আলীকদম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটে লেখাপড়া ব্যাহত

74

পার্বত্য জেলা বান্দরবানের আলীকদম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটে লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান দিয়ে চলছে বিদ্যালয়। ১ জন প্রধান ১জন সহকারী প্রধান ও বিষয়ভিত্তিকসহ ১১ জন সহকারী শিক্ষক পদ থাকলেও, ৬জন সহকারি শিক্ষক দিয়ে চলছে উপজেলার একমাত্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এ ছাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হওয়া সত্বেও উচ্চমান সহকারীর কোন পথ নেই। কম্পিউটার ল্যাব আছে কম্পিউটার শিক্ষক নেই। ১জন অফিস সহকারী ও ৪জন অফিস সহায়কের পদে রয়েছে মাত্র ২জন।
এ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে ইতোপূর্বে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মানববন্ধনসহ কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক বিষয় ভিত্তিক গরুত্বপূর্ণ ইংরেজী, বীজ বিজ্ঞান, ব্যবসা শিক্ষা, কৃষি বিজ্ঞানসহ ৭টি পদে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক নেই। শিক্ষক সংকটে শিক্ষার্থীরা, উদ্বিগ্ন অভিভাবক মহল। অফিস সহায়কসহ অনুমোদিত ১৮টি পদের মধ্যে ১০টি পদে খালী। ফলশ্রæতিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও প্রশাসনিক কাজে চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
১৯৭৬ সালে জুনিয়র হাইস্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি। পরবর্তী সময়ের এটি ধাপে ধাপে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালু করে উচ্চ বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। ১৯৮৯ সালে তৎকালীন সরকার প্রধান প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদ আলীকদম উপজেলায় সরকারি সফরে আসলে বিদ্যালয়ের মাঠে এক জনসভায় বিদ্যালয়টিকে জাতীয় করণের ঘোষণা দেন। বর্তমানে যেখানে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অন্তত পাঁচশতাধিক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে।
সরকারি অনুমোদিত পদ অনুযায়ী বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ ১৩টি শিক্ষকের এবং একজন অফিস সহকারী, ১ জন ও ৪জন অফিস সহায়কের পদ রয়েছে। অনুমোদিত ১৩টি শিক্ষক পদের মধ্যে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ ৭টি পদে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক নেই। সূত্র জানা যায়, বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বিদ্যালয়ে থাকা ৬ জন সহকারী শিক্ষকের মধ্যে একজনকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে হয়। প্রতিদিন ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ৩৫টি বিষয় ভিত্তিক পাঠদান করেন ৫শিক্ষক। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, ইংরেজী, জীব বিজ্ঞান, কৃষি বিজ্ঞানের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষক না থাকায় সব শিক্ষার্থীই সমাস্যায় পড়ছে। বিশেষ করে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে আরো বেশি।