আলীকদমে দেখা দিয়েছে গরুর লাম্পি স্কিন রোগ

499

পার্বত্যজেলা বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার গ্রামাঞ্চলে দেখা দিয়েছে গরুর লাম্পি স্কিন রোগ (এলএসডি)। গত এক মাসে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১০০ টি গরু। এ রোগের প্রতিষেধক না থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন গরুর মালিকরা। তবে সঠিক চিকিৎসা ও গোয়ালঘর পরিস্কার পরিছন্ন রাখলেই মিলছে সুফল। উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, মশা-মাছি ও কীটপতঙ্গের মাধ্যমে এ প প পরাগ গরুর শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। গরুর গোয়ালের চারপাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং দরকার হলে মশারি টাঙিয়ে দিয়ে চারিপাশ সুরক্ষিত রাখতে হবে। স্বাভাবিকত আক্রান্ত গরুকে কামড়ানো মশা-মাছির কামড়েই এই রোগ অন্য গরুর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলায় ইতোমধ্যে প্রায় ১০০টি গরুর এলএসডি’র চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর বাইরেও এলএসডি আক্রান্ত গরু থাকতে পারে। আক্রান্ত হওয়া প্রতিটি গরু’ই প্রপার চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠছে। আমার জানামতে এ পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কোনো গরু মারা যায়নি। উপজেলা সদরের গরুর মালিক ছাবের আহামদ জানান, গত মাসখানেক আগে তার গাভীর গর্দানে একটি ফোস্কার মতো উঠে। পরে সেটির চামড়া উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়।
খাওয়া বন্ধ করে দেয় গাভীটি। স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাওয়ানোর পর গাভিটি সুস্থ হয়। এর কয়েকদিন পর চারমাস বয়সী বাচুরের সারা শরীরে ফোস্কার মতো উঠে। বাচুরটি দুধ খাওয়া বন্ধ করে দেয়। পরে প্রাণীসম্পদ অফিসে নিয়ে গেলে জানা যায়, এ রোগের নাম এলএসডি। বর্তমানে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ইনজেকশান প্রয়োগ করায় গরু বাচুরটি সুস্থ হয়ে উঠছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, মশা-মাছি ও পোকার মাধ্যমে ছড়ায় এই লাম্পি স্কিন রোগ। এ রোগে আক্রান্ত গরুর শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। গরু খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি গরুর শরীরে বসন্তের মতো গুটি গুটি চাকা দেখা দেয়। সে সময়ে সটিকভাবে চিকিৎসা না দিলে এ গোটাটি ফেটে গিয়ে পুঁজ বের হয়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রূপম চন্দ্র মহন্ত বলেন, গরুর এ রোগটি শুধু আলীকদমে নয়, সারাদেশে দেখা দিয়েছে। এ রোগের টিকা আমাদের দেশে নেই। আক্রান্ত গরুকে মশা-মাছি থেকে দূরে রাখতে হবে এবং গোয়ালঘর পরিস্কার পরিছন্ন রাখতে হবে। তবে সঠিক চিকিৎসা নিলে এ রোগ ভালো হয়ে যায়। খামারীদের এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।