ঈদের আগে পিসি ও আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের কার্পেটিং হবে

60

আগ্রাবাদ সংযোগ সড়ক ও পোর্ট কানেকটিং (পিসি) সড়কের কাজ নিয়মিত মনিটরিং করার কথা উল্লেখ করে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, সড়ক দু’টির কাজের অগ্রগতি দেখার জন্য আমি নিয়মিত পরিদর্শন করি। এ প্রকল্পে যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের সাথে নিয়মিত বৈঠক করি এবং কাজ দ্রæত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য তাদেরকে দিকনির্দেশনা প্রদান করে যাচ্ছি। সড়ক দু’টির কাজ জাইকার অর্থায়নে হচ্ছে।
তিনি নগরীর এ ব্যস্ততম সড়ক হিসেবে পরিচিত আগ্রাবাদ সংযোগ সড়কের বেপারীপাড়া থেকে পোর্ট কানেকটিং রোডের দক্ষিণাংশ এবং পোর্ট কার্নেকটিং রোডের নিমতলা থেকে ওয়াপদা পর্যন্ত রাস্তার পূর্বাংশ ঈদের আগে কাপেটিং লেয়ারের কাজ সম্পন্ন হবে বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, রাস্তা দু’টি যাতে গাড়ি চলাচলের উপযোগী হয় এবং বর্ষা মৌসুমে যান ও জন চলাচলে ভোগান্তি লাঘবে
চসিক কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি গতকাল সোমবার দুপুরে চসিক কনফারেন্স হলে নাগরিক উদ্যোগ’র নেতৃবৃন্দ সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
নাগরিক উদ্যোগ’র আহবায়ক খোরশেদ আলম সুজন অনুষ্ঠানে ১৪টি দাবি সিটি মেয়রের নিকট উত্থাপন করেন। দাবীগুলোর মধ্যে নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোড এবং নিমতালা বিশ্বরোডের অসমাপ্ত উন্নয়নকাজ দ্রæত শেষ করার আহŸান জানানো হয়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমের আগেই উল্লেখযোগ্য কাজ শেষ করা জরুরি। এছাড়া প্রচÐ ধুলোবালিতে ঐ এলাকার জনজীবন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে, আরাকান সড়ক (বহদ্দারহাটের পর থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সড়টি দীর্ঘদিন যাবত ওয়াসার সংস্কার কাজের জন্য একপাশ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে ঐ এলাকা দিয়ে চলাচলরত জনসাধারণের তীব্র দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, নগরজুড়ে ওযাসার খোড়াখুড়ি হচ্ছে। চসিক এর সাথে কোন সমন্বয় নেই। এতে নতুন রাস্তা করে যাওয়ার পর আবার খুড়ে পুরো রাস্তাটি নষ্ট করে দেওয়া হয়, বিমানবন্দরের প্রবেশ মুখে কন্টেইনার ইয়ার্ডগুলো বিমানবন্দরকে পুরো চট্টগ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। যানজটের জন্য প্রতিদিনই বিমান মিস করছে যাত্রীরা। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে, অথচ আগ্রাবাদ শেখ মুজিব সড়কটি পুরোটাই বক্স কালভার্ট। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মিত হলে পুরো বন্দরের নিরাপত্তা বিঘিœত হবে, পর্যাপ্ত খেলার মাঠ এবং আধুনিক বিনোদন কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। নচেৎ মোবাইল গেমিং, ফেসবুক এবং ইন্টারনেট নতুন প্রজন্মকে গ্রাস করে ফেলবে, নগরজুড়ে মশার ব্যাপক প্রজনন এবং উৎপাত। কিন্তু মশার প্রজনন বন্ধ এবং উৎপাত ঠেকাতে চসিকের কোন কার্যকর উদ্যোগ নেই, নগরীর সড়কবাতি সমূহের যাচ্ছেতাই অবস্থা। অনেক সময় দেখা যায় সারদানিব্যাপী সড়ক বাতি জ্বলে কিন্তু রাত্রে জ্বলে না। বর্তমানে রাস্তায় সড়কবাতির অবস্থা নাজুক। বিশেষ করে অলি গলিতে সড়কবাতি নাই বল্লেই চলে, বাজার মনিটরিংয়ে চসিক পিছিয়ে আছে বলা যায়। প্রতিটি বাজারের সামনে মূল্য তালিকার ডিজিটাল তালিকা স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক। ভেজাল খাদ্য উৎপাদন এবং পরিবেশনকারীদের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার ব্যবস্থা করা, অলিগলির নালা আবর্জনায় ভরপুর। বর্ষা মৌসুমে যেগুলো জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত, প্রচুর উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ হচ্ছে কিন্তু নি¤œমানের উন্নয়ন কাজ। জনগণের সাথে ঠিকাদারের খারাপ আচরণ। বিশেষ করে অলিগলির সড়কগুলোর নির্মানকাজ খুবই নি¤œমানের, খোলা ট্রাকে করে আবর্জনা পরিবহন। বিশেষ করে সন্ধ্যার সময় খোলা ট্রাকে আবর্জনা পরিবহন জনমনে বিরক্তির কারণ হয়। সিইপিজেড, কেইপিজেড এবং ঐ সকল এলাকায় অবস্থিত সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা প্রতিদিন কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরতে প্রচুর বিড়ম্বনায় পড়েন। অফিস ছুটির পর গণপরিবহন পাওয়া যায় না।
সিটি মেয়রের উদ্দেশে খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আপনি এই নগরীর অভিভাবক। সফলতা আর ব্যর্থতার সকল দায়ভার আপনার উপর। আপনার দায়িত্ব পালনে আমাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা থাকবে।
তিনি বলেন, শহরে একসঙ্গে রাস্তা খোড়াখুড়ি না করে একটি রাস্তার কাজ শেষ করে, অপরটির কাজ শুরু করার জন্য ওয়াসাসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি অনুরোধ করছি।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির বলেন দাবি, দাবিগুলো অত্যন্ত সময়োপযোগী। একটি আধুনিক ও বাসযোগ্য নগর গড়তে দাবিগুলোর গুরুত্ব রয়েছে। সিটি কর্পোরেশন অধিকাংশ দাবির কাজ ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এর দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা যাবে।
এ সময় নাগরিক উদ্যোগ’র নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাজী মো. ইলিয়াছ, মো. কামাল মেম্বার, হাজী হোসেন কোম্পানী, হাবিবুর রহমান, নিজাম উদ্দিন, আব্দুল আজিম, এজাহারুল হক, মোসাদ্দেক হোসেন বাহাদুর, মো. শাহজাহান, পংকজ চৌধুরী কংকন, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, সোলেমান সুমন, সমীর মহাজন লিটন, শেখ মামুনুর রশীদ, জাহাঙ্গীর আলম, সফি আলম বাদশা, স্বরূপ দত্ত রাজু, ওয়াসিম, মাহফুজ চৌধুরী, শিশির কান্তি বল, শেখ সরওয়ার্দী এলিন, রকিবুল আলম সাজ্জী, রাজীব হাসান রাজন, এম ইমরান আহমেদ ইমু, দীপংকর সৌমশান্ত, মনিরুল হক মুন্না, হাসান মুরাদ প্রমুখ। বিজপ্তি