভোটাররা ধানের শীষেই ভোট দিবেন। প্রচারণায় পিছিয়ে থাকলেও ভোটে এগিয়ে থাকবে বলে তিনি দাবী করেন।
সাতকানিয়া উপজেলা ও পৌরসভা যুবলীগ : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রাখে সাতকানিয়া উপজেলা ও পৌরসভা যুবলীগের মতবিনিময় সভা গত ১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩টায় সাতকানিয়া আলিয়া মাদ্রাসার হলরুমে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এ.কে.এম আসাদ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থতি ছিলেন সাতকানিয়া-লোহাগাড়া থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত মহাজোট প্রার্থী ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দীন নদভী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চয়োরম্যান এম. ইদ্রছি, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট জহির উদ্দীন, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক গোলাম ফারুক ডলার, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দীন চৌধুরী, সাবেক সাতকানিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোনাফ, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক এম. হোসেন কবির. জসিম উদ্দীন, পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের, প্যানেল মেয়র এ.কে.এম মোর্শেদ, আসিফ ইকবাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাজাহান। এর আগে নৌকার সমর্থনে এক বিশাল মিছিল সাতকানিয়ার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বক্তব্য রাখেন সাতকানিয়া পৌরসভা যুবলীগরে সভাপতি কাউন্সিলর সাইফুল আলম সোহেল, উপজেলা যুবলীগরে সহ-সভাপতি এটি.এম সাইফুল আলম মো. ইলিয়াছ, আবদুছ সোবাহান, মোহাম্মদ সেলিম, যুগ্ম সম্পাদক জাবদে ইকবাল, আবু ইউছুপ বাবু, মামুনুর রশীদ, পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন মিন্টু। প্রধান অতিথি ড. আবু রজো মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী বলনে, শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন সাফল্য, অর্জনসমূহ সাধারণ জনগনের কাছে তুলে ধরে যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে নৌকার পক্ষে ভোট যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে আগামী ৩০ তারিখ স্বাধীনতার প্রতীক নৌকাকে জয়যুক্ত করতে হবে।
সীতাকুন্ডে লাঙ্গলে ভোট চেয়ে দিদারুল কবির : সীতাকুন্ডে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট চেয়ে প্রচারণা চালান চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুন্ড আসনে জাপা মনোনিত প্রার্থী কেন্দ্রিয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব দিদারুল কবির দিদার। গত শুক্রবার সকালে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের ভাটেরখীল এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীকে সাথে নিয়ে প্রচারণা নামেন তিনি। প্রচারণাকালে তিনি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পাশাপাশি পছন্দের প্রার্থীকে ভোটাধিকার প্রয়োগের স্বাধীনতা সুরক্ষিত রাখতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান। এ সময় তিনি পল্লী বন্ধু এরশাদের হাতকে শক্তিশালী করতে এবং আলোকিত সীতাকুন্ড গড়তে আগামী ৩০ ডিসেম্বর লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহব্বান জানান। প্রচারণাকালে উপস্থিত ছিলেন, উত্তরজেলা জাতীয় পার্টি সহ-সভাপতি মো. নুর নবী ভূইয়া, উপজেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি রেজাউল করিম বাহার, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম, পৌর জাতীয় পার্টি সাধারণ সম্পাদক মো. শওকত আলী, ফসিউল আলমসহ শতাধিক নেতাকর্মী।
হলদিয়ায় নির্বাচনী সমাবেশ : রাউজানের ১নং হলদিয়া নৌকা প্রতীকের সমর্থনে সমাবেশ গত শুক্রবার হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক সুমনের পরিচারনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিচচ্ছন্ন রাজনীতিক ফারাজ করিম চৌধুরী। প্রধান আলোচক ছিলেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহেসানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সোলায়মান মাস্টার, উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য এসএম বাবর, রুনু ভট্টচার্য, উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি সুমন দে, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মুহাম্মদ মনসুর, হাসান মুরাদ রাজু, ইকবাল হোসেন চৌধুরী, রাউজান পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আসিফ, সাইদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ জাবেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার যুবক সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চিকাদাইরে নির্বাচনী জনসভা : রাউজানের চিকদাইরে দিনব্যাপী গণসংযোগ ও ৯ সমাবেশে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রেখেছেন মহাজোটের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। এ সময় তিনি বলেন, শেখ হাতকে শক্তিশালী করতে ও দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আগামি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিন। প্রধান আলোচক ছিলেন সাংসদ পুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী। এসব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান প্রিয়তোষ চৌধুরী। ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ রানার পরিচালনায় এসব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আবদুর রহিম আলমগীর, আলমগীর কবির চৌধুরী, সিআইপি ইয়াছিন চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা জসিম উদ্দিন, শ্যামল দত্ত, ছেনোয়ারা বেগম, মো. জাহেদুল আলম জাহেদ, হেলাল উদ্দিন আরিফ, জাহিদুল ইসলাম, মোজাজ্জেম, আবু তৈয়ব, মো. ইলিয়াছ, মো. রনি।
পটিয়ায় জাপা প্রার্থী নুরুচ্ছফা সরকার : জাতীয় পার্টির পটিয়ার দলীয় প্রার্থী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছফা সরকার এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন। গণসংযোগকালে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন পল্লীবুন্ধু এরশাদের সময়েই হয়েছিল। এবারও দেশের উন্নয়নে নাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেয়ার বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে পরিকল্পনা রয়েছে জাপার। সে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে দেশে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার শান্তিরহাট, কুসুমপুরা, মনসা চৌমহনি, বাদামতলসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার প্রচারনার সময় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী নুরুচ্ছফা সরকার, দক্ষিণ জেলা জাপার যুগ্ম সম্পাদক বোরহান উদ্দিন ফারুকী, মহানগর জাপা নেতা আবদুস শুক্কুর, দক্ষিণ জেলা ছাত্র সমাজের নেতা ফরহাদুল ইসলাম বাবুল, যুব সংহতি দক্ষিণ জেলার সহ সভাপতি ফরিদ উদ্দিন সরকার, যুগ্ম সম্পাদক ইমরান হোসেন মুন্না, ইমন সরকার, আজাদ সওদাগর, আয়ুব আলী, মোহাম্মদ শরীফ, মহানগর ছাত্র সমাজের সভাপতি নজরুল ইসলাম, আলী আকবর, মোহাম্মদ হাসান, মোহাম্মদ আকবর, দিদারুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, আলী আজগর প্রমুখ। প্রচারনাকালে জাপা প্রার্থী নুরুচ্ছফা সরকার আরো বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসন থেকে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিয়ে পল্লী বন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে পটিয়ার আসনটি উপহার দেওয়ার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
পটিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আনুষ্ঠানিক প্রচারণা : চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী মাওলানা আবু তালেব হেলালী গত শুক্রবার বাদে আছর হযরত শাহচান্দ আউলিয়া (র.) এর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে আনুষ্ঠনিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। এই সময় তিনি আগামী ৩০ ডিসেম্বর সিংহ প্রতীকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পটিয়া থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে অবহেলিত পটিয়াবাসীর ভাগ্য পরিবর্তন ও রাস্তা ঘটের উন্নয়ন, পটিয়াকে জেলা ঘোষণা করার প্রতিশ্রুতি দেন। মাজার জিয়ারত করে পটিয়া সদরের আশ পাশের এলাকায় ভোটারদের সাথে গণসংযোগ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সিংহ প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য পটিয়াবাসীকে অনুরোধ জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আল্লামা হাফেজ ইলিয়াছ শাহ, আল্লামা মোরশেদুল আলম খোরশেদ, আল্লামা শরীফ সরওয়ার, মাওলানা আবদুল আলীম, নাসির উদ্দীন, মোহাম্মদ মহসীন, আলী নুর, নজরুল ইসলাম, কুতুব উদ্দীন, আবুল কালাম, নিজাম উদ্দীন, কুতুব উদ্দীন কায়েস, আজাদ ফারুকী, নজরুল ইসলাম, এনামুল হক বেলাল, রাশেদ নুর চৌধুরী, মীর হোসেন, আবদুল মালেক, আবু কায়ছার প্রমুখ।
আনোয়ারায় এম এ মতিনের মতবিনিময় : আনোয়ারা-কর্ণফুলী আসনের ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী এম এ মতিন বলেছেন, আনোয়ারা-কর্ণফুলীর জনগন দুই জমিদার পরিবারের নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছে। ভোটের আগের দিন সামান্য টাকায় তারা পাঁচ বছরের জন্য বিক্রি হয়ে যান। এই অবস্থা থেকে বের হতে হবে। আমি সারাদেশ ঘুরেছি। আনোয়ারার মত এত অনুন্নত জায়গা কোথাও দেখিনি। গত ১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে চাতরী চৌমুহনী বাজারে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আনোয়ারায় একটি ইউনিভার্সিটি নেই। একটি টেকনিক্যাল কলেজ নেই। একটি মেডিকেল কলেজ নেই। প্রধান প্রধান সড়কের বেহাল অবস্থা। গত এক দশকে আনোয়ারা ইয়াবার স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। কিন্তু কেউ এসব কথা তুলে ধরার সাহস পায়না। সবাই একটা আতঙ্কের মধ্যে আছে। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এম এ মতিন বলেন, আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করি। যাতে সবাই নির্বিঘ্নে তাদের ভোটধিকার প্রয়োগ করতে পারে। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে। এ সময় তিনি আনোয়ারা-কর্ণফুলী আসনের ভোটারদের দুই জমিদার পরিবারের বাইরে একটি মধ্যবর্তী পরিবারের সন্তান হিসেবে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী করার আহব্বান জানান। দক্ষিণ জেলা ইসলামী ফ্রন্ট নেতা মাস্টার আবুল হোসাইনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন আলহাজ এস এম শাহজাহান, মাওলানা কাজী বদরুজ্জামান নঈমী, এম নাসির উদ্দিন সিদ্দীকী, মাওলানা মুনির আহমদ আনোয়ারী, ডি আই এম জাহাঙ্গীর, মোরশেদ আলম মুন্সী, মাওলানা গিয়াস উদ্দিন নিজামী, মুনিরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম তৈয়বী, মাওলানা এনাম রেজা কাদেরী প্রমুখ। বিকালে তিনি বটতলী, জুইঁদন্ডী ও বরমিচড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন।
আনোয়ারায় ইসলামী আন্দোলনের মতবিনিময় সভা : চট্টগ্রাম ১৩ আনোয়ারা-কর্ণফুলী আসনের হাতপাখার প্রার্থী ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা এরফানুল হক চৌধুরী বলেছেন একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আগামী নির্বাচনে হাতপাখার প্রতীকে ভোট দিন। আজকে দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল এদেশকে দীর্ঘদিন শাসন আর শোষন করে চলেছে। এসব দুর্নীতিবাজ দলকে দিয়ে দেশে কোনো কল্যাণ বয়ে আনবেনা। দেশে উন্নতি, সমৃদ্ধি আর কল্যান বয়ে আনতে আগামী নির্বাচনে ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী হাতপাখার প্রার্থীকে বিজয়ী করুন। গত ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে ওলামা-মাশায়েখদের সাথে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আজ সারাদেশে নির্বাচনের নামে তামাশা চলছে। সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। মানুষ তাদেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে নির্বাচন কমিশনকে এই পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। ইসলামী আন্দোলন আনোয়ারা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আমীর হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মুহাদ্দিস আল্লামা শাহাদাত হোসাইন আরমান, মুহাদ্দিস আল্লামা জিয়াউল হোসাইন, আল্লামা হাবিবুল্লাহ কাসেমী, ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাক আহমদ, আরিফুদ্দিন প্রমুখ।