ইরান হামলা করলে ‘কঠোর জবাব’ পাবে : ট্রাম্প

32

ইরান মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্থাপনায় হামলা করলে ‘কঠোর জবাব’ পাবে বলে নতুন করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার সন্ধ্যায় পেনসিলভানিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হোয়াইট হাউজ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “আমার মনে হয় ইরান যদি কিছু করে তবে সেটা তাদের জন্য বড় ধরনের ভুল হবে।”
“যদি তারা কিছু করে তবে তাদেরকে পরাক্রমশালী বাহিনীর মোকাবেলা করতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত তাদের কিছু করার ইঙ্গিত আমরা পাইনি।” রোববার ইরাকের রাজধানী বাগদাদের ‘গ্রিন জোনে’ মার্কিন দূতাবাস ভবন থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরের একটি ভবনে রকেট হামলা চালানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সন্দেহ ইরানের উসকানিতেই তাদের মিত্র শিয়া মিলিশিয়ারা বাগদাদের গ্রিন জোনে রকেট হামলা চালিয়েছে। ওয়াশিংটন হামলাকারীদের বিষয়ে প্রমাণ সংগ্রহ করার এবং তাদের সঙ্গে ইরান জড়িত কিনা সেটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তা। ইরান রকেট হামলায় তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দেশটিতে ইরানের মিত্রদলগুলো ওই হামলার নিন্দাও জানিয়েছে। ইরাকের গ্রিন জোনে রকেট হামলার আগে গত ১৪মে সৌদি আরবের আরামকো তেল কোম্পানির দুটি অয়েল পাম্পিং স্টেশনে ড্রোন হামলা চালান হয়। ইয়েমেনের ইরানপন্থি হুতি গোষ্ঠী ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে। হুতিদের এ হামলার নির্দেশ তেহরান দিয়েছে বলে অভিযোগ রিয়াদের।
তার দুইদিন আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত উপকূলে সৌদি আরবের দুইটি তেলের ট্যাঙ্কারে হামলা হয়। ট্রাম্প ২০১৫ সালের ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়ে দেশটির ওপর কঠোর অর্থনেতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার পর থেকেই ওয়াশিংটন-তেহরানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে থাকে। মে মাসে ওই নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার হলে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। এর মধ্যেই পারস্য উপসাগরে বিমানবাহী রণতরী ও পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম বি-৫২ বোমারু বিমান মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। তারপর থেকে পক্ষ দুটির মধ্যে যে কোনো সময় যুদ্ধ বেধে যেতে পারে আশঙ্কায় ওই অঞ্চলজুড়ে প্রবল উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। যদিও উভয়পক্ষই এখনো বলছে তারা যুদ্ধ চায় না।