আলীকদমে খাল পুনঃখনন কাজে স্থানীয়দের হয়রানি

57

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন আলীকদম বাসস্টেশন সংলগ্ন মোস্তকপাড়া ঝিরি (খাল) পুনঃ খনন কাজের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রায় অর্ধ কোটি কাটার প্রকল্পে কাজ চলছে ঠিকাদার প্রতিনিধির মর্জিমাফিক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন সুপারভাইজিং নেই মাঠ পর্যায়ে। প্রায় ১.৩৪৫ কি.মি. খাল পুনঃখনন প্রকল্পভুক্ত খালের দুইপাশের বাড়ি-ঘর, মুল্যবান ভ‚-সম্পদ, ফলজ গাছ অধিগ্রহণ/দখলমুক্ত করার প্রয়োজন হলে মালিকদের নোটিশ/কর্তৃপক্ষের বৈঠকের মাধ্যমে পূর্বেই অবহিত করার বিধান থাকলেও প্রয়োজন মনে করেনি কর্তৃপক্ষ। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঠিকাদার প্রতিনিধি আনোয়ার তেল খরচের নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। টাকা দিলে অবৈধ স্থাপনা হলেও এড়িয়ে যাচ্ছেন আর টাকা না দিয়ে গুঁডিয়ে দিচ্ছেন মানুষের মূল্যবান ভ‚-সম্পদ, চলাচলের পথ ও গাছপালা।
বান্দরবান-ডাবিøউ-০২/২০১৮-১৯নং প্যাকেজের আওতায় ৪১.৭৭লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বান্দরবান বিভাগ। প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় পাশের বাড়ির মূল্যবান অনেক গাছপালা কেটে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে টাকা না দেওয়া মাটি ফেলায় প্রচুর জায়গা থাকা সত্তে¡ও প্রকল্পের পশ্চিম তীরে মাটি ফেলা হয়েছে। আর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পাশের অবৈধ স্থাপনায় মাটি ভরাট করে দিচ্ছে সরকারি খাস জমি দখল করে নির্মিত বাড়িতে। ঝিরি পর্যন্ত অবৈধভাবে দখল করে নির্মিত টয়লেটের ম্যানহোল ভাঙ্গার প্রয়োজন মনে করেনি ঠিকাদারকে খুশি করেছে বলে। অথচ রাস্তা নয় পার্শ্ববর্তী তিনটি বাড়ির মানুষ ও এলাকার প্রায় ৫০/৬০জন স্কুল-মাদরাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের চলাচলের পথ কেটে দিয়েছে অনেকবার অনুরোধ করা সত্তে¡ও। এ ব্যাপারে ঠিকাদার মো. রমজানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে সাংবাদিকদের সাথে অশালীন ভাষায় কথা বলেন এবং হুমকি প্রদর্শন করেন। ঠিকাদার প্রতিনিধি আনোয়ারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নগদ টাকা নয় তেল খরচ চাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, না দিলে জোর নেই।