ঈদগাঁওতে গরু চুরি

46

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও-জালালাবাদ ইউনিয়ন থেকে এক রাতে দেড় লক্ষাধিক টাকার ৩টি গরু চুরি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত ১১ এপ্রিল রাত আনুমানিক ৩টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পুর্ব ফরাজী পাড়া এলাকার টিকে ব্রিক ফিল্ডের সামনে মৃত আবদুল নবীর ছেলে নুরুল আলমের বাড়িতে। চুরি হওয়া গরু গুলোর হদিস পায়নি গৃহস্থতের স্বজনরা। এ ব্যাপারে অজ্ঞাতনামা চোরদের বিরুদ্ধে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে ভুক্তভোগীর পরিবার। বাড়ির মালিক নুরুল আলম জানান, প্রতি রাতের ন্যায় গোয়াল ঘরের দরজা বন্ধ রেখে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। ভোরে ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখতে পান গোয়াল ঘরের দরজা খোলা। সামনে গিয়ে দেখতে পায় পালিত ৩টি গরু নাই। গরু গুলো ধরণ একটি বড় আরেকটি মাঝারি এবং অপরটি ছোট। তিনি আরো জানান, চুরি হওয়া গরু গুলোর বাজার মূল্য আনুমানিক দেড় লক্ষাধিক টাকা হবে। বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তার ধারণা গরু গুলো চুরি করে পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার বদরখালী এলাকায় জনৈক ব্যক্তির খামারে থাকতে পারে। খামার মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় সেখানে যেতে পারছে না। উল্লেখ্য, বুহত্তর ঈদগাঁও থেকে প্রতিনিয়ত গরু চুরির ঘটনা ঘটে আসছিল। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন হার্ট লাইনে অবস্থান করলে কিছুদিনের জন্য গাঁ ঢাকা দেন সঙ্গবদ্ধ এ গরু চোর সিন্ডিকেট। ফের গরু চুরির ঘটনা ঘটায় গৃহস্থদের মধ্যে অজানা আতংক বিরাজ করছে। এলাকাবাসী জানান, রাতের বেলায় প্রতি ইউনিয়নে একেকটি টহল টিম জোরদার করা হলে চুরি ঠেকানো যাবে। ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান জানান, জালালাবাদ ইউনিয়ন থেকে গরু চুরির বিষয়টি কেউ জানাইনি এখনো। রাত্রীকালিন সময়ে আগের চেয়ে অতিরিক্ত টহল জোরদার করা হয়েছে। গরু চুরি বন্ধে এলাকাবাসীর সহযোগিতা পেলে নিমিষেই নির্মূল করা হবে গরু চোরদের।