আলীকদম উপজেলার ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলাকালে দশম শ্রেণির ছাত্রী জুবাইদা আক্তার হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তাকে অজ্ঞান হতে দেখে অষ্টম ও নবম শ্রেণির আরো ৬ ছাত্রী একের পর অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে পড়ে যায়। এ ঘটনায় উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায়। পরক্ষণেই তাদের মাদ্রাসা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গত রবিবার থেকে গতকাল পর্যন্ত এ মাদ্রাসায় ১২ ছাত্রীর অজ্ঞানের ঘটনা ঘটেছে। অজ্ঞান হওয়া ছাত্রীরা হল দশম শ্রেণির জুবাইদা আক্তার, নবম শ্রেণির মিনা আক্তার, অষ্টম শ্রেণির তাছলিমা আক্তার, সাদিয়া জান্নাত, জ্যোৎস্না আক্তার, শাহিন আক্তার ও ৫ম শ্রেণির আসমাউল হুসনা।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সায়েদ ইকবাল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী রকিব উদ্দীন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দীনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার থেকে ছাত্রীদের হঠাৎ অজ্ঞান হওয়া শুরু হয়। রবিবার দুপুরে হঠাৎ একজন ছাত্রী অজ্ঞান হয়। গত সোমবার ৭ম ও ৮ম শ্রেণির ২ জন, মঙ্গলবারে ২ জন এবং সর্বশেষ গতকাল বুধবার একসাথে ৭ জন অজ্ঞান হয়।
আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শহিদুর রহমান জানান, এটি ‘ম্যাস হিস্টিরিয়া’ রোগ হতে পারে। এ ধরনের রোগ হলে বিশেষ করে ছাত্রীরা হঠাৎ করে মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। মানসিক ও আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের রোগ হয়।
