উখিয়ার অর্ধশতাধিক স্পটে ইয়াবা ও মাদক সেবন যুব সমাজ ধ্বংসের পথে

49

উখিয়া উপজেলার ৫ ইউনিয়নের অন্তত অর্ধশতাধিক স্পটে চলে চলছে ইয়াবা ও মাদক সেবন। প্রতিদিন রাত নেমে আসার সাথে সাথে এসব স্পটে ইয়াবা ও মাদক সেবনকারীরা জড়ো হয়ে একত্রে এই নেশা করে থাকে। যার কারণে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছেলেদের থেকে শুরু করে উখিয়ার যুব সমাজ দিন দিন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হচ্ছে। অভিভাবকেরা উক্ত স্পটগুলো চিহ্নিত করে রাতের বেলায় পুলিশি অভিযান জোরদার করার দাবী জানিয়েছেন।
জানা গেছে, উখিয়া উপজেলার ৫ ইউনিয়নের মধ্যে বিশেষ করে সীমান্ত ইউনিয়ন হিসেবে পালংখালী, রাজাপালং এবং রত্নাপালং এলাকায় ইয়াবা ও মাদক পাচারকারী সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি বর্তমানে এসব ইউনিয়নের অন্যান্যদের তুলনায় ইয়াবা ও মাদক সেবনকারীরা সংখ্যাও আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। ৫ ইউনিয়নের অন্তত ৫০টি স্পটে প্রতি রাতে ইয়াবা ও মাদক সেবন করে চলেছে যুব সমাজ। এর থেকে বাদ যাচ্ছে না স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররাও।
নির্ভরযোগ্য সুত্র জানিয়েছে, ৫ ইউনিয়নের মধ্যে রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং, আজুখাইয়া, বড়বিল, আমতলি, করবনিয়া, ডেইলপাড়া, পূর্বডিগলিয়া, চাকবৈঠা, দরগাহবিল, সিকদার, টাইপালং, রত্নাপালং ইউনিয়নের সাদৃকাটা, রুমখাঁ কুলালপাড়া, ভালুকিয়া, আমতলি, পূর্বচাকবৈঠা, কামারিয়ারবিল, গয়ালমারা, হারুন মার্কেট, পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী কাস্টমস, বালুখালী পানবাজার, শিয়াইল্যাপাড়া, রহমতেরবিল, ধামনখালী, আঞ্জুমানপাড়া, বটতলী, তেলখোলা, মুছারখোলা, থাইংখালী, পালংখালী স্টেশনের পূর্ব পাশের্^, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পাগলিরবিল, ধুরুংখালী, বৌ-বাজার, খেওয়াছড়ি, চৌধুরীপাড়া, ক্লাসাপাড়া ও জালিয়পালং ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া,সোনারপাড়া, ইনানী বটতলি, নিদানিয়া, রূপপতি, মোহাম্মদ শফিরবিল, ছেপটখালী, মনখালীসহ অর্ধশতাধিক স্পটে বেপরোয়াভাবে চলে আসছে ইয়াবা ও মাদক সেবন।
রাজাপালং ইউনিয়নের দরগাহবিল গ্রামের আলী আকবর নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানান, রাতে বেলায় দরগাহবিল হাতিমোরা এলাকায় ইয়াবা ও মাদক সেবনের হাট বসে থাকে। শত শত যুবক ইয়াবা ও মাদক সেবনে আসক্ত হয়ে উঠছে। এমন কি স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছেলেদেরকে সেখানে দেখা যায়। এ জন্যে অভিভাবকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছে তাদের সন্তানদের নিয়ে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পূর্বডিগলিয়াপালং এলাকার এক অভিভাবক জানান, ইয়াবা ও মাদক সেবনকারীরা কৌশলে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছেলেদের বিনা পয়সা এ গুলো সেবনের অভ্যস্ত করে তোলার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে দু’এক দিন সেবন করার পর তারা নিজেরাই আসক্ত হয়ে পড়েন। এভাবে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছেলেসহ যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এগুলো বন্ধ করা না হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মেধা ও যুবশক্তি ধ্বংসের পাশাপাশি মেধাশূন্য হয়ে পড়তে পারে সম্ভাবনাময়ী উখিয়া। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল মনসুর জানান, ইয়াবা ও মাদকের ব্যাপারে কোন ছাড় নেই। তা থেকে থেকে সেবনকারীরাও বাদ যাবেনা। তাই ইয়াবা ও মাদক সেবনের স্থানগুলো চিহ্নিত করে দ্রæত সময়ের মধ্যে অভিযান চালানো হবে।