ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চান না ট্রাম্প

21

ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের ব্যাপারে আগ্রহী নন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শীর্ষ উপদেষ্টাদের ট্রাম্প বলেছেন, তিনি চান না ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ হোক। সংশ্লিষ্ট তিন মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবরটি জানিয়েছে।ইরানকে বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করার ব্যাপারটিকে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে তেহরানের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের ওপর চাপ বৃদ্ধি অব্যাহত রাখার ধারাবাহিকতায় স¤প্রতি উপসাগরীয় এলাকায় যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে ওয়াশিংটন। রবিবার আমিরাতের উপকূলে চারটি ট্যাংকারে বিস্ফোরণের পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়।
মার্কিন তদন্তকারীদের বিশ্বাস, ইরান অথবা তাদের সমর্থিত কোনও গ্রুপ এই বিস্ফোরণের সাথে জড়িত। আর তেহরান বিস্ফোরণে নিজেদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে নিরপেক্ষ তদন্তের আহব্বান জানিয়েছে। চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইরাকে থাকা মার্কিন সেনাদের প্রতিও ইরানের হুমকি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৫ মে বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস ও ইরবিলের কনস্যুলেট থেকে কিছু সংখ্যক কর্মীকে দেশে ফেরার নির্দেশ দেয় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। সব মিলে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চান না।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের কয়েকজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার জানান, ট্রাম্প তার জাতীয় নিরাপত্তা দল ও অন্য সহযোগীদের সঙ্গে ইরান প্রসঙ্গে আলোচনা করেছেন। বলেছেন, তিনি চান তেহরানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের চলমান উত্তেজনা যেন সশস্ত্র সংঘাতে রূপ না নেয়। ওই কর্মকর্তাদেরই একজন জানান, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে অনিচ্ছা প্রকাশ করলেও ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন, ওই অঞ্চলে মার্কিন স্বার্থের সুরক্ষা নিশ্চিত করবেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) যুদ্ধে জড়াতে চান না।’
বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তিনি আশা করেন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হবে না। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও তাদের মধ্যে সংযোগ সেতুর ভূমিকা পালন করে থাকে সুইজারল্যান্ড। স¤প্রতি ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় দুই দেশের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতের আশঙ্কা করছেন অনেকে। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র গ্যারেট মারকুইস বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে সামরিক সংঘাত চায় না। তিনি ইরানি নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা চান।