উদ্ধার টাকা ও স্বর্ণ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হবে

21

ক্যাসিনোতে অভিযান চালিয়ে গত ১০ দিনে উদ্ধার করা টাকা ও স্বর্ণালংকার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম। তিনি বলেন, ‘এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানের পর মামলা করার সময় থানায় টাকা ও স্বর্ণালংকার জমা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো আদালতের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়ে যাবে’।
ক্যাসিনো, জুয়া ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে গত ১০ দিনের অভিযানে র‌্যাব এ পর্যন্ত ২০১ জনকে আটক, ৮ কোটি টাকা, ৮ কেজি স্বর্ণ ও ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর উদ্ধার করেছে। এছাড়া উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র, বিদেশি মদ, সিগারেট, বিয়ার, হেরোইন, কষ্টি পাথরের মূর্তি, ক্যাসিনো ও জুয়া খেলার সামগ্রী। জব্দ করা হয় কয়েক কোটি টাকা, ডলার, এফডিআর ও সঞ্চয়পত্রের কাগজপত্র এবং বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে র‌্যাব ছাড়া পুলিশও বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়েছে। তবে সেসব অভিযানের বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর জঙ্গিবিরোধী একটি মহড়া শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবেও র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান মুখ থুবড়ে পড়ার কোনো কারণ নেই। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। ক্যাসিনোর অভিযানকে নির্মোহভাবে দেখতে হবে। আমরা সব ক্যাসিনো বন্ধ করার জন্যই মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে নেমেছি। তাই এখন সব ক্যাসিনো বন্ধ’। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মতিঝিলে চারটি ও গুলশান এলাকায় একটি ক্যাসিনোতে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালানো হয়। ফকিরাপুল ইয়াংম্যান্স ক্লাব, ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা চিত্তবিনোদন ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র ও গোল্ডেন ক্লাবে পরিচালিত অভিযানে আটক হওয়া ২০১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ পরে তাদের কারাগারে পাঠায়। এসব ক্লাব থেকে নগদ ৪০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।