উদ্বোধনের অপেক্ষায় নানিয়ারচর চেঙ্গি ব্রিজ

550

তিন পার্বত্য অঞ্চলের ব্যয়বহুল ও দীর্ঘতম নানিয়ারচর চেঙ্গি ব্রিজ। ২০১৭ সালের নভেম্বরে আওয়ামী লীগ সাধারণ ওবায়দুল কাদের রাঙামাটির নানিয়ারচর সফরে এসে এক জনসভায় চেঙ্গি নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার পর ২০১৮ সালের ফেব্রূয়ারি মাসে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। প্রায় একবছরের অধিক সময় ধরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনিকো এন্ড কোম্পানি লিমিটেড ব্রিজটির নির্মাণ কাজ করে। এতে সার্বিক সহযোগিতা ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন চট্টগ্রাম ২৪ (ইসিবি) ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
জানা গেছে, ব্রিজটি প্রায় ৪৮৭ মিটার দীর্ঘ। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় আড়াইশ’ কোটি টাকা। তবে এ ব্যয় আরো বাড়তে পারে। ব্রিজের সকল কাজ প্রায় সম্পন্ন। আগামী ২-১ মাসের মধ্যে এর উদ্বোধন হতে পারে। ব্রিজটি নির্মাণ হওয়ায় আলোকিত হয়েছে গোটা নানিয়ারচর।
নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওহাব বলেন, ব্রিজটি নির্মাণে এ সরকারের বড় একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। আজ সে চ্যালেঞ্জ বাস্তবে রূপ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সরকার যা বলে তা করে। নানিয়ারচর চেঙ্গি ব্রিজ নির্মাণে বড় অবদান রেখেছেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এমপি। দীপংকর তালুকদার পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে নিবেদিতপ্রাণ। এছাড়া ব্রিজটি নির্মাণে একদিকে যেমন যোগাযোগ খাতে উন্নত হবে অন্যদিকে অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হবে এই এলাকার মানুষ।
এলাকাবাসী জানায়, পাহাড়ি-বাঙালির দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হতে যাচ্ছে ব্রিজটি উদ্বোধনের মাধ্যমে। গত ২৫-২৬ বছর ধরে বিভিন্নভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করে ২০২০ সালে স্বপ্নপূরণ হবে নানিয়ারচরবাসীর। ব্রিজটি উদ্বোধন হলে যাতায়াতের পথ সুগম হবে আরো ২টি উপজেলার সাথে। সহজ হবে জেলা শহরের সাথে সড়ক যোগাযোগ। নিমিশেই পৌঁছে যাবে লংগদু ও বাঘাইছড়িতে। এছাড়াও অর্থনৈতিকভাবে চাঙ্গা হবে নানিয়ারচর উপজেলা। নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিউলী রহমান তিন্নি বলেন, ব্রিজের কাজের ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন তেমন কিছুই জানে না। তবে এ ব্যাপারে সেনাবাহিনী ও সড়ক বিভাগ ভাল জানবে। শুনেছি আগামী ২/১ মাসের মধ্যে ব্রিজটি চালু করা হবে।
রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারহিন রুখসানা বলেন, নানিয়াচর চেঙ্গি ব্রিজের বিষয়ে ভাল জানবে সেনাবাহিনী। ব্রিজের যাবতীয় কাজকর্ম করছে সেনাবাহিনী। তাই তারাই এ ব্যাপারে ভাল জানবেন।