ঈদে গন্তব্যে ফেরা হোক নিরাপদ

44

নাড়ির টানে ঈদে মানুষ বাড়িতে আত্মীয় স্বজন নিয়ে ঈদ করতে আনন্দ অনুভব করে। সে কোরবানির ঈদ হোক আর রোজার ঈদ হোক। যে কারণে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রতিবছরই সড়ক ও নদীপথে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঈদে বাড়ি যাত্রায় এবং বাড়ি ফেরত মানুষের দুর্ঘটনার শিকার হন। সক্রিয় হয়ে উঠে গাড়ির হেলপার ও লাইসেন্সবিহীন চালকেরা। ফলে দুর্ঘটনায় অনেকেই প্রাণ হারান। আনন্দের ঈদ নিরানন্দ ও বিষাদে পরিণত হয়। যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেন চোখের জল তাদের বাকি জীবনের সাক্ষী হয়ে থাকে। প্রত্যেক ঈদে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে। তারপরও এ দুর্ঘটনার হার কমানো যায় না। সরকারের উচিত সরকারি ঈদ ছুটি দু’একদিন এদিক-সেদিক করে যাত্রাপথে দুর্ঘটনা হ্রাসে পদক্ষেপ নেয়া। ঈদ মানে যানবাহনের ক্ষেত্রে বিরাট নৈরাজ্য। প্রতিযোগিতা চলে লঞ্চ ও বাসের দাম বৃদ্ধির। কাউন্টারে ট্রেনের টিকিট না মিললেও বøাকারের কাছে বাড়তি দামে ঠিকিট পাওয়া কোনো বিষয়ই নয়। বøাকারদের টিকিট দেয়া যে উপরি পাওয়া তার শেয়ার পান স্টেশন মাস্টারসহ অবৈধ চক্র। বন্ধ একসাথে শুরু এবং একসাথে শেষ হওয়ায় সব মানুষই একই দিনে গন্তব্যে ফিরতে যার পরনাই তাড়াহুড়ো করেন। এ থেকে দুর্ঘটনার পাল্লা ভারি হয়। এই ছুটি বাড়াতে সরকারকে নতুনভাবে চিন্তা করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য খাতে ছুটি এদিক সেদিক করতে হবে। খোলার দিন যাতে একই সাথে না হয়। বন্ধ করতে হবে আতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই। ননস্টপের নামে যেখানে-সেখানে যাত্রী উঠা-নামা চলবে না। মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ে চ্যাম্পিয়ন লঞ্চ-স্টিকমারগুলো। এ সমস্যা প্রতিবছরই ঘটে। থামানোর কোন প্রচেষ্টাই কার্যকর হয় না। এবারের ঈদে আরেকটি বিষয় অত্যন্ত দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা হলো ডেঙ্গু। আশংকা করা হচ্ছে ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর তা হবে ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী যে কেউ তা অন্যস্থানে নিয়ে যেতে পারে। এ থেকে সাবধান থাকতে হবে।