ঈদগাঁও পুলিশের অভিযানে সিএনজি ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

25

কক্সবাজার সদরের ইসলামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আমানুল হক ইমনসহ আন্ত বিভাগীয় সিএনজি গাড়ি ও মোটরসাইকেল চোরচক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ৯ মে চট্টগ্রাম নগর, কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও, ইসলামপুর ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাই ৬ টি গাড়িসহ তাদের গ্রেপ্তার করেন চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানা ও ঈদগাঁও পুলিশ।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার ৪ গাড়ি চোরকে জিজ্ঞাসবাদ শেষে গত শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করেছেন পুলিশ। তারা হলেন- কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামপুর এলাকার মো. শফির ছেলে আমানুল হক প্রকাশ ইমন (২৩), একই এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে মো. শাহজাহান (২২), রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের দোছড়ি গ্রামের মাস্টার মো. শাহ আলমের ছেলে মো. কামাল উদ্দিন (৩৫) ও চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ চৌধুরীপাড়া এলাকার ফজল কবিরের ছেলে মো. নাছির উদ্দীন (২৮)।
বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশা চোরচক্রের চার সদস্যকে থানার এসআই আসাদুর রহমান এবং ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সনজিত চন্দ্র নাথের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে চোরাই চারটি মোটরসাইকেল ও দুইটি সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে। ঐদিন মো. নাছিরকে একটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যে আমানুল হক প্রকাশ ইমন ও শাহজাহানকে কক্সবাজারের ঈদগাঁও এলাকা থেকে এবং কামাল উদ্দিনকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মাত্র ৭৮ সেকেন্ডের ভেতরে যেকোনো তালা ভেঙে মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিক্সা চুরি করতে সক্ষম এ চক্রের সদস্যরা।
স্থানীয় একটি সূত্রে জানান চট্টগ্রাম নগর থেকে চুরি করে এসব মোটরসাইকেল তারা নিয়ে যান গ্রাম এলাকায়। আবার গ্রাম থেকে শহরে। গাড়ির নম্বর, ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর পরিবর্তন করে এসব চোরাই গাড়ি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিক্রি করে দেয় চক্রটি।