ঈদগাঁওতে সৌদি নাগরিকের লাশ উদ্ধার

34

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও বাসস্ট্যান্ড এলাকার এক ভাড়া বাসার ৫ম তলার ছাদ থেকে মোহাম্মদ হাসান (৩৫) নামের এক সৌদি নাগরিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত সোমবার স্থানীয় শামশুল আলমের মালিকানাধীন ভবনের ৫ম তলার ছাদ থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানায় পুলিশ। মোহাম্মদ হাসান সৌদি আরবের মৃত আবদুল হামিদ প্রকাশ এবাদুল্লাহ’র ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, হাসান বিগত ১ বছর আগে পূর্ব পরিচিতির সুবাদে সদরের জালালাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব মিয়াজী পাড়া এলাকার মৃত নুরুল কবিরের ছেলে বজলুর রশিদের বাড়িতে আসেন। সেখানে ৩-৪ মাস অবস্থান করার পর আলাদা রুম নিয়ে উল্লেখিত ভবনে উঠেন। সেখানে গত ৬ মাস ধরে বসবাস করে আসছিলেন। সোমবার স্থানীয় লোকজন মারফত খবর পেয়ে ঈদগাঁ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামানের নির্দেশে এসআই কাজী আবুল বাসার, এএসআই বিলাস সরকার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহের সুরহতাল রিপোর্ট তৈরি করে মর্গে প্রেরণ করে।
এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসানের নিকটাত্মীয় (বর্তমানে লিংক রোড এলাকার বাসিন্দা) মৃত হাসানের ছেলে সৌদি নাগরিক শমির, হুমায়ুন, মাজেদ ও চৌফলদন্ডী মাইজপাড়া এলাকার ফয়সাল নামের আরেক যুবককে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে তারা মৃত্যুর সংবাদ শুনে হাসানের ভাড়া বাসায় তাকে দেখতে আসছিল বলে জানিয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে লাশ উদ্ধারকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই কাজী আবুল বাসার বলেন, ধৃত ফয়সাল মৃত হাসানের সাথে প্রায় সময় চলাফেরা করতো। রাতে তার সাথে রুমে ছিল কি না জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মৃত হাসানের শ্বশুড়বাড়ি টেকনাফের হোয়াইক্ষ্যং এলাকায় হলেও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সৌদি আরবে থাকেন। পুলিশের ধারণা মৃত হাসান সৌদি আরবে কোনো অপকর্ম করে বাংলাদেশে চলে এসেছেন। মৃতদেহ উদ্ধারের সময় মুখ বাঁকা এবং দাঁতের মাড়িতে হালকা রক্ত দেখা গেছে।
এসআই আবুল বাসার আরো জানান, প্রাথমিকভাবে স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে আসলে মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে।
ঈদগাঁ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মৃত হাসানের পক্ষে কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।