উখিয়ার দুটি কাঁচাবাজার কাদামাটিতে একাকার

35

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়া কোটবাজার ও সদর কাঁচাবাজারের মাছ ও তরিতরকারি কাদামাটিতে একাকার হয়ে পড়েছে। এতে ক্রেতা-বিক্রেতাকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কাদামাটির কারণে ক্রেতার সংখ্যা কমে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিক্রেতারা।
সূত্র জানায়, টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কক্সবাজার-টেকনাফ (শহীদ এটিএম জাফর আলম) সড়কের বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। রোহিঙ্গা সেবার নামে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের কারণে বিশেষ করে উখিয়া সদর এবং কোটবাজার এলাকায় আরকান সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এসব গর্তে পানি জমে কাদামাটিতে ভরে গেছে এবং তা আশপাশে ছড়িয়ে পড়েছে।
কোটবাজার চৌধুরী মার্কেটের ব্যবসায়ী আবুল কালাম জানান, প্রতি ঈদের মৌসুমে যে পরিমাণ মালামাল বিক্রি হত তার অর্ধেকও বিক্রি হয়নি এবার। সড়কের বেহাল দশার কারণে বিক্রি কমে গেছে বলে জানান তিনি।
উখিয়া দারোগা বাজারের তরকারি বিক্রেতা নুর মোহাম্মদ জানান, বৃষ্টি শুরুর পর থেকে মালামাল বিক্রি কমে গেছে। বাজারের গলিতে কাদামাটি ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ক্রেতারা আসছেনা বলে জানান তিনি।
সরেজমিন কোটবাজার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, গলিতে কাদামাটি থাকার কারণে ক্রেতারা বাজারের ভেতরে যেতে চাইছেন না। বাধ্য হয়ে যারা যাচ্ছেন তাদের জামা-কাপড় কাদা লেগে নষ্ট হয়ে পড়ছে।
বাজারে মাছ কিনতে আসা রত্নাপালং ইউনিয়নের গয়ালমারা এলাকার ছৈয়দ হোসেন জানান, উখিয়ায় মাছ না পেয়ে কোটবাজার এসেছি। কিন্তু মাছ বাজারের ভিতরে ঢুকার কোন পরিবেশ পাচ্ছিনা।
বাজারের মাছ বিক্রেতা সোনারপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল করিম জানান, ক্রেতা না আসায় প্রতিদিন মাছ অবিক্রিত অবস্থায় থেকে যাচ্ছে। যার কারণে অনেক লোকসান হচ্ছে। বাজারের ইজারাদার প্রতিনিয়ত টাকা আদায় করলেও এনিয়ে তাদের কোন চিন্তা নেই। ইজারাদারদের অনিহার কারণে পরিস্থিতি ঠিক হচ্ছেনা বলে জানান তিনি।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, টানা বৃষ্টিতে কয়েকটি হাটবাজারে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি কমলে তা এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে। তারপরও সংশ্লিষ্ট বাজার ইজারাদারকে এ ব্যাপারে দৃষ্টি রাখার জন্য বলা হয়েছে।

‘বন্দুকযুদ্ধে’
মাদক পাচারকারী
নিহত
পূর্বদেশ ডেস্ক
কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি’র সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অজ্ঞাত মাদক পাচারকারী নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তি রোহিঙ্গা বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল সোমবার ভোরে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দুপুর ১২টার দিকে টেকনাফের ২ বিজিবি ব্যাটলিয়ান সদর দফতরের অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) বন্দুকযুদ্ধে এক মাদক পাচারকারী নিহত হওয়ার বিষয়টি জানান। এ সময় মেজর রুবাইয়াৎ কবীরও উপস্থিত ছিলেন। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
লে. কর্নেল ফয়সল হাসান খান বলেন, সোমবার ভোর রাতে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে আসার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দমদমিয়া বিওপির নায়েক মো. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টহল দল জাদিমুড়া নাফ নদী সীমান্ত এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় একটি কাঠের নৌকা জাদিমুড়া মন্দির থেকে নাফ নদী দিয়ে দেশে ঢোকার সময় ইয়াবা পাচারকারীরা বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে ইয়াবা পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে অজ্ঞাত এক মাদক পাচারকারীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি দেশি একনলা বন্দুক, দুই রাউন্ড গুলির খোসা ও একটি কাঠের নৌকা জব্দ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, চলতি মাসের ১০ দিনে সীমান্ত থেকে ১৬ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এতেই প্রমাণ হয় মিয়ানমার থেকে এখনও ইয়াবা আসা বন্ধ হয়নি। যারা মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসা বন্ধ হয়েছে বলে প্রচারণা চালাচ্ছেন, এটি একদম মিথ্যা। কীভাবে ইয়াবা আসা বন্ধ করা যায়, বিজিবি সেই সমাধান খুঁজছে। এছাড়াও বিজিবি জীবন বাজি রেখে সীমান্তে ইয়াবাবিরোধী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।