আলোচনার আহবান প্রত্যাখ্যান লেবাননের বিক্ষোভকারীদের

108

লেবাননের চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন আলোচনার ডাক দিলেও তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে বিক্ষোভকারীরা। হোয়াটসঅ্যাপে কর আরোপ প্রস্তাবের প্রতিবাদে গণবিক্ষোভের ৮ দিন পর আলোচনার ডাক দেন প্রেসিডেন্ট। তবে ওই প্রস্তাবে সন্তুষ্ট নয় বিক্ষোভকারীরা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর হোয়াটসঅ্যাপ এবং একই ধরনের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসগুলোতে কর আরোপ প্রস্তাবের প্রতিবাদন জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয় আন্দোলনকারীরা। ওই কর আরোপের প্রতিবাদ করতে গিয়ে অর্থনৈতিক সমস্যা, বৈষম্য ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষ ফুঁসে ওঠে। তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি জনগণের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া ও জীবনমানের অবনতির জন্য প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি’র সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আওয়াজ তোলেন। লেবাননের পুরো রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং পার্লামেন্ট ভবন সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষোভে অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ।
এ সময় তারা সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দেয়। শুধু প্রধানমন্ত্রীর দফতরই নয়; তার আবাসিক ভবনের বাইরেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক বছরেরও কম সময় আগে ক্ষমতায় আসা হারিরি-র জোট সরকারের জন্য এ বিক্ষোভকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশ্যে টেলিভিশন ভাষণে লেবানিজদের রক্ষা করতে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে হারিরি সরকার পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক সংকট দূর করার প্রতিশ্রুতি দেন প্রেসিডেন্ট আউন। এ সময় তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের সব ধ্বংস করে দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের প্রতি আমার আহবান, আপনারাদের নির্দিষ্ট দাবিগুলো শুনতে আপনাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আমি প্রস্তুত। অর্থনৈতিক পতনের বিষয়ে আমাদের আশঙ্কার কথাগুলোও আপনারা শুনবেন। সমস্যা সমাধানের সর্বোত্তম উপায় আলোচনা। আমি আপনাদের অপেক্ষায় রইলাম।’
লেবাননের রাজধানী বৈরুতের আন্দোলনকারীরা প্রেসিডেন্টের ওই আহবান প্রত্যাখ্যান করে যেকোনও আলোচনার আগে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছে, ‘এটা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ এটা জনগণের দাবি পরিপূর্ণ করে না। তার বক্তব্য এটা প্রমাণ করে না যে জনগণ সঠিক। আমাদের দাবি পরিষ্কার, সরকারের পতন ছাড়া আর কোনও সমঝোতা নয়।’