ইবোলার প্রাদুর্ভাবে কঙ্গোয় ৩১৯ জনের মৃত্যু

55

বছরের দ্বিতীয় ধাপে প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোয় এখন পর্যন্ত ৩১৯ জনের মৃত্যুর কথা জানা গেছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২৭১ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে। মঙ্গলবার তারা জানিয়েছে, আগস্টের শুরুতে নতুন করে সংক্রমণ শুরুর পর প্রাদুর্ভাব কবলিত উত্তর কিভু প্রদেশে এ পর্যন্ত ৫৪২টি ইবোলা সংক্রমণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে এর মধ্যে ৪৯৪টি ক্ষেত্রে সংক্রমণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সাধারণভাবে ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণে জ্বর, তীব্র মাথাব্যাথা ও কোনও কোনও ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণের ঘটনা ঘটে। এই ভাইরাসে সংক্রমিতদের মধ্যে অর্ধেকই মৃত্যু বরণ করে তবে প্রতিটি প্রাদুর্ভাবের ক্ষেত্রেই মৃত্যু হারের তারতম্য ঘটে। ১ আগস্ট দ্বিতীয় বারের মতো সংক্রমণ শুরুর ঘোষণা আসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। কঙ্গোর উত্তর কিভু প্রদেশের বেনি, কালুনগুতা এবং মাবালাকো শহরেই সবচেয়ে বেশি ইবোলা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। তবে পার্শ্ববর্তী ইতুরি প্রদেশ থেকেও সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। উগান্ডা, রুয়ান্ডা এবং দক্ষিণ সুদান সীমান্তবর্তী প্রদেশ দুটি দেশটির সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ প্রদেশ।
ডব্লিউএইচও বলেছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের অসম্পৃক্ততা এবং ওই অঞ্চলে সশস্ত্র সংঘাতের কারণে ইবোলার প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কা উত্তর কিভু এবং ইতুরি প্রদেশের ওপর দিয়ে দশ লাখেরও বেশি শরণার্থী এবং অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের চলাচলের কারণে ইবোলা সংক্রমণের ঘটনা আরও বাড়তে পারে। কঙ্গোয় সা¤প্রতিক এই প্রাদুর্ভাব ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রাণঘাতী। ২০১৪ সালে পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা সংক্রমণের পরেই এর অবস্থান। ওই বছরে ইবোলা সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছিল প্রায় ১১ হাজার মানুষ। ১৯৭৬ সাল থেকে দশম বারের মতো এবারে কঙ্গোয় ইবোলার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। চলতি বছরে এনিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো দেশটিতে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলো।