আলীকদমে ৩ আসামি জেলে

33

গত ২০১৮ সালের ২৫নভেম্বর পার্বত্য জেলা বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার আমতলী এলাকায় পালাক্রমে গণধর্ষণের পর হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে ঘটনার মূল আসামীদেরকে তুলে এনে কোর্টে সোপর্দ করেছে আলীকদম থানা পুলিশ। এতে স্বস্তি পাচ্ছে মৃত লাকাচিং তঞ্চঙ্গ্যার স্বজনরা। এ ঘটনায় অপরাধী হিসেবে তিন আসামীকে আটক করা হয়েছে এবং আসামীরা প্রত্যেকেই ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। আটককৃতরা হলেন, উপজেলার বাবু পাড়া এলাকার গোতরাং ত্রিপুরার ছেলে ত্রিমাথিয় ত্রিপুরা(২৫), আমতলী অসথু ত্রিপুরা পাড়া এলাকার মশলমনি তঞ্চঙ্গ্যার ছেলে জয় কুমার ত্রিপুরা (৩৮) ও একই এলাকার রামসিং ত্রিপুরার ছেলে জন ত্রিপুরা(৪৩)। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩ টায় আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ রফিক উল্লাহ তার নিজ কার্যালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং কালে এ তথ্য জানিয়েছেন। ওসি জানান, গত বছরের ২৫নভেম্বর আলীকদম উপজেলার সদর ইউনিয়নের আমতলী অসথু ত্রিপুরা পাড়ায় গাছের সাথে একটি মহিলার লাশ গামছা দিয়ে ঝুলানো থাকার সংবাদ পেয়ে আলীকদম থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে প্রেরণ করি। ময়না তদন্তের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে মৃত লাকাচিং মার্মার বোনের ছেলে ক্যনুমং তঞ্চঙ্গ্যা বাদী হয়ে আমরা একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করে। আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) কানন চৌধুরীকে এই মামলার তদন্তভার প্রদান করা হয়। তিনি এই মামলার সূত্র ধরে তদন্ত কাজ পারিচালন করে এবং গত ১১ মে ত্রিমাথিয় ত্রিপুরা(২৫), ১২ মে, জয় কুমার ত্রিপুরা (৩৮) ও ১৪ মে জন ত্রিপুরাকে (৪৩) বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা করা হয়েছে।
আটককৃত আসামীদের জবানবন্দিতে দেখা যায়, তারা লাকাচিং তঞ্চঙ্গ্যাকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে এবং শ^াসরোধ করে হত্যা করে। এঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্য ধর্ষকরা লাকাচিং এর মৃতদেহ পাহাড়ের ঢালে একটি গাছের সঙ্গে গামছা দিয়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখে। এর আগে গত বছর ২৫ নভেম্বর একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। তবে কোন ক্লু না থাকায় সেসময় মামলায় কাউকে আসামী করা যায়নি।