ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে, কনের ভয়ঙ্কর কান্ড

8

পূর্বদেশ ডেস্ক

রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় বিয়ের আসরে বাবার গলায় ছুরি চালানোর ঘটনায় মেয়েকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পীরগাছা থানার এসআই আনিছুর রহমান জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের তালুকইসাদ দাঁরারপাড় গ্রামে এ ঘটনায় আহত পুলিশ কর্মকর্তা ফজল হকের দায়ের করা মামলায় তার মেয়েকে গ্রেপ্তার করা হয়। খবর বিডিনিউজ।
মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন দুই আসামি। তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার কনে ফারজানা আক্তার শাম্মি (২২) ফজল হকের বড় মেয়ে। তবে মামলার বাকি দুই আসামি এবং গ্রেপ্তার আরও একজনের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি এসআই।
মামলার বাদী পুলিশ কর্মকর্তা ৪০ বছর বয়সী ফজল হক রংপুর রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স (আরআরএফ) এ কর্মরত। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার বর্ণনায় এসআই আনিছুর বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা ফজল হকের বড় মেয়ে ফারাজানা আক্তার শাম্মির সঙ্গে তিন মাস আগে নৌ-বাহিনীতে কর্মরত এক যুবকের বিয়ে নিবন্ধন হয়।শুক্রবার বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে সন্ধ্যায় বরযাত্রীরা আসেন।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিয়ে পড়ানোর সময় কাজি কনের সম্মতি জানতে চান। এ সময় বাবার সঙ্গে কথা বলে সম্মতি দেবেন বলে জানান শাম্মি। পরে বাবাকে একা ডেকে একটি ঘরে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর সেখানে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে শাম্মি তার বাবার গলায় ছুরি চালিয়ে দেন। পরে বিয়ের আসরে উপস্থিত লোকজন ফজল হককে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন বলে জানান এসআই। তিনি বলেন, ফজল হকের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
এসআই আরও বলেন, মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আমরা বাকি দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।