ঈদগাঁওয়ে যুবক খুনের ঘটনায় পৃথক দুই মামলা

32

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হওয়া টমটম চালক ইসলামপুর মধ্যম নাপিতখালী মাঝের পাড়া এলাকার আবদুস সবুরের ছেলে নুরুল হকের মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার আসরের নামাজের পর জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এরআগে ভোর ৬ টায় ময়না তদন্তের জন্য নুরুল হকের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। পরে তার স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ছেলে হত্যার দায়ে নিহত নুরুল হকের মা আলম সাইর বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে একটি এবং পুলিশ বাদী হয়ে অপর একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করেছে।
এদিকে নুরুল হকের হত্যাকারী হিসেবে অভিযুক্ত এহেসান জোহান পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের হেফাজতে রয়েছে। জানা গেছে, নুরুল হকের ইজিবাইক (টমটম) এর ব্যাটারী ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ইসলামপুর নতুন অফিস বাজার থেকে ২৫০ টাকায় রিজার্ভ ভাড়া করে দক্ষিণ মাইজ পাড়া এলাকায় এনে গুলি করে খুন করে একই এলাকার সেনাবাহিনীর প্রাক্তন লে. কর্ণেল এহসানুল হকের ছেলে এহেসান জোহানের নেতৃত্বে ৪-৫ জন দুর্বৃত্ত। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে ঈদগাঁ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে এসআই সনজিত চন্দ্র নাথ, আবু বক্কর ছিদ্দিক, এএসআই লিটনুর রহমান জয়, মহিউদ্দিন, বিলাস সরকারসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুরো এলাকা ঘেরাও করে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘটনায় অভিযুক্ত জোহানকে অস্ত্রসহ আটক করে।
ঘটনার পর পরই ঈদগাঁহ’য় আসেন কক্সবাজার সদর সার্কেল এএসপি আদিবুল ইসলাম, অফিসার্স ইনচার্জ ফরিদ উদ্দীন খন্দকার, ওসি (তদন্ত) মো. খায়রুজ্জামান।
তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান জানান, ঘাতককে অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে, বাকী আসামিদের ধরতে পুলিশ বিভিন্নভাবে অভিযান চালাচ্ছে। আটককৃত খুনিকে সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।