উখিয়ার মরিচ্যার পশুর হাটে মানা হছে না স্বাস্থ্যবিধি

10

করোনা ভাইরাসের কারণে সপ্তাহ খানেক আগেও হাটে গরু বেচা-কেনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন বেপারিরা। তখন করোনা সংক্রমণের ভয়ে সচেতন ক্রেতারা হাটের বদলে ছুটছিলেন ঘরে ঘরে। বিপরীতে পশুর হাটে ছিল না ক্রেতার আনাগোনা। যে কারণে হাটে আনা গরু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন তারা। কিন্তু এখন পাল্টে গেছে সেই দৃশ্যপট। কোরবানির সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে কিছুটা জমে উঠছে উখিয়ার পশুর হাটগুলো। হাটে ট্রাকে ট্রাকে আসছে কোরবানির পশু। তবে ক্রেতার সংখ্যা এখনো উল্লেখ্যযোগ্য নয়। তবে হাটে সরকারি নির্দেশনা মতে, কোন ক্রেতা-বিক্রেতা মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি।
সরজমিন দেখা গেছে, উখিয়ায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ১০টির অধিক পশুর হাট রয়েছে। তৎমধ্যে উখিয়া, মরিচ্যা, কুতুপালং,পালংখালী, থাইংখালী সহ রোহিঙ্গা বসতি সংলগ্ন শফিউল্লাহকাটা, বালুখালী, ময়নারঘোনা, জামতলী, কুতুপালং অন্যতম। এসব হাটে স্থানীয় ভাবে গৃহপালিত পশু ছাড়াও মিয়ানমার থেকে ট্রাকে ট্রাকে গরু আসছে। পাশাপাশি কোরবানির সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ক্রেতা-বিক্রেতা দু’পক্ষেরই ব্যস্ততা বাড়ছে। তবে আগের মতো হাট কেন্দ্রিক সেই ব্যস্ততা দেখা যাচ্ছে না। যার ফলে দুশ্চিন্তায় বেপারিরা।
রাজাপালং ইউনিয়নের ডিগলিয়াপালং গ্রামের গরু বেপারি ছৈয়দ আহামদ জানান, সপ্তাহ খানেক আগে ১০টি গরু বাজারে নিয়ে এসেছি। এখন পর্যন্ত ৫টি গরু বিক্রি হয়েছে। ঈদ ঘনিয়ে আসলেও গরু বাজার তেমন কোন বেচা-কেনা জমে উঠেনি। তবে আশা করা যাচ্ছে আর কয়দিনে মধ্যে হয়তো বাজার জমে উঠতে পারে। একই কথা ডেইলপাড়া এলাকার হোসন আলী সওদাগরের। তিনি জানান,
টেকনাফ থেকে ১৫টি গরু কিনে এনেছি ৮লক্ষ টাকায়। পরিবহন ভাড়া সহ মোট সাড়ে ৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা না বাড়ায় লোকসানের মুখে রয়েছি। পরবর্তীতে ক্রেতার সংখ্যা বাড়লে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন হাটে বেড়েছে দর্শনার্থীর সংখ্যা।
উখিয়ার পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, গত শনিবার উখিয়া সদর গরু বাজারে অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় অনেককে জরিমানা এবং সর্তক করা হয়েছে। ঠিক তেমনি ভাবে কেউ যদি স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করে তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।