ইদলিবে বিদ্রোহীদের ‘পাল্টা হামলায় ৫১ সিরীয় সৈন্য নিহত’

25

সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহীদের পাল্টা হামলায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর ৫১ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে তুরস্ক জানিয়েছে। মঙ্গলবার তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, বিদ্রোহীদের হামলায় সিরিয়ার দুটি ট্যাঙ্ক ও একটি গোলাবারুদের গুদামও ধ্বংস হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী একটি গোষ্ঠী তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ২০১২ সালে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রথমবারের মতো ইদলিব প্রদেশের ভিতর দিয়ে যাওয়া আলেপ্পো-দামেস্ক-দেরা এম-ফাইভ মহাসড়কের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। কিন্তু সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে এ বিষয়ে কোনো কিছু উল্লেখ করা হয়নি বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। পরে বিদ্রোহীরা এম-ফাইভ মহাসড়কের কাছে উত্তরাঞ্চলীয় কয়েকটি এলাকায় লড়াই অব্যাহত আছে বলে দাবি করেছে।
তুরস্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তুরস্কের আর্টিলারির সমর্থনে বিদ্রোহীরা সারাকেব শহরের কাছে সরকারি বাহিনীর ওপর ‘পূর্ণাঙ্গ আক্রমণ’ শুরু করেছে। এম-ফাইভ মহাসড়কের ওপর অবস্থিত এই শহরটি ও এর আশপাশের এলাকাগুলো স¤প্রতি পুনরুদ্ধার করেছে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। তাদের পাল্টা হামলায় সরকারি বাহিনী সেখান থেকে পিছু হটছে এবং বিদ্রোহীরা নাইরাব শহরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে তাদের এক কমান্ডার রয়টার্সকে জানিয়েছেন। সিরিয়ার সরকারি বাহিনী পরিত্যক্ত অবস্থায় নাইরাব ছেড়ে গেছে বলে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
অপরদিকে মঙ্গলবার সিরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইদলিবে তাদের অগ্রগতি রোধ করার চেষ্টাকারী তুরস্কের বাহিনীগুলোর হামলার জবাব দিচ্ছে তারা। ইদলিবের এ লড়াই নয় বছর ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে আঙ্কারা ও দামেস্কের মাঝে হওয়া লড়াইগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর লড়াইয়ের রূপ নিতে যাচ্ছে। এই যুদ্ধে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সমর্থন দিচ্ছে রশিয়া ও ইরান। তুরস্ক ও রাশিয়া এবং অবশ্যই আসাদ ইদলিবের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে মন্তব্য করেছে রয়টার্স।
মঙ্গলবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তায়িপ এরদোয়ান বলেছেন, তুরস্কের সৈন্যদের ওপর হামলার জন্য সিরিয়ার সরকারকে ‘অনেক উচ্চ মূল্য’ দিতে হবে। সোমবার সিরীয় বাহিনীর হামলায় তুরস্কের পাঁচ সেনা নিহত ও এক সপ্তাহ আগে আরও আট সৈন্য নিহত হয়েছিল। ডিসেম্বরে বিদ্রোহী অধিকৃত ইদলিব পুনরুদ্ধার অভিযান শুরু করার পর সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ৬০০ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি অঞ্চল পুনরুদ্ধার করেছে। এখন ডজনেরও বেশি শহর ও গ্রামের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার জন্য লড়াই করছে তারা।