ইইউ প্রতিনিধিকে অলি কিছুসংখ্যক কর্মকর্তাই নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করছেন

80

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের টিম লিডার ডেভিড ওয়ার্ড এর সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও এলডিপি সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ। গতকাল শুক্রবার বিকালে হোটেল রেডিসন ব্লু ভিউর লবিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইইউ’র প্রতিনিধি দলটি নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে আসে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে অলি আহমেদ কথা বললেও ডেভিড ওয়ার্ড কোন কথা বলতে রাজি হননি।
এসময় চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসন থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রট ও ২০ দলীয় জোট মনোনীত প্রার্থী এবং সাবেক মন্ত্রী অলি আহমেদ জানান, আমি বলেছি ভোট করে প্রার্থী আর জনগণ। কিন্তু এখানে জনগণের কোনো ভ‚মিকা নেই। কিছুসংখ্যক কর্মকর্তাই নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করছেন। এটা যেন না হয়। কারণ, প্রতিষ্ঠান যদি আমরা ধ্বংস করি, তাহলে দেশে গৃহযুদ্ধ (সিভিল ওয়ার) হবে। এটা কেউ বন্ধ করতে পারবে না।
তিনি বলেন, প্রত্যেককে নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া, ভোট দিতে পারা এবং ভোট দেওয়ার পর নিরাপদে ফিরে যাওয়া যদি সরকার নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে গৃহযুদ্ধ হতে বাধ্য। এই কথাটা আমি ইইউ প্রতিনিধিকে বলেছি। এটাও বলেছি, মানুষ যখন মৃত্যুর মুখোমুখি হয় তখন সে বাঁচার জন্য যুদ্ধ করে। মানুষ শান্তিতে ভোট দিতে না পারলে দেশে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা আছে বলে ইইউ প্রতিনিধি দলটিকে জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি। তবে নির্বাচন থেকে সরে আসবেন না বলেও তিনি জানিয়েছেন।
অলি আহমেদ বলেন, ইইউ প্রতিনিধি ভোটের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে জানতে চেয়েছেন। আমি বলেছি, আমরা আপনাদের কোনো হস্তক্ষেপ চাই না। তবে সহযোগিতা চাই। ভোটকেন্দ্রে যাওয়া প্রত্যেকের জন্মগত অধিকার। ভোট দেওয়া তার জন্মগত অধিকার। কে কাকে ভোট দেবে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। ওই জায়গায় যেন কেউ হস্তক্ষেপ করতে না পারে। বড় বড় ইয়াবা ব্যবসায়ীরা নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করছে বলেও ইইউ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন বলে জানান অলি।
অলি আহমেদ বলেন, আমি এটাও বলেছি যে, এখানে ইয়াবা ব্যবসায়ী যারা আছে তারাই ভোট নিয়ন্ত্রণে অনেকাংশে কাজ করছে। চট্টগ্রামে যারা বড় বড় ইয়াবা ব্যবসায়ী আছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেননি।