উখিয়ায় কুতুপালংয়ে গাড়ি থামিয়ে আর্মড পুলিশের অবৈধ টাকা আদায়

171

উখিয়ার কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের (সিআইসি)’র কার্যালয়ের সামনে চেকপোস্ট বসিয়া ক্যাম্পের অভ্যন্তরে চলাচলরত প্রতিটি টমটম,অটো,সিএনজি,ডাম্পারসহ যে কোন ধরনের যানবাহন থেকে ১০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। যতবার আসা যাওয়া করবে ততবার ১০টাকা করে দিতে হয় বলে অভিযোগ করেন গাড়ির চালক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে এই দায় নিতে নারাজ কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ এবং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বরত দুই পুলিশ কর্মকর্তা। শনিবার দুপুরে সরজমিন ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায়, উখিয়ার কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের প্রবেশমুখে ক্যাম্প ইনচার্জের কার্যালয়ের সন্নিকটে অনেক দিনের পুরনো একটি চেকপোস্ট রয়েছে। বর্তমানে চেকপোস্ট দায়িত্ব পালন করছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। তাদের একজনের সাথে কথা হলে জানান, তারা কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের সিআইসি’র তত্ত¡াবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে কাজ করছে। তখন গাড়ি থেকে কি কারণে টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ধরনের কোন টাকা গাড়ি থেকে উত্তোলন করা হচ্ছেনা। তখন প্রতিবেদকের কাছে থাকা ভিডিও দেখাতে চাইলে সে তড়িঘড়ি করে ব্যারাকের ভেতরে চলে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সিএনজি গাড়ি চালক জানান, ১৯৯২ সাল থেকে রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে আসছে। আগে কখনো এ ধরনের গাড়ি থেকে গণহারে টাকা উত্তোলন করতে দেখিনি। কিন্তু স¤প্রতি কার নির্দেশে এভাবে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সদস্যরা সিআইসি অফিসের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে লাখ লাখ টাকা উত্তোলন করতেছে কারা? তা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের খতিয়ে দেখা দরকার।
কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ সমির বলেন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন আমাদের অধীনে নয়। তারা ক্যাম্প ইনচার্জের নির্দেশে কাজ করে থাকে। তবে জরুরি প্রয়োজনে আমরা তাদের নিয়ে যৌথ ভাবে কাজ করি। গাড়ি থেকে টাকা উত্তোলনের বিষয়ে তিনি অবগত নন বলে জানান।
কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) খলিলুর রহমান খানের নিকট এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের প্রবেশমুখে যানবাহন থেকে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।