ঈদগাঁও মেহের ঘোনায় নির্বিচারে পাহাড় ও বৃক্ষ নিধন

43

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের মেহেরঘোনা রেঞ্জের নতুন বাজারের পূর্বদিকে কাঁচা রাস্তা দিয়ে দিনরাত কাঠ, বালু, মাটি পাচার অব্যাহত রয়েছে। প্রশাসনের নাকের উপর দিয়ে পাচার হলেও রহস্যজনক কারণে বন বিভাগ নীরব ভুমিকা পালন করছে। অভিযোগ রয়েছে, মাসিক টাকা দিতে দেরি হলে বন বিভাগ রাস্তা বন্ধ করে কেটে দেয় কিন্তু টাকা হাতে পেলেই আবার খুলে দেয়। বছরের পর বছর ধরে এই অবস্থা চলতে থাকলে ও কোন সুরাহা মিলছে না। এলাকার ইয়াবা ও অস্ত্র ব্যবসায়ীরা এতে পরোক্ষভাবে জড়িত থাকায় বনবিভাগের পক্ষে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। রাত হলেই চলতে থাকে ফাঁকা গুলি বর্ষণের মাধ্যমে ক্ষমতা প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ঈদগাঁও ইউনিয়নের কালিরছড়া উত্তর পাড়া তেতুল গাছ তলা হতে রাস্তাটি পূর্ব দিকে গিয়ে একেবারে ভাদিতলা পর্যন্ত চলে গেছে। এই রাস্তা দিয়ে গেলে চোখে পড়বে কি পরিমাণ পাহাড় ও বৃক্ষ নিধন সংঘটিত হয়েছে। সড়কে গভীর রাত পর্যন্ত চলে ডাম্পার। এসব গাড়ি যোগে বাগানের গাছের চারা কেটে ব্রিক ফিল্ডে বিক্রয় করা হয়। তবে বালি মাঝে মধ্যে জব্দ করা হলেও রহস্যজনক কারণে তা নামে মাত্র নিলামের মাধ্যমে দফারফা করা হয়।
অন্যদিকে ভাদিতলা রোড দিয়ে একইভাবে গাছ ও বালি পাচার অব্যাহত রয়েছে। রক্ষক যেখানে দর্শকের ভূমিকায় সেখানে মাদক ব্যবসায়ীরা পাহাড় কর্তন ও বালি বিক্রির সাথে জড়িত হয়ে এ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভাদিতলার একজন কাঠুরিয়া জানান, বর্তমানে একটি শক্তিশালী চক্র সামাজিক বনায়নের নামে কয়েক শ একর পাহাড় দখল করেছে। সেই পাহাড়ে কারও প্রবেশের সাধ্য নাই। কিন্তু রাত্রে গাছ কেটে বনবিভাগের সহযোগিতায় ব্রিক ফিল্ডে পাচার করা হয়।
কালিরছড়ার একজন ডাম্পার ড্রাইভার জানিয়েছে, বালি, মাটি এবং জ্বালানী কাঠ এই এলাকার বহুমুখী ব্যবসা। এসব ব্যবসা অবৈধ কিন্তু কেউ তোয়াক্কা করে না। এলাকার একটি ডাম্পারেরও লাইসেন্স নাই কিন্তু রহস্যজনক কারণে তাদের আটকানো হয়না।