উখিয়ায় তীব্র গরমে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট ও ভাইরাস রোগীর সংখ্যা

115

উখিয়ায় তীব্র তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারনে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট ও ভাইরাস রোগীর সংখ্যা। চিকিৎসকরা বলছেন, শীতে যেমন শ্বাসকষ্ট হয়, তীব্র গরমেও এ সমস্যা হতে পারে, পাশাপাশি আবহাওয়া বিরূপ প্রভাবের কারনে ভাইরাস রোগী দেখা দিয়েছে। এ কারণে মানুষের গরম এড়িয়ে চলা এবং পানি ব্যবহারে সতর্কতার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। সরজমিন উখিয়ার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক গুণ বেড়েছে শ্বাসকষ্ট রোগীর সংখ্যা। চিকিৎসা নিতে আসা হলদিয়া পালং ইউনিয়নের মরিচ্যা এলাকার মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে হাকিম আলী (৫৫) নামের এক ব্যক্তির জানায়, দীর্ঘদিন থেকে সে শাসকষ্ট রোগে ভূগছেন। তবে বিশেষ করে শীতকালীন সময়ে এ রোগের লক্ষ্য দেখা যেত বেশি। কিন্তু অতিরিক্ত গরমের কারনে এখন শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেছে। তাই চিকিৎসা নিতে এসেছি। তার সাথে এসেছেন একই এলাকার আলী আহাম্মদ নামের আরেকজন ভাইরাস রোগী। সে জানায়, গরমের কারনে বিভিন্ন স্থান থেকে পানি পান করেছে সে। যার কারনে গত ৩ দিন ধরে ভাইরাস জ্বরে ভুগছেন সে। বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ‘একজন রোগীর শ্বাস স্বাভাবিক থাকার জন্য টেম্পারেচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যারা অ্যাজমার রোগী, তাদের ক্ষেত্রে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াম টেম্পারেচারের ডিফারেন্স হলেই অ্যাজমার অ্যাটাক হতে পারে।থ ‘এখন যে তাপমাত্রা এতে দেখা যায় দিনের একটা ভাগে ঠান্ডা থাকছে, আবার অন্যসময় অনেক গরম। এছাড়া অত্যাধিক গরম, ঠান্ডা এগুলোতে বিভিন্ন ভাইরাস ঘুরে বেড়ায়। যার কারণে ইনফেকশন হয়। সঙ্গে সর্দি, কাশি এগুলোও হয়।
অনেকে ভূগছেন শ্বাসকষ্টে। এনজিওর চিকিৎসক (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) বলেন, গত ২ সপ্তাহ ধরে যে সমস্ত রোগীরা সেবা নিতে এসেছে, তৎমধ্যে বেশির ভাগ রোগী হচ্ছে শ্বাসকষ্ট ও ভাইরাস জনিত রোগী। এদের অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হলেও অনেককে হাসপাতালে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যার অ্যাজমা আছে গরমকালের এলার্জেন্টের সঙ্গে সম্পৃক্ত তার শ্বাসকষ্ট হবে। অন্যজনের হয়ত শীতকালে সমস্যা হয়। এটা রোগীর সংবেদনশীলতার ওপর নির্ভর করে। গরমের আদ্রতার সঙ্গে শ্বাসতন্ত্রের সম্পর্ক আছে। যত আদ্রতা বেশি হবে শ্বাসনালী ততো বেশি সংবেদনশীল থাকে। আদ্রতা বেশি হলে মাইট (জীবাণু) বেশি হয়। এরা অ্যাজমা রোগীর শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে দেয়।থপাশাপাশি ভাইরাসও হতে পারে। উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতার্ ডাঃ মোঃ আব্দুল মান্নান জানান, স্বাভাবিক ভাবে গরম পড়লে শ্বাসকষ্ট ও ভাইরাস জনিত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় গত বেশ কিছু দিন ধরে এ রোগীর সংখ্যা এখানেও বেড়েছে। তবে এক্ষেত্রে স্থানীয়দের তুলনায় রোহিঙ্গা রোগীর সংখ্যা একটু বেশি। তিনি বলেন, এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে রোগীদের সুস্থ করে তুলা হচ্ছে। সব কিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।