ইসলামের প্রচার-প্রসারে আল্লামা সৈয়দ মাওলানা আমিনুল হক ফরহাদাবাদী (রা.) এর অবদান

1007

কুতুব আফকম গাউছুল আযম, সোলতানুল আরেফিন, রুহল আশেক্বীন মুরাদুল মোসতাক্বীন, ইমামুল আওলিয়া, হযরত মাওলানা শাহ ছুফী সৈয়দ আহম্মদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (কু:) প্রকাশ হযরত কেবলা থেকে খিলাফত প্রাপ্ত এবং গাউছুল আযম মাইজভান্ডারীর বিশিষ্ট খলিফা আলেমকুল শিরোমণি বাহারুল উলুম, গাউছেজামান মুফতিয়ে আযম, ছৈয়দুল মুনাজিরিন, ছনদুল মোহাক্কিক্কিন শায়কুল ইসলাম যিনি ইসলাম প্রচার ও প্রসারের জন্য অনেকগুলো কিতাব স্বহস্তে লিখেছেন এবং উক্ত কিতাব এখনো বৈদেশিক রাষ্ট্রে মিসরে প্রতিষ্ঠিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষিত রয়েছে। যাহা এখনো কেউ উক্ত কিতাবের লিখাগুলো বাংলায় তরজুমা অনুবাদক করতে অপারগ। সেই কিতাবগুলোর রচয়িতার ব্যক্তির নাম হচ্ছে মিলাদে মোস্তফা (সা:) ও গাউছিয়া প্রতিভাবান বেলায়েতের তরিকতের সেই ব্যক্তির নাম হচ্ছে মুফতি আল্লাম সৈয়দ মাওলানা আমিনুল হক শাহ ফরহাদাবাদী।
উল্লেখ্য যে, আমি আমরা কখনো দেখিনাই এমনকি আমার/ আমাদের অভিভাবকরাও দেখেছে বটে তবে অভিভাবকরাও ছোট শিশু ছিল। পূর্বের মৌরশী সূত্রে জানিতে পারিলাম যে, প্রত্যন্ত অঞ্চলের ফটিকছড়ির অন্তর্গত মাইজভান্ডার দরবার শরীফের হযরত মাওলানা সৈয়দ আহম্মদ উল্লাহ প্রকাশ হযরত কেবলা হতে খেলাফত প্রাপ্ত মুফতি সৈয়দ মাওলানা আমিনুল হক শাহ ফরহাদাবাদি (একজন বড় মাপের আলেমের মধ্যে কলম সৈনিক ছিলেন। সৈয়দ মাওলানা আমিনুল হক শাহ ফরহাদাবাদীর জীবনীর ইতিকথা বিস্তৃত স্থানীয় মাইজভান্ডার তরিক্বত পন্থি মানুষের অজানা নাই। ছোট্টকাল থেকে দেখে যাচ্ছি এই আলেমের দরবার শরীফে অনেক দূরদূরান্তর থেকে আগত ভক্তরা উক্ত ওরশ শরীফে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু উক্ত বড় আলেম হওয়া সত্তে¡ও কোন প্রচার প্রসার না থাকায় উক্ত দরবার শরীফ অবহেলায় পড়ে আছে। উনি এমন বড় আলেম যিনি শুধু মাইজভান্ডার দরবার শরীফের জন্য আজীবন ইসলামী ভাবধারায় প্রচার প্রসার ও তরীকতের মৌলিক সাধনা করে গেছেন লেখুনি কিতাবের মাধ্যমে। কিন্তু নিজের জন্য তেমন কোন প্রচার প্রসার করেনি। তিনি মাইজাভান্ডার দরবার শরীফের অন্যতম একমাত্র প্রচার প্রসারের জন্য নিয়োজিত ছিলেন। এই সেই আল্লামা সৈয়দ মাওলানা আমিনুল হক শাহ ফরহাদাবাদী তার প্রতিটি লেখনি আক্ষরিক জ্ঞান পরিমণ্ডলের জন্য মাইজভান্ডার দরবার শরীফের অলিয়ে শিরোমণি বেলায়তের তরবারী হযরত সৈয়দ আহাম্মদুল হক শাহ প্রকাশ হযরত কেবলা মুফতি উপাধি দিয়ে মাইজভান্ডারী তরিকতের অধিকারী ভুষিত করেন। মাইজভান্ডার দরবার শরীফের পরেই ভক্তদের মিলনমেলায় পরবর্তী কোন ২য় মাাজার শরীফ যদি থাকে তাহলে জাদরেল আলেম ওয়ালামায়ে কেরাম ২য় মাইজভান্ডার শরীফ এর মত ভক্তদের মিলন মেলায় হওয়ার কথা আল্লামা সৈয়দ মাওলানা আমিনুল হক শাহ ফরহাদাবাদীর দরবার শরীফের মহলে। কিন্তু বর্তমানে সমাজ প্রেক্ষাপটে কোন ঢাকঢোল ও প্রচার প্রসারের অভাবে অনেকেই উক্ত দরবার শরীফ সম্পর্কে কোন অবগত নই। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে নতুন প্রজন্মরা। সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় প্রচার প্রসার হতো তাহলে মাইজভান্ডার দরবার শরীফের মতো পরবর্তী আরেকটি ভক্তদের অত্র আল্লামা সৈয়দ মাওলনা আমিনুল হক সাহেব ফরহাদাবাদী দরবার শরীফের মিলন মেলায় পরিণত হতো। উক্ত আল্লামা সৈয়দ মাওলানা আমিনুল হক শাহ ফরহাদাবাদী অনেক জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন, তাহা জ্ঞানের পরিমন্ডল যেমন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিষয়ে অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান এবং মাইজভান্ডার দরবার শরীফের আওলাদে শাহাজাদা ডা. দিদারুল হক (ম:) এবং আওলাদে রাসুল (স:) এর আওলাদে গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী শাহ সুফী সৈয়দ শহিদুল হক মাইজভান্ডারী প্রকাশ ছুট হুজুর এর বক্তব্যের আলোকে বিগত ৩০/১২/২০১৯ইং তারিখে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের আল্লামা সৈয়দ মাওলানা আমিনুল হক শাহ ফরহাদাবাদী শীর্ষক স্মরণে এক সেমিনারে বক্তব্য জানা যায়। আমার এই ক্ষুদ্র জ্ঞানের পরিসরে সংগৃহীত তথ্যাদির মাধ্যমে কে সেই আল্লামা মাওলানা সৈয়দ আমিনুল হক শাহ ফরহাদাবী জন্ম ও ওফাত বার্ষিকী নিয়ে নিম্নে তুলে ধরেছি নবাগত লেখক হিসাবে। আশাকরি ভুল ত্রুুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমি অতি নগন্য তবুও আমার নিজের বাসস্থানে পার্শ্বে স্থিত মুফতি আধ্যাত্মিক জগৎ শাহ সুফী আলহাজ্ব মাওলানা শাহ ছুফী আল্লামা সৈয়দ মাওলানা আমিনুল হক শাহ ফরহাদাবাদীর দুই একটি কথা না বললে নয়। উনি চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার অন্তর্গত ফরহাদ শাহ এর নামানুসারে এলাকার নামকরণ করা হয় ফরহাদাবাদ। অর্থাৎ ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন অত্র ফরহাদাবাদ গ্রামের খ্যাতি সৈয়দ ও নুর কাজী বংশের আলেম পরিবারের ১৮৬৬ ইং খ্রী. জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর সুযোগ্য পিতার নাম সৈয়দ আব্দুল করিম (র:) আল্লামা সৈয়দ আমিনুল হক ফরহাদাবাদির বাল্যকালে তাঁর পিতার কাছে থেকে পবিত্র কুরআন ও নামাজ শিক্ষা গ্রহণ করেন। পবিত্র কুরআন শিক্ষা শেষ করে তিনি স্থানীয় মাদারাসায় ভর্তি হন এবং সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করার পর উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য চট্টগ্রাম শহরের সরকারী মহসনীয়া মাদারাসায় ভর্তি হন। ইসলামী জটিল বিষয় এর উপর তার ফতুয়া প্রণয়ন এর দক্ষতা ইসলামে কুরআন, ইসলমে হাদীছ, উসুলে হাদীছ ফিক্হ উসুলে ফিক্হ তাফসীর আকাইদ কালাম নাহু সরফ মনোযারা, মানতিক ফরায়েজ ফার্সি ও পদ্য লিখন পদ্ধতি দক্ষতা দেখে তাঁর সময় সাময়িক আলেমগণ তাঁকে যোগ্য মর্যাদা দিলেন এবং সর্বসাধারণের কাছে তিনি বড় মাওলানা সাহেব নামে পরিচিতি লাভ করলেন। তিনি বিভিন্ন ভাষায় পারদর্শী ছিলেন যেমন- বাংলা, হিন্দি, উর্দু, ফারসিসহ অসংখ্যা ভাষাবিদ ছিলেন। সে পটভূমি থেকে আমিনুল হক শাহ ফরহাদাবাদী যিনি যুগোপযোগী সে সময় বড় আলেম হিসাবে সুপরিচিত ছিলেন। কথিত আছে তিনি মিলাদে মোস্তফা (সা:) এর বিষয়ে “নাজ মে দিল“ কেবলা ফি মিলাদে মোস্তফা সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম নামক একটি অতি মূল্যবান কিতাব রচনা করেন। সেই থেকে তিনি আল্লামা সৈয়দ আমিনুল হক শাহ ফরহাদাবাদী মাইজভান্ডার দরবার শীফের তরীক্বতের বিষয়াবলি নিয়ে প্রচার প্রসারে সর্বাদিক বিশেষ হিসাবে কাজ করে গেছেন। তাই মাইজভান্ডার দরবার শরীফে ইসলামী তরিক্বতে সাধারণ মানুষের কাছে তিনি আল্লামা সৈয়দ মাওলানা আমিনুল হক শাহ ফরহাদাবাদী এলাকায় বড় মাওলানা সাহেব নামে পরিচিতি লাভ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় সংগৃহীত আল্লামা সৈয়দ মাওলানা আমিনুল হক শাহ ফরহাদাবাদী হুজুর কেবলাকে ইমাম আলা হযরত আহমদ রেযা খান ফাযেলের বেলভী কেবলা পত্রের মারফত তার সঙ্গী হিসাবে তার দফতরে আল্লামা সৈয়দ মাওলানা আমিনুল হক শাহ ফরহাদাবাদী হুজুর কেবলাকে আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু তিনি তার প্রতি উত্তরে জানান আমি আমার মুর্শিদ কেবলা হুজুর গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী কেবলা কাবার সান্নিধ্যে বাংলাাদেশে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এর খেদমত করে যাবো। এই থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ইমাম আলা হযরত কেবলার মধ্যে কোন বিরোধ ছিল না। বরং সুসম্পর্ক ছিল। এরা ২ জনই ছিলেন শায়খুল ইসলাম।
হুজুর গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী কেবলা আল্লামা সৈয়দ মাওলানা আমিনুল হক শাহ ফরহাদাবাদী -কে খেলাফত প্রধানকালে কালাম করেন আমার ৬টি কিতাব হইতে একটি তোমাকে আল্লামা সৈয়দ মাওলানা আমিনুল হক শাহ ফরহাদাবাদীর (তোমাকে) দিয়াছি। আমার ১২ টি কাছারী আছে তৎমধ্যে ১টি তোমাকে দিয়াছি। আমার ১২টি বাতি আছে তৎমধ্যে একটি বাতি তোমাকে দিয়েছি এবং আমার ১২ জন ইমামের মধ্যে একজন তোমাকে নিযুক্ত করিয়াছি।
আল্লামা সৈয়দ মাওলানা আমিনুল হক শাহ ফরহাদাবাদী হুজুর বলতেন বাতির আলো ফুক দিয়া নিভানো যায় ইমানের আলো শত ফুক দিয়াও নিভানো যায় না। যত ফুক দেওয়া হয় ততই প্রজ্বলিত হয়।
অছিয়ে গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী দেলা ময়না হযরত মাওলানা সৈয়দ দেলাওর হোসাইন আল মাইজভান্ডারী কাদ্দাসা সিররাহুল আজিজ তার রচিত বেলায়তের মোতলাবা নামক কিতাবে মুফতিয়ে আযম আল্লামা সৈয়দ মাওলানা আমিনুল হক শাহ ফরহাদাবাদী ছাহেব একজন জবরদস্ত মহান কামেল অলি ও ইসলামী বিধান শাস্ত্র বিশারদ মুফতি ছিলেন বলে উল্লেখ করেন। আল্লামা সৈয়দ মাওলানা আমিনুল হক শাহ ফরহাদাবাদী হুজুর মিশর জামেউল আজহার বিশ্ব বিদ্যালয়ের আলেমগণ কর্তৃক প্রশংসিত হয়েছিলো। ইমাম শেরে বাংলা রাদিআল্লাহ আনহু এর পীর হযরত মাওলানা আবদুল হামিদ বাগদাদী ছাহেব কেবলা রাদিআল্লাহু আনহু হেরম শরীফ এর বারান্দায় আরব বাসীকে আল্লামা ফরহাদাবাদী হুজুর কেবলার পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে তাঁর ডান হাত ধরে বলেছিলেন, এই সরু হাত হাড়ের নহে, হীরার বলা যাইতে পারে। তাঁহার লিখার মধ্যে হীরার ধার আছে, বাংলা মুল্লুকে এইরূপ লায়েক আলেম আমি দেখি নাই। আমার সংগৃহীত তথ্যমতে জানা যায় তার প্রমান স্বরূপ অমূল্য কিতাবগুলো এক অন্যান্য দৃষ্টান্ত যেমন- (১) শাওয়াহিদুল ইবতালাত ফি তারদীদে মা-ফি রাফিউল ইশকালাত। (২) দাফিউশ শোবহাত ফি জাওয়াজিল ইস্তিজারে আলাত তোয়াআত (এটি ধর্মীয় কাজ করে পারিশ্রমিক লওয়া সম্পর্কে) (৩) রাফিউল পেশাবী ফি তারদীদে মাফি ইশা আতিল ফতাবী, (৪) মের আতুল ফান ফি শারহে মোল্লা হাছান, (৫) গায়তুত তাহকীক ফিমা ইতায়াল্লুকু বিহি তালাকুত তায়ালীক (এটি স্বামী স্ত্রী তালাক প্রসঙ্গে ফাতোয়া), (৬) আত তওজিহাতুল বাহ্যিক ফি তারদীদে মা-ফিত তানকিহাতুছ ছুন্নিয়া (এই ফতোয়া মিশর জামেউল আজহার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশংসিত ও মনোনীত হয়েছিল। আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াসে সংগৃহীত তথ্য মতে আরো জানা যায়, আল্লামা সৈয়দ মাওলানা আমিনুল হক শাহ ফরহাদাবাদী হুজুর কেবলা অসুস্থ শুনে হুজুর গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী কেবলা কাবা কর্তৃক স্বপ্নে আদেশ প্রাপ্ত হয়ে অছিয়ে গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী হযরত মাওলানা দেলোয়ার হোসেন আল মাইজভান্ডারী কেবলা তাঁকে দেখতে আসলেন। তখন অগ্রহায়ণ মাস জমিনে আমন ধান ভর্তি, তিনি আগত লোকজনের কাছে জিজ্ঞাসা করলেন আমন ধান কাটা হয়েছে কি না? জানাজার নামাজের স্থানের কথা চিন্তা কেরই হয়তো এই প্রশ্ন, অগ্রহায়ণ মাসের শেষ সপ্তাহে আমন ধান কাটা শেষ ফরহাদাবাদী হুজুর কেবলার সুস্থতাবোধ করলেন এবং বললেন লোকজন আমি অসুস্থ বলে আমাকে দেখতে এসেছেন। কিন্তু আমি সুস্থ হয়ে যাওয়ায় আমার লজ্জা হচ্ছে অথচ আমি দুনিয়া থেকে চলে যাবো এই কথা বলার পর তার শারিরীকি অবস্থা আগের মতো হয়ে গেলো। শেষ অবধি ২৭ জিলহজ্ব মোতাবেক ২৭ অগ্রহায়ন ১৩ ডিসেম্বর ১৯৪৪ ইং সালে বুধবার বেলা অপরাহ্নে যোহরের নামায়ের সময় ৭৯ বছর বয়সে রব্বুল আল আমীন এর ডাকে সাড়া দিয়ে ইহলোক হতে পর্দা করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। পরবর্তীতে আল্লামা সৈয়দ মাওলানা আমিনুল হক শাহ ফরহাদাবাদী হুজুর কেবলার ওফাতের পর অছিয়ে গাউছুল আজম হযরত মাওলানা সৈয়দ দেলাওয়ার হোসাইন আল মাউজভান্ডারী কেবলা হুজুর গাউছুল আজম কেবলা কাবার রওজা শরীফে ব্যবহৃত একখানা গিলাফ শরীফ আল্লামা সৈয়দ মাওলানা আমিনুল হক শাহ ফরহাদাবাদী হুজুর কেবলার রওজা শরীফে তোহফা স্বরূপ প্রেরণ করেন যাহা এখনো রয়েছে। তারই ধরাবাহিকতায় আল্লামা সৈয়দ মাওলানা আমিনুল হক শাহ ফরহাদাবাদীর নাতিরা তাদের ব্যক্তিগত যতটুকু সম্ভব ঐতিহ্য ও স্মৃতি স্তম্ব মাইজভান্ডার দরবার শরীফের তরিক্বতের ন্যায় ধরে রাখার জন্য আওলাতগণ দ্বীনি শিক্ষা এতিম মাদরাসা হিফজখানা ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে গুরুত্বারোপ দিয়ে যাচ্ছে। অত্র আল্লামা সৈয়দ মাওলানা আমিনুল হক শাহ ফরহাদাবাদি আওলাদে পাকের শাহাজাদাদের পক্ষ হতে দুইটি সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। ১টি আনজুমানে ফরহাদাবাদী শাহ ফয়জিয়া মোজাম্মেলীয়া ত্বরিকত কমিটি এবং অন্যটি হচ্ছে আনজুমানে গাউছিয়া আমিনিয়া ফয়জিয়া পরিষদ ত্বরিকত কমিটি ব্যবস্থাপনায় বিশেষ ইন্তেজাম গ্রহণ করিয়াছেন। আশা করি প্রতি বারের মত ২৭শে অগ্রহায়ন ১১ ডিসেম্বর অত্র ৭৫তম ওরসে পাকে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন ইজ্জত আমাদেরকে শায়খুল ইসলাম বাহারুল উলুম এর রুহানী ঈমানী ইলমি ফজুয়াত ও বরকত নসীব করুক এবং তার রওজা শরীফে আল্লাহ পাকের অগণিত রহমত ও বরকত নসীব করুক এবং রাহমাতুল্লা আল আমীন (সা.) এর কদমে পাকের ধুলিকণায় আশেকানে বক্তদের আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে তরিক্বতভিত্তিক সকলকে যথাসময়ে দরবারে উপস্থিত কামিয়াব ও হেদায়াত দান করুক। আমিন ছুম্মা আমিন।
লেখক : প্রাবন্ধিক