ইন্দোনেশিয়ায় দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প

36

ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে সুমবাওয়া দ্বীপে একইদিন শক্তিশালী দুটি ভূমিকম্প আঘাত এনেছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিলো যথাক্রমে ৬ এবং ৬ দশমিক ৪। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। সুনামি সতর্কতাও জারি করা হয়নি। মার্কিন ভূতাত্তি¡ক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, দ্বীপটির রাবা শহরের ২১৯ কিলোমিটার দক্ষিণে ভূপৃষ্ঠের ২৭ কিলোমিটার গভীরে দ্বিতীয় ভূমিকম্পটির উৎপত্তি।
এর আগে একই দিন এলাকাটিতে ৬ মাত্রার আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। একই দিনে দুটি ভূমিকম্প হওয়ায় দেশটির মানুষের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্পপ্রবণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত। অঞ্চলটিকে ভূ-তাত্তি¡কভাবে ‘রিং অব ফায়ার’ নামে পরিচিত। এজন্য প্রায়ই সেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা যায়। গত সেপ্টেম্বরে উত্তরাঞ্চলীয় সুলাওয়েসি দ্বীপের পালু এলাকায় ৭.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছিল।

এর পরপরই শুরু হয় সুনামি। সরকারি হিসেবে ওই দুই প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানির সংখ্যা দুই হাজারের বেশি। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর আশঙ্কা, প্রাণহানির প্রকৃত সংখ্যা পাঁচ হাজার।
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ভারত মহাসাগরে ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ১৩ দেশের ২ লাখ ২৬ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি নিহত হয়েছিলেন শুধু ইন্দোনেশিয়াতেই। ১৮৮৩ সালে এবারের আগ্নেয়গিরিটিরই অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি সুনামি হয়েছিল, যাতে প্রাণ হারিয়েছিল ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ।