ইকরা পাঠাগারে কোরবানির তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা

40

বায়তুশ শরফ মজলিসুল ওলামা বাংলাদেশের মহাসচিব প্রখ্যাত মুফাসসিরে কোরআন মাওলানা মামুনুর রশীদ নুরী বলেছেন, কোরবানী হচ্ছে ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হওয়ার একটি শিক্ষা মূলক ইবাদত। এবং এটা পশু জবাইয়ের মাধ্যমে মুসলমানদের মাঝে লুকিয়ে থাকা পাশবিকতা ও পশু চরিত্রকে বিসর্জন দিয়ে আল্লাহর নির্দেশের কাছে আমিত্ব কর্তৃত্ব ও গর্ব অহংকারকে ভুলে গিয়ে মুনিবের সাথে গোলামের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার একটি মাধ্যম। তিনি বলেন, সেচ্ছাচারী মনোভাবের মূলোৎপাটন লৌকিকতা ও গোস্ত খাওয়ার মানষিকতা পরিহার করতে না পারলে এই কোরবানিটা অর্থহীন। মাওলানা নূরী গত শুক্রবার কালুরঘাটস্থ ইকরা ইসলামিক পাঠাগার আয়োজিত কোরবানির শিক্ষা ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
পাঠাগার সভাপতি আলহাজ্ব ফয়সাল বিন মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী নুর হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি আরো বলেন, কোরবানি হচ্ছে হযরত ইব্রাহীমের (আ:) সুন্নত। তিনি তাঁর পুরো জীবনে অন্যায় ও অসত্যের মোকাবিলায় ইস্পাত কঠিন মনোবলের পরিচয় দিয়েছেন। এবং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় তাগুতি রাজশক্তির কাছে কখনো মাথানত করেননি। এমন কি নমরুদের অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপের মুহুর্তেও গাইরুল্লাহর সাহায্য নেননি।
মাওলানা নূরী আরো বলেন, মুসলমানেরা প্রতি বছর কোটি কোটি পশু কোরবানি দেওয়া সত্তেও ইকামতে দ্বীনের ইস্পিত লক্ষে পৌঁছতে না পারার ামূল কারণ হচ্ছে খোদাদ্রোহী তাগুতী শক্তির সাথে মুসলমানদের আপষকামীতা। তিনি পশু কোরবানির মাধ্যমে ইব্রাহীম (আ) ও ইসমাঈল (আ:) এর ত্যাগের শিক্ষাকে ধারন করে কোরবানি দিতে মুসলমানদের প্রতি আহবান জানান।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুফতি ফারুক আহমদ সিদ্দিকী, শাহ মাওলানা হারুনুর রশীদ, ইঞ্জিনিয়ার নুর আহমদ, মাওলানা নুর মোহাম্মদ আলকাদেরী ও হাফেজ মাওলানা আমীনুল্লাহ রশীদী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি