ঈদে চট্টগ্রামে থাকবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ

60

পবিত্র ঈদ-উল আযহা তথা কোরবানির ঈদ উপলক্ষে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চয়তা দিয়েছে পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশ বোর্ড (পিডিবি) চট্টগ্রাম অঞ্চল। যদি কোনো কারণে কোনো লাইনে সমস্যা না হয় তাহলে লোডশেডিং হবে না বলেও জানানো হয়।
গতকাল শুক্রবার পূর্বদেশকে এ তথ্য জানান পিডিবি চট্টগ্রাম জোনের প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন।
জানা যায়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি মিলেই হচ্ছে পিডিবি চট্টগ্রাম জোন। পুরো জোনে গ্রাহক রয়েছে ১০ লাখ ৯০ হাজার গ্রাহক। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরে গ্রাহক রয়েছে প্রায় ৭ লাখের মত। বাকিগুলো পার্বত্য অঞ্চলের। আবার চট্টগ্রাম জোনে আলাদাভাবে রয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। তাদের গ্রাহক আছে ১১ লাখ আর চাহিদা ৩০০ থেকে ৩৫০ মেগাওয়াট।
বৈরি আবহাওয়া এবং বৃষ্টিপাতের কারণে ডিস্ট্রিবিউশন লাইনে বিভিন্ন রকম সমস্যার সৃষ্টি হয়। যার মধ্যে অতিরিক্ত লোডের কারণে বিভিন্ন জায়গায় ট্রান্সফরমার এবং ফিউজ পুড়ে যাওয়া অন্যতম। ফলে লাইন পুনরায় সচল করতে মেইন সাব স্টেশন থেকে লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়। তখন ওই লাইন যে সব এলাকায় গেছে সেসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ থাকবে না।
জনসাধারণের অভিযোগ,প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার ফলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। ঈদেও যদি একই সমস্যায় পড়ি তাহলে আমাদের ঈদটাই মাটি হয়ে যাবে।
গৃহিণী মেহনুর জান্নাত জানান, কোরবানির সময় আমরা ফ্রিজে মাংস সংরক্ষণ করে রাখবো। যদি দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিং থাকে তবে সবকিছুই নষ্ট হয়ে যাবে। সরকারের প্রতি অনুরোধ থাকবে যাতে লোডশেডিং না হয়।
প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন বলেন, শুধুমাত্র ঈদকে কেন্দ্র করে আমরা একটি ডিউটি তালিকা করেছি। যেটার নেতৃত্বে থাকবো আমি। এটার অন্তর্ভুক্ত থাকবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। আমরা শিডিউল করেছি এভাবে- যেখানে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী থাকবে কন্ট্রোল রুমে আর নির্বাহী প্রকৌশলীরা সার্বক্ষণিক ডিউটিতে থাকবে।
ঈদে পুরো জোনে বিদ্যুতের চাহিদা কেমন থাকবে প্রশ্নে বলেন, আমার পুরো জোনে ৯০০ মেগাওয়াটের মতো চাহিদা থাকবে। যদি বৃষ্টি হয় তাহলে চাহিদা আরও কমে যাবে। আবার একটা বিষয়ও মাথায় রাখতে হবে, ধরুন হঠাৎ করে কোনো এলাকায় অতিরিক্ত লোডের ফলে একটি ট্রান্সফরমার বা ফিউজ পুড়ে গেলো, সেটি সারানোর জন্যেই সাময়িক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকতে পারে। আবার কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই সচল করা হবে।