ইরানে খামেনির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ

24

ইউক্রেন এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান ভুল করে ভূপাতিত করার স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে তেহরানে। ইরানি সেনাবাহিনী স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর তেহরানের রাস্তায় নেমে আসেন বিক্ষোভকারীরা। শনিবার আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের ‘সর্বাধিনায়কের পদত্যাগ, পদত্যাগ’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে অনেকেই খামেনিকে ‘হত্যাকারী’ বলে আখ্যায়িত করছেন। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে দাঙ্গা পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে।
খামেনি দাবি করেছেন, তিনি এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে সৎ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন অধস্তনদের। তিনি ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, শুক্রবার সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ তদন্ত শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। খোদ কমান্ডার ইন চিফ খামেনি বিষয়টি না জানায় তা নিয়ে প্রশ্ন জাগছে। ভূপাতিত বিমানের বেশিরভাগ নিহত যাত্রী ইরান (৮২) ও কানাডার (৬৩)। কানাডার অনেক নাগরিকই আবার ইরানি বংশোদ্ভুত। যাদের অনেকেই মাতৃভূমিতে ছুটি কাটিয়ে কিয়েভ হয়ে কানাডা ফিরছিলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে সোলাইমানি হত্যার পাল্টা হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনও সেনা নিহত না হওয়া এবং নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্রে ইরানি-কানাডীয় ও ইরানি নাগরিক নিহতের ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছেন ‘খামেনির দিন শেষ’। অনেকেই সরকারকে ‘নির্লজ্জ’ বলে স্লোগান দেন। আধা সরকারি ইরানি বার্তা সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের অনেকেই নিহত ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানির ছবিও টুকরো টুকরো করে ছিঁড়েছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, তেহরানে সাবেক মার্কিন দূতাবাসের কাছে আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছেন। তারা সরকারে ‘মানুষের ত্রূটি’ ও যুক্তরাষ্ট্রের হঠকারিতার ওপর দায় চাপানোর বিরোধিতা করেন।