উত্তর জেলা আ.লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি শীঘ্রই

228

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি যে কোনো সময় ঘোষণা হতে পারে। কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা। সাবেক ও বর্তমান দুই মন্ত্রী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকের পছন্দের ব্যক্তিদেরকেই কমিটিতে রাখা হয়েছে। এবারের কমিটিতে একঝাঁক সাবেক ছাত্রনেতাকেও রাখা হয়েছে। গত কমিটির বেশ কয়েকটি পদেও আনা হয়েছে পরিবর্তন। বিশেষ করে সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদক পদেও ওলটপালট করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম পূর্বদেশকে বলেন, ‘কমিটি গঠনের বিষয়ে এখনি কিছু বলতে চাই না। দ্রুত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছি। গঠন হলেই গণমাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়া হবে। ইতোমধ্যে গুছিয়ে আনা হয়েছে।’
দলীয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের মতামত প্রাধান্য পেয়েছে। কমিটিতে কারা থাকতে পারেন সেজন্য দুই নেতার পৃথক মতামতও নিয়েছে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। সাবেক ও বর্তমান দুই মন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মোতাবেক কমিটিও প্রস্তুত করা হয়েছে। আবার কমিটি অনুমোদনের ক্ষেত্রেও এই দুই নেতা সক্রিয় আছেন।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সাথে আলোচনা করে জানা যায়, কমিটির সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদক পদে এবার পরিবর্তন আসছে। তিন যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জসীম উদ্দিন ও ইউনুছ গনি চৌধুরী এবার সহ-সভাপতি হতে পারেন। সহ-সভাপতির মধ্যেও কয়েকজন বাদ পড়তে পারেন। একইভাবে তিন সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে নুরুল আনোয়ার চৌধুরী বাহার ও দেবাশীষ পালিত পদোন্নতি পেয়ে যুগ্ম সম্পাদক হতে পারেন। ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করা সাবেক কয়েকজন ছাত্রনেতা এবার কমিটিতে স্থান পাবেন। এর মধ্যে উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাজীবুল আহসান সুমন, বখতিয়ার সাঈদ ইরান ও আবু তৈয়ব কমিটিতে আসতে পারেন। পুরো কমিটিতে ২০-৩০ শতাংশ নেতা প্রথমবারের মতো স্থান পেতে পারেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান পূর্বদেশকে বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রস্তুত। দলীয় সভানেত্রী অনুমোদন দিলেই হয়ে যাবে। যে কোনো সময় এ কমিটি ঘোষণা হতে পারে। সবমিলিয়ে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সুন্দর একটি কমিটির অপেক্ষায় আছে।’
প্রসঙ্গত, গত ৭ডিসেম্বর উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ৩৬৬ জন কাউন্সিলর প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি পদে এমএ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ আতাউর রহমানকে বিজয়ী করেন। কাউন্সিল অধিবেশনে ভোটাভুটিতে সভাপতি পদে বিজয়ী এমএ সালাম পেয়েছিলেন ২২৩ ভোট ও নিকটতম এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী পেয়েছিলেন ১২৯ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী শেখ আতাউর রহমান পেয়েছিলেন ১৯৬ ভোট এবং গিয়াস উদ্দিন পান ১৫৪ ভোট।