আল্লামা মুফতি ওবাইদুল হক নঈমী (র.): এক ক্ষণজন্মা ইসলামী ব্যক্তিত্ব

219

মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভি

বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ব্যক্তিত্ব, দেশের খ্যাতিমান শীর্ষ আলেমেদ্বীন, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া কামিল মাদরাসার শায়খুল হাদিস, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সিলসিলায়ে আলীয়া কাদেরীয়ার অন্যতম মুখপাত্র, আ’লা হযরত ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’র উপদেষ্টা ওস্তাযুল ওলমা আল্লামা মুফতি ওবাইদুল হক নঈমী (র.) গত ১৪ জিলক্বদ ১৪৪১হিজরি ৬ জুলাই ২০২০ খ্রিস্টাব্দ সোমবার ইন্তেকাল করেছেন ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজেউন।
জন্ম ও শিক্ষা: তিনি বার আউলিয়ার স্মৃতি বিজড়িত চট্টগ্রাম জেলার অন্যতম প্রসিদ্ধ অলী হযরত মোহসেন আউলিয়ার স্মৃতিধন্য আনোয়ারা উপজেলায় চাঁপাতলী গ্রামে অলীয়ে কামেল হযরত ভোলা শাহ (র.)’র অধঃস্তন পুরুষ আলোকিত ব্যক্তিত্ব জনাব নুর আহমদ মুনশি আলকাদেরীর ঔরশেই ১৯৪৩ সনে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শিক্ষাজীবন ছিল কৃতিত্বপূর্ণ। গ্রামের মক্তবেই তাঁর পড়ালেখার সূচনা। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম জেলার পাঁচলাইশ থানার ওয়াজেদীয়া আলীয়া মাদরাসায় ভর্তি হয়ে নিয়মাতান্ত্রিক ভাবে দাখিল, আলিম, ফাযিল পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। এবং সরকারী বৃত্তি লাভ করেন। অতঃপর হাদিস ও ফিকহ শাস্ত্রে বিশেষ বুৎপত্তি অর্জনের জন্য পশ্চিম পাকিস্তানের গুজরাটের জামেয়া নঈমীয়া থেকে বিশ^বরেণ্য আলেমেদ্বীন “তাফসীরে নঈমী” এর প্রণেতা হাকিমূল উম্মত আল্লামা মুফতি আহমদ ইয়ার খান নঈমী (র.) এর সান্নিধ্যলাভে ধন্য হয়ে কুরআন সুন্নাহ ও ফিকহশাস্ত্রে প্রজ্ঞা ও পাÐিত্য অর্জন করেন। পূনরায় দেশে এসে ১৯৬৫ সনে ওয়াজেদীয়া আলীয়া মারদাসা হতে কামিল হাদিস সনদ অর্জন করেন। এবং পরবর্তী সনে ঢাকা সরকারী আলীয়া হতে কামিল ফিক্হ সনদ লাভ করেন।
কর্ম জীবন : তিনি ছিলেন অসাধারণ প্রতিভাধর সফল শিক্ষক। তাঁর গোটা কর্মজীবন সাফল্যের ও গৌরবের। ওয়াজেদীয়া আলীয়া মাদরাসায় শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে তার কর্মজীবনের সূচনা। তথায় পূর্ণ একবৎসর শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সনে তাঁরই শিক্ষাগুরু ইমামে আহলে সুন্নাত আল্লামা গাজী আজিজুল হক শেরে বাংলা(র.) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হাটহাজারী আজিজিয়া অদুদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন আল্লামা মুফতি ওকার উদ্দিন বেরলভী এর অনুরোধে সেই মাদরাসায় মুহাদ্দিস পদে কিছুদিন পাঠদান করেন। এরপরই ১৯৬৮ সনে তিনি কুতবুল আউলিয়া আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়দ আহমদ শাহ সিরিকোটি (র.) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়ায় যোগদান করেন। তখন থেকে ইন্তেকালের পূর্ব পর্যন্ত সুদীর্ঘ ৫২ বৎসর তিনি জামেয়ার মুহাদ্দিস পরবর্তীতে শায়খুল হাদীস পদে হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের মাঝে ইলমে হাদিসের আলো বিতরণ করেন একজন প্রখ্যাত হাদিস বিশারদ হওয়ার পরও মুফতি হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছিল বিশ^জুড়ে। তবে মধ্যখানে তিনি দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান শাহ চাঁন্দ আউলিয়া মাদরাসা কর্তৃপক্ষের বিশেষ অনুরোধে ১৯৮০ সনে কামিল ক্লাশ চালু করার লক্ষ্যে এক বৎসর শায়খুল হাদীস হিসেবে দায়িত্ব পালন করে তিনি পূনরায় আপন পীর ও মুর্শিদ আওলাদে রসুল আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (র.)’র নির্দেশক্রমে পূনরায় জামেয়ায় ফিরে আসেন।
জামেয়া, আনজুমান ও মাশায়েখ হযরাতে কেরামের খিদমত : তিনি ছিলেন চর্তুদশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা (র.)’ অনুসৃত মসলকে আ’লা হযরতের এক অন্যতম মূখপাত্র। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র উপর ত্রিশপারা দরুদ শরীফের অদ্বিতীয় গ্রন্থ মজমুওয়ায়ে সালাওয়াতে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র প্রণেতা গাউসে জমান কুতুবে দাওরা খাজায়ে খাজেগান খাজা আবদুর রহমান চৌহরভী (র.) এর প্রধান খলিফা কুতবুল আউলিয়া সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটি (র.) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়ার শিক্ষক প্রতিনিধি। আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য, জামেয়া শরীয়া বোর্ডের প্রধান মুফতি ছিলেন। একজন খ্যাতিমান আলেমেদ্বীন হওয়া সত্বেও তিনি রুহানিয়ত ও আধ্যাত্মিক পূর্ণতা অর্জনের জন্য ১৯৭৬ সনে আওলাদে রসূল গাউসে জমান আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (র.)’র হাতে সিলসিলায়ে আলীয়া কাদেরীয়ায় বায়আত গ্রহণ করেন, তখন থেকে ইন্তেকালের পূর্ব পর্যন্ত তিনি হুযুর কেবলা, জামেয়া, আনজুমান, গাউসিয়া কমিটি ও সিলসিলার প্রচার-প্রসারের কাজে মূখপাত্রের ভূমিকা পালন করেন। তাঁরই আহবানে দেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও আলেম ওলামা ও লক্ষ লক্ষ মুসলমানগন কাদেরীয়া তরীকায় অন্তর্ভূক্ত হন। ১৯৯৩ সনে তাঁর পীর ও মুর্শিদ ইন্তেকালের পরও তিনি বর্তমান দরবারের সাজ্জাদানশীন আওলাদে রসূল গাউসে জমান আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মু.জি.আ.) ও পীরে বাঙ্গাল আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবের শাহ (মু.জি.আ.) সান্নিধ্যে থেকে তিনি এক মূহুর্তের জন্যও পিছপা হননি। মাশায়েখ হযরাতে কেরামের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালবাসা ছিল নিরেট নিখাদ।
সাংগঠনিক জীবন: তিনি ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান। দেশব্যাপী সুন্নী মুসলমানদের ঐক্য সৃষ্টিতে তাঁর অবদান ছিল অনন্য। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সেনার প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক, সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় সুন্নীয়ত প্রতিষ্ঠায় একমাত্র রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার। আহলে সুন্নাত সম্মেলন সংস্থা (ওএসি)’র অন্যতম উপদেষ্টা। আ’লা হযরত ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’র উপদেষ্টা। ১৯৭১ সনে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ইসলাম নামধারী মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধীদের স্বরূপ উন্মোচনে তাঁর শিক্ষাগুরু ইমামে আহলে সুন্নাত আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমীর সাথে একাকার হয়ে তিনি বলিষ্ট ভূমিকা পালন করেন।
সফর ও যিয়ারত : তিনি জীবনে অসংখ্যবার হারামাঈন শরীফাইনে হজ¦ব্রত ও যিয়ারতে মুস্তাফায় গমন করেন। এ ছাড়াও বায়তুল মোকাদ্দাস শরীফ, বাগদাদ শরীফ, আজমীর শরীফ, সিরিকোট শরীফ, চৌহর শরীফ, বেরেলী শরীফসহ পৃথিবীর দেশে দেশে অসংখ্য নবী রসূল, সাহাবায়ে কেরাম ও আউলিয়ায়ে কেরামের যিয়ারতে গমন করেন। দেশ বিদেশের অসংখ্য আন্তর্জাতিক ইসলামি কনফারেন্স, সভা, সমাবেশ, সেমিনার, সিম্পাজিয়ামে তিনি অংশগ্রহণ করে মূল্যবান বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি ওয়াল্ড ইসলামিক মিশন লন্ডন’র অন্যতম সদস্য ছিলেন। তিনি সৌদি আরব, ভারত, পাকিস্তান, রেঙ্গুন, মায়ানমার, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, নেপাল, লন্ডন, ওমান, কাতার, প্যালেস্টাইন ইত্যাদি রাষ্ট্র সফর করেন। ২০০০ সনে ১ ও ২ এপ্রিল পাকিস্তানের মুলতান স্টেডিয়ামে ২দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল সুন্নী কনফারেন্সে তিনি বিশেষ মেহমান হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েচিলেন। জামেয়ার সাবেক অধ্যক্ষ খতীবে বাঙ্গাল আল্লামা জালাল উদ্দিন আলকাদেরী (র.) ও বিশেষ মেহমান হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন। আমিও সেই কনফারেন্সে আ’লা হযরত ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’র পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছিলাম।
লেখালেখি ও গ্র্রন্থ রচনা: তিনি আরবি, উর্দু, ফার্সী ও বাংলা ভাষায় সমান পারদর্শি ছিলেন, উর্দু ও বাংলা ভাষায় তাঁর অসংখ্য প্রবন্ধ, নিবন্ধ, মাসিক তরজুমানে আহলে সুন্নাত, মাসিক জীবন বাতি, মাসিক জ্ঞানের আলো, মদিনার পথে, আল মুখতার, রাহমাতুল্লীল আলামীন ইত্যাদি প্রকাশনায় তাঁর অসংখ্য প্রবন্ধ, নিবন্ধ, অভিমত ও ফতওয়া প্রকাশিত। মিলাদ-কিয়াম ও দরুদ সালাম’র বৈধতার উপর তাঁর প্রামাণ্য গ্রন্থ “দালায়েলুল কিয়ামলে মিলাদে খায়রিল আনাম” তাঁর অনুবদ্য রচনা।
সর্বত্র শোকের ছায়া : দরবারে সিরিকোট শরীফ থেকে শোক প্রকাশ: উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ হাজারা সিরিকোট দরবারে আলিয়া কাদেরীয়ার সাজ্জাদানশীন আওলাদে রাসূল আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মু.জি.আ) ও আওলাদে রাসূল আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ (মু.জি.আ.) শেরে মিল্লাতের ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। হযরাতে কেরাম বলেন, আল্লামা মুফতি নঈমী ছাহেব’র দ্বীনি খিদমতের উপর আউলিয়ায়ে কেরামের সন্তুষ্টি রয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবার বর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। মাননীয় সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবাইদুল কাদের এমপি,মাননীয় তথ্যমন্ত্রী ড.হাসান মাহমুদ এমপি, মাননীয় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, মাননীয় শিক্ষা-উপমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদিশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ীকমিটির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রেল মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির মাননীয় সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রামের মাননীয় মেয়র আলহাজ¦ আ.জ.ম. নাসির উদ্দিন, সাবেক মেয়র জনাব আলহাজ¦ এম মনজুর আলম, , চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, আনজুমান ট্রাস্ট,গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট,আহলে সুন্নাত সম্মেলন সংস্থাসহ দেশের বিভিন্ন দরবারের সাজ্জদানশীনগন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামজিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকতার্, অসংখ্য দরবারের সাজ্জাদনশীনগন পৃথক পৃথক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। এছাড়া ভারতের বেরেলী শরীফের আওলাদে আ’লা হযরত আল্লামা ছোবহান রেযা কাদেরী বেরলভী ছোবহানী মিয়া (মু.জি. আ.), আল্লামা তাওসীফ রেযা খান বেরলভী (ম.জি.আ.) বেরেলী শরীফের মাদরাসা-এ ফয়জানে তাজুশ শরীয়াহ এর শায়খুল হাদীস আল্লামা রাহাত খান কাদেরী (মু.জি.আ.), পকিস্তানের সাবেক ধর্মমন্ত্রী আল্লামা সৈয়দ হামিদ সাঈদ কাযেমী, তুরস্ক থেকে হাকিকত কিতাবেভী বাংলাদেশ’র কান্ট্রি ডাইরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার হাসান সজল,পাকিস্তানের খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব আল্লামা ড. কাউকাব নূরানী ওকাড়বী (মু.জি.আ.) আমেরিকান মুসলিম সেন্টার এর ডাইরেক্টর মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল নওয়াজ, ওআইসি ইন্টারন্যাশনাল ফিকহ একাডেমির বাংলাদেশের প্রধান আল্লামা প্রফেসর ড.আবদুল্লাহ আল মারুফ, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন’র সহকারী পরিচালক মহিম মিজান পাকিস্তান’র উর্দু পত্রিকা “আল খাতিম” এর সম্পাদক আন্তর্জাতিক ইসলামী স্কলার আল্লামা সায়্যিদ সাবের হুসাইন শাহ বুখারীকাদেরী (মু.জি.আ.) ইন্ডিয়া মুসলিম স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনকর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ও জেলা পুলিশ প্রশাসন, ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্স, চট্টগ্রাম আইনজীবি ফোরাম নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষবৃন্দ পৃথক পৃথক শোকবানী প্রেরণ করেছেন।
নামাযে জানাযা ও দাফন : আল্লামা শেরে মিল্লাতের জানায ইন্তেকালের পরদিন অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষনা প্রচার হওয়ায় সরকারের আইন শৃংখলা বাহিনীসহ, বিভিন্ন এজেন্সীর পক্ষ থেকে সোমবার রাতেই জানাযা সম্পন্ন করার প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের অনুরোধের প্রেক্ষিতে মরহুমের পরিবার ও আনজুমান ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ জানাযার পরিবর্তিত সময় সূচি ঘোষনা দেন এ দিন রাত ১২ টায় জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। ২ ঘণ্টার ব্যবধানে ঘোষিত রাত ১২ টায় অনুষ্ঠিত জানাজায় লক্ষ লক্ষ জনতার যে বিশাল উপস্থিত তা তাঁর প্রতি মানুষের অন্তরাত্মার গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ। জামেয়ার অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান ছাহেব’র নির্দেশনায় হুযুরের সাহেবজাদা মাওলানা হামেদ রেযা জানাযার ইমামতি করেন এবং হুযুরের ৩য় ছাহেবজাদা জামেয়ার শিক্ষক মাওলানা কাসেম রেযা মুনাজাত পরিচালনা করেন। বাহরুল উলুম জ্ঞান সমুদ্র আল্লামা নঈমী (র.) শরীয়ত, তরীকত ও সুন্নীয়তের বহুমূখী খিদমত আনজাম দিয়ে মাওলায়ে হাকিকীর সান্নিধ্যে চিরবিদায় নেন। জামেয়া সংলগ্ন কবরস্থানে তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত। মহান আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওসীলায় হযরত কেবলাকেজান্নাতুল ফেরদৌসের সুমহান মর্যাদা নসীব করুন। আমিন বেহুরমাতি সায়্যিদিল মুরসালীন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হুযুরের রুহানী ফুয়ুজাত দান করুন। আমিন।

লেখক : অধ্যক্ষ, ও খতিব: কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ মোমিন রোড, চট্টগ্রাম