আল্লামা সৈয়দ তৈয়ব শাহ (র.) এর ওফাত বার্ষিকী

149

আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেছেন, ইসলামী আদর্শের প্রচার-প্রসার ও সম্প্রসারণে পীরে কামেল হযরত আল্লামা তৈয়ব শাহ (রা) এর অনস্বীকার্য অবদান ইতিহাসে সমুজ্জল হয়ে আছে। দেশ-কাল, গোত্র-বর্ণ, ইত্যাকার সংকীর্ণ জীবনবোধের উর্ধ্বে ধর্ম, সমাজ ও বৃহত্তর মানবকল্যাণে নিজেকে ব্যক্ত রেখে তিনি নিজেকে মানবতার মহান সেবকে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কোরআন সুন্নাহর বিকৃতি তথা বিবিধ বিভ্রান্তির অপনোদন এবং ইসলামের মৌলিক তথ্যকে উপস্থাপনে তিনি যেমনিভাবে একজন সংস্কারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন, ঠিক একইভাবে দ্রোহ, ক্ষুধা ও দারিদ্রক্লিষ্ট জীবনও তাঁকে গভীর মমতায় স্পর্শ করেছে। এছাড়াও তিনি আধ্যাত্মিক সংস্কারক হিসেবে সনাতনী পীর-মুরিদী ধ্যান-ধারণা, কুসংস্কার, কূপমন্ডুকতা তথা বাণিজ্যিক মনোবৃত্তি ও শরীয়াহ পরিপন্থী যাবতীয় অপকর্মের মূলোৎপাটনে বলিষ্ট ভূমিকা পালন করেন। পাশাপাশি একদিকে যেমন ইসলামের আদি সারল্যের পুনরুজ্জীবনের নামে তরিকত বিরোধী বিবিধ ষড়যন্ত্রেরও বিরুদ্ধে মুসলিম মিল্লাতকে সতর্কতামূলক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। অপরদিকে ইসলামী রাজনীতির অন্তরালে যেসব দল-উপদল স্বীয় চিন্তা-চেতনাকে প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল, তাদের চিহ্নিত পূর্বক সুন্নীয়তই যে ইসলামের মূলধারা তা প্রমাণ করে গেছেন বলে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, তাঁর মত একজন শ্রেষ্ঠ সংষ্কারক কোনভাবেই বিস্মৃত হবার নয়। তিনি ইসলামের কালজয়ী আদর্শ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি সুস্থ,সুন্দর ও সকলের বাসযোগ্য সমাজ বিনির্মিানে ইন্তিকাল অবধি লড়াই-সংগ্রাম করে গেছেন। আল্লামা তৈয়ব শাহ (রা) ইসলামী জাগরণের এক মহান দিকপাল হিসেবে নিজেকে নির্দ্দিষ্ট গন্ডিতে সীমাবদ্ধ না রেখে ছুটে গেছেন দেশ থেকে দেশান্তরে। শুধু এ উপমহাদেশে নয় বিশ্বের দেশে দেশে অসংখ্য দ্বীনি শিক্ষালয় গড়ে তোলে ইসলামী শিক্ষার বিস্তৃতিতে অনন্যসাধারণ অবদান রেখেছেন। সত্যিকার অর্থে আল্লামা তৈয়ব শাহ (র.) ছিলেন দিকভ্রান্ত মানুষের হেদায়াতের উজ্জল আলোকবর্তিকা। তাঁর মত একজন মহান ওলিয়ে কামেলের পদাংক অনুসরন করা হলে জাতীয় জীবনে একটি স্থিতিশীল ও মানবিক মুল্যাবোধের সমাজ বির্নিমাণ অধিকতর সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন। আল মাবরুর হজ কাফেলার উদ্যোগে গত ১১ সেপ্টেম্বর আগ্রাবাদস্থ কাফেলা কার্যালয়ে পীরে কামেল আল্লামা সৈয়দ তৈয়ব শাহ (রা) এর ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দানকালে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। আল মাবরুর হজ কাফেলার পৃষ্টপোষক ও চেয়ারম্যান খ্যাতিমান আলেমেদ্বীন অধ্যক্ষ আল্লামা আলহাজ্ব জয়নুল আবেদীন জুবাইরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন নেছারিয়া কামিল (এমএ) মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস শায়খুল হাদিস হযরতুলহাজ আল্লামা এনামুল হক সিকদার। আলোচক ছিলেন মাসিক অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী। আল মাবরুর হজ কাফেলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ এএম মঈনউদ্দিন চৌধুরী হালিমের উপস্থাপনায় সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আল মাবরুর হজ কাফেলার পরিচালক আলহাজ্ব আক্কাস উদ্দীন খোন্দকার। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলেমেদ্বীন আলহাজ হাফেজ আবু তাহের, মুহাম্মদ নাছির উদ্দীন, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন, মোহাম্মদ এমদাদুল হক সাইফ, খলিলুর রহমান, জসিম উদ্দীন সোহেল, রাশেদুল আলম,রফিক আহম্মদ, মোহাম্মদ আলতাফ উদ্দীন ফয়সাল, মোহাম্মদ এরশাদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি