ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে মিলল ৫০ হাজার ইয়াবা

35

দেশের শীর্ষ ইয়াবা বিক্রেতাদের গডফাদারের তালিকায় ৯ নম্বরে থাকা টেকনাফের ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়ার বাড়ি থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ও ৪টি দেশীয় অস্ত্রসহ ২৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে এসব ইয়াবা, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস জানান। এর আগে শাহজাহান মিয়াকে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে আটক করা হয়। শাহজান মিয়া টেকনাফ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাফর আহমদের ছেলে।
ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ ৭৩ জন গডফাদারের তালিকায় তাদের দু’জনের (বাবা-ছেলের) নাম আছে। ওই তালিকার ৬ নম্বরে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাফর আহমদ এবং ৯ নম্বরে টেকনাফ সদর ইউপির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া নাম আছে। তিনি আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়াকে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে আটক করা হয়। খবর পেয়ে টেকনাফ থানা পুলিশ তাকে ফেরত নিয়ে আসে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রবিবার বিকেলে পুলিশের একটি দল টেকনাফের নেঙ্গুরবিলে শাহজাহান মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় তার ঘরের জেনারেটরের পাশে বিশেষ কৌশলে বস্তার ভেতর রাখা ৫০ হাজার ইয়াবা, ৪টি দেশে তৈরি অস্ত্র (এলজি) ও ২৫টি তাজাগুলি উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি জানান, ইয়াবা ও অস্ত্রগুলো শাহজাহান ও তার বাবা সাবেক চেয়ারম্যান জাফর আহমদ সেখানে রেখেছেন বলে তিনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। ওসি আরও বলেন, ‘টেকনাফ পুলিশের মাদক বিরোধী কঠোর অভিযান থেকে রক্ষা পেতে শাহজাহান মিয়া ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বেনাপোল সীমান্ত থেকে আটক হন। ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ১৬ ফেব্রæয়ারি টেকনাফে ১০২ জন মাদক ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেন। ওই সময় শাহজাহান মিয়ার বড় ভাই দিদার মিয়াও আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু শাহজাহান মিয়া বরাবরই আড়ালে থাকার চেষ্টা করেছেন। অবশেষে তাকেও গ্রেপ্তার করা হলো।