ইতিহাসের স্বর্ণযুগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ : নেতৃত্বে দেশরত্ন শেখ হাসিনা

51

মো. মোরশেদুল আলম

ঐতিহাসিক ২৩ জুন আজ। এদেশের বৃহত্তম, প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গৌরব ও ঐতিহ্যের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন কাজী বশিরের স্বামীবাগস্থ বাসভবন ‘রোজ গার্ডেনে’ অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনের মাধ্যমে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা পালনের মাধ্যমে দলটি পূর্ব বাংলার একক ও নির্ভরযোগ্য রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। ১৯৫৫ সালে দলীয় মূলনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষতা গ্রহণের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল হিসেবে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’ নামকরণ করা হয়। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৪৭ সালে ধর্মীয় দ্বিজাতিতত্তে¡র ভিত্তিতে অবিভক্ত ভারত বিভক্ত হয়ে পাকিস্তান ও ভারত নামক দুটি রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়। নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানের একটি অংশ হিসেবে তৎকালীন পূর্ব বাংলা ও পরে পশ্চিম পাকিস্তান নামধারী এ ভূখন্ডের রাজনৈতিক যাত্রা শুরুর অব্যবহিত পরই বলতে গেলে স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট রচিত হয়। পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মুখের ভাষা বাংলা হওয়া সত্তে¡ও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করার প্রেক্ষাপটে রচিত হয় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৪ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ছয়দফা দাবি ঘোষণা করেন। পূর্ব বাংলায় ছয়দফার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে ১৯৬৮ সালে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে এক নম্বর আসামী করে মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ এনে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে আগরতলা মামলা দায়ের করে।
জনগণের অব্যাহত চাপের মুখে তথাকথিত ষড়যন্ত্র মামলাটি প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্ধুসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি প্রদানে বাধ্য হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে অংশ নিয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জুলফিকার আলী ভুট্টোর সাথে ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুর নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর না করে গড়িমসি করে।
১ মার্চ ঘোষণার মাধ্যমে ৩ মার্চ-এর জাতীয় সংসদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়। এ ঘোষণার পর পূর্ব বাংলার শাসন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে চলতে থাকে। ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণে বাঙালি জাতিকে মুক্তির আহŸান জানিয়ে তিনি ঘোষণা করেন, ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রæর মোকাবেলা করতে হবে।’ বঙ্গবন্ধুর সুদক্ষ নেতৃত্বের বদৌলতে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের বদৌলতে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধুর সুদক্ষ নেতৃত্বে ধ্বংসস্ত‚প থেকে যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের পুনর্গঠন সম্পন্ন হয়; উন্মোচিত হয় সম্ভাবনার নতুন দ্বার। বঙ্গবন্ধুর জাদুকরি নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কুচক্রী মহল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে অত্যন্ত নৃশংসভাবে এবং নির্মমভাবে হত্যা করে। ফলে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি সম্ভাবনাময় স্বর্ণযুগের অকাল পরিসমাপ্তি ঘটে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের বাইরে থাকায় নির্মম এ হত্যাকাÐ থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন। ১৯৮১ সালে দেশে এসে তিনি ভঙ্গুর আওয়ামী লীগের হাল ধরে একে পুনর্গঠিত করলেন। তিনি যদি ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে এসে দলের দায়িত্ব না নিতেন; তাহলে হয়ত আজ স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস, আওয়ামী লীগের ইতিহাস, দেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর এ আত্মত্যাগ এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত হয়ে পাকিস্তানি ধারায় প্রবাহিত হতো। ১৪ ডিসেম্বরে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাÐ ছিল বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্য; আর ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় হত্যা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা প্রভৃতি ছিল বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার গভীর ষড়যন্ত্র। জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ১৯৯৬ সালে দেশরতœ শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে সরকার গঠন করেন। এরপর ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৯ সালের নির্বাচগুলোতেও নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে তিনি পরপর তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশ তথা বিশ্বের ইতিহাসে এক অনন্য নজির স্থাপন করেন।
যে বাংলাদেশ ছিল একসময় অবহেলিত, দারিদ্রপীড়িত; যে বাংলাদেশকে নিয়ে পশ্চিমা-বিশ্ব উপহাস করত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে; মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার দূরদর্শী, সুদক্ষ, সৃজনশীল ও সাহসী নেতৃত্বের ফলেই; সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ইতিহাসে উন্নয়নের রোল মডেল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলার স্বপ্ন আমাদের দেখিয়েছিলেন; তাঁর সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত হচ্ছে তাঁরই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরের মাধ্যমে, স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করার মাধ্যমে এবং খাদ্য ঘাটতির দেশকে খাদ্যে উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত করার মাধ্যমে। দীর্ঘ চার দশকের রাজনৈতিক পথ-পরিক্রমায় মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একদিকে যেমন তিনি আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন; তেমনি আবার রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য উল্লেখযোগ্য এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নও করেছেন।
বাংলাদেশ এখন দ্রæত উন্নয়নশীল প্রথম ৫টি দেশের মধ্যে একটি। ইতোমধ্যে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সঙ্গে এসডিজি-এর লক্ষ্যমাত্রাগুলো সম্পৃক্ত করে বাস্তবায়নের কাজও শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার কাজও এগিয়ে চলছে। এছাড়াও জলবায়ুর ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা করে কাঙ্খিত উন্নয়ন অর্জনের জন্য ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ নামের শতবর্ষের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প-২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়নের পথে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। সোয়া ৫ কোটি মানুষ নি¤œবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে। ভারতের সঙ্গে ৬৮ বছরের অমীমাংসিত স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছিটমহলের মানুষ অভিশপ্ত জীবন থেকে মুক্তি পেয়েছে। ১১১টি ছিটমহলের ১৭ হাজার ৮৫১ একর জায়গা বাংলাদেশের সীমানায় যুক্ত হয়েছে। সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বøু ইকোনমির সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। প্রায় ১ লাখ ৩১ হাজার ৯৮ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকা বাংলাদেশের সীমানায় যুক্ত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে মহাকাশ বিজ্ঞানের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। শত ষড়যন্ত্র সত্তে¡ও নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর অধিকাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১২৩ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশের ৯৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে প্রায় ২১,৬২৯ হাজার মেগাওয়াট। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প দ্রæত বাস্তবায়িত হচ্ছে। চার-লেন, ছয়-লেন ও আট-লেন জাতীয় মহাসড়ক, উড়াল সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেরিন ড্রাইভ, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের মাধ্যমে যুগান্তকারী উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ১৫টি মোবাই ফোন গ্রাহক, ৯ কোটিরও বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, ফোর জি মোবাইল প্রযুক্তি চালু, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট, অনলাইনে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, ই-টেন্ডার প্রবর্তন, ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল সেবা কেন্দ্র, ই-কমার্স প্রভৃতির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ আর স্বপ্ন নয়, বরং বাস্তব। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমেছে। বিশ্বের মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ ৩য়, সবজি উৎপাদনে ৩য়, চাল উৎপাদনে ৪র্থ, আলু উৎপাদনে ৭ম, আম উৎপাদনে ৯ম, খাদ্যশস্য উৎপাদনে ১০ম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, আশ্রয়ণ প্রকল্প, একটি বাড়ি একটি খামার, দুস্থ ভাতাসহ সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমানকে নিশ্চিত করা হয়েছে। শিল্পায়ন এবং বিদেশী বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করার জন্য ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে সরকার অটল রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্ব সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের কর্মকাÐের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। সরকার কর্তৃক গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন হয়েছে। সকল সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষা আধুনিকায়ন করা হয়েছে। কওমি মাদ্রাসা সনদের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৩.২%, জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ১৮.৫, মাথাপিছু আয় ১৯০৯ মার্কিন ডলার। ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের বড় ২৫টি অর্থনীতির দেশের একটি হবে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ১৪৫টি দেশে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে। গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৭২.৮ বছর হয়েছে। দেশের ১০০% শিশুকে উপবৃত্তির আওতায় আনা হয়েছে।
২০১০ সালে শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনায় জাতিসংঘ ‘এমডিজি পুরস্কার’ প্রদান করে। ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন, সাউথ-সাউথ নিউজ ও জাতিসংঘের আফ্রিকা সংক্রান্ত অর্থনেতিক কমিশন যৌথভাবে স্বাস্থ্যখাতে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জনের জন্য ‘সাউথ-সাউথ পুরস্কার’ প্রদান করে। ২০১২ সালে বন ব্যবস্থাপনায় সাফল্যের জন্য ইকুয়েটর পুরস্কার, ওয়াঙ্গারি মাথাই পুরস্কার এবং আর্থ কেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১১ সালে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দূরদর্শী নেতৃত্ব, সুশাসন, মানবাধিকার রক্ষা, আঞ্চলিক শান্তি ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সচেতনা বৃদ্ধিতে অবদানের জন্য ‘গেøাবাল ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ড’ প্রাপ্ত হন। ২০১২ সালে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বিশেষ অবদানের জন্য ইউনেস্কো ‘কালচারাল ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ড’ প্রাপ্ত হন। ২০১৩ সালে দারিদ্র ও অপুষ্টি দূরীকরণে অবদানের জন্য জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা কর্তৃক ‘ডিপ্লোমা অ্যাওয়ার্ড’ প্রাপ্ত হন। ২০১৪ সালে নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে অবদানের জন্য ইউনেস্কো কর্তৃক ‘শান্তি বৃক্ষ পুরস্কার’ প্রাপ্ত হন। ২০১৫ সালে জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ গ্রহণ করেন। ২০১৬ সালে ইউনাইটেড শেনস্ উইমেন-এর পক্ষ থেকে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ‘প্লানেট ৫০: ৫০ চ্যাম্পিয়ন’ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত হন। ২০১৮ সালে নারীদের বৈশ্বিক সম্মেলনে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ‘গেøাবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ প্রাপ্ত হন। ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দানের জন্য ২০১৮ সালে জাতিসংঘ সদর দফতরে ‘ইন্টারন্যাশনাল এটিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে। ২০১৯ সালে বার্লিনে নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের জন্য লাইফ টাইম কন্ট্রিবিউশন ফর উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন।
বঙ্গবন্ধু তনয়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ খ্যাত জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর দেখানো স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণকে রাজনৈতিক মুক্তি প্রদান করেন, আর বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সুযোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্রকে জয় করে দেশের জনগণকে অর্থনৈতিক মুক্তি প্রদান করার মাধ্যমে বিশ্বসভায় একটি উন্নয়নশীল এবং মর্যাদাবান জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য, সুদক্ষ, দূরদর্শী, সাহসী এবং সৃজনশীল নেতৃত্বে আজ ইতিহাসের স্বর্ণযুগে।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।