ইডিইউতে সভায় প্রফেসর সিকান্দার গ্রন্থাগার জ্ঞানের আঁতুড়ঘর

40

জ্ঞানী মানুষদের জীবনীতে আমরা দেখি, তারা প্রত্যেকেই লাইব্রেরিতে প্রচুর সময় কাটাতেন। কেননা, গ্রন্থাগার জ্ঞানের আঁতুড়ঘর। একটি জ্ঞানী ও সমৃদ্ধ জাতি গড়ে ওঠে তার পাঠ্যাভ্যাসের মধ্য দিয়ে। ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০১৯ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান। এ বছর ‘গ্রন্থাাগারে বই পড়ি, আলোকিত মানুষ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উদ্যাপিত হচ্ছে দিবসটি। এ সভা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য আরো বলেন, ই-লাইব্রেরির দিকে ঝুঁকছে বর্তমান বিশ্ব। বইও এখন আর কাগজে-মলাটে সীমাবদ্ধ নেই। ই-বুক চলে এসেছে মুঠোফোন-কম্পিউটারের স্ক্রিনে। এ থেকেই বুঝা যায়- যতো দিন যাচ্ছে, মানুষের পাঠ-চাহিদাও তত বাড়ছে। আমাদের দেশেও তাই সাধারণ গ্রন্থাাগারগুলোর আধুনিকায়ন জরুরি। ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, পাঠ্যবইয়ের বাইরে যে জ্ঞানের বিশাল দুনিয়া রয়েছে, তার সাথে শিক্ষার্থীদের পরিচিত করে দেয়ার লক্ষ্যে গঠিত আমাদের প্রায় কয়েক হাজার বইয়ে সমৃদ্ধ লাইব্রেরিতে রয়েছে দেশ-বিদেশের নানা মনীষীর রচিত গ্রন্থ। উন্নত জীবনের জন্য জ্ঞান এবং জ্ঞানের জন্য পাঠ্যাভ্যাস আবশ্যক, এই আপ্তবাক্যকে মনে-প্রাণে ধারণ করেই এগিয়ে চলছে ইডিইউ।
ইডিইউর গ্রন্থাগারকে কিভাবে আরো উন্নত করা যেতে পারে, তা নিয়ে কথা হয়। এছাড়া দিবস উপলক্ষে ইস্ট ডেল্টার গ্রন্থাগারের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের জন্য রাখা হয় থটবোর্ড। এতে ‘আলোকিত মানুষ গঠনে পাঠাগার ও পাঠ্যাভ্যাসের গুরুত্ব’ বিষয়ে নিজেদের মন্তব্য লিখে রাখে।
সহকারী লাইব্রেরিয়ান তাহমিনা আফ্রাদ শর্মীর সভাপতিত্বে ও মাইশা ফাইরুজ আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার সামস-উদ-দোহা, ডিরেক্টর জেনারেল সৈয়দ শফিকউদ্দীন আহমেদ, রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া, স্কুল অব লিবারেল আর্টসের ডিন শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন ড.মো. নাজিম উদ্দিন, স্কুল অব বিজনেসের ডিন ড. মোহাম্মদ রকিবুল কবির, প্রক্টর অনন্যা নন্দীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। খবর বিজ্ঞপ্তির