আরেকটি খারাপ সপ্তাহ পার করল পুঁজিাবাজার

26

আরেকটি খারাপ সপ্তাহ পার করল বাংলাদেশের পুঁজিাবাজার। পাঁচ দিনের লেনদেনে তিন দিনই সূচক পড়েছে। সপ্তাহের শেষ দিন গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ দশমিক ১৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৩৮৪ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে। ৪১৫ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গত বুধবার লেনদেনের অংক ছিল ৫১০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৮৭ দশমিক ২৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ৪০৪ পয়েন্টে। ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গত বুধবার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২০ কোটি ২২ লাখ টাকা। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সোম ও মঙ্গলবার- দুই দিনে ডিএসইএক্স যতোটা উঠেছিল; বুধবার একদিনেই তা পড়ে যায়।
টানা সাত কর্মদিবস পতনের পর চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সোমবার ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়েছিল। মঙ্গলবার বাড়ে ৩১ পয়েন্ট। বুধবার তা ৫৬ পয়েন্টের বেশি কমে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবারও কমেছে ২৫ পয়েন্টের বেশি। সবমিলিয়ে সপ্তাহের পাঁচ দিনের লেনদেনে তিন দিনই সূচক পড়েছে। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে লেনদেনও কমেছে। জানুয়ারিতে বড় ধসের পর পুঁজিবাজার জাগাতে গত ১০ ফেব্রূয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার আওতায় ব্যাংকগুলোকে ‘বিশেষ তহবিল’ গঠনের সুযোগ দেওয়ার পর থেকে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। টানা কয়েক দিন লেনদেনের পাশাপাশি সূচকও বাড়ে। বাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছিল। কিন্তু ২৪ ফেব্রূয়ারি থেকে বাজারে ফের লেনদেন ও সূচক কমতে শুরু করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএসইতে অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ্ সূচক ৭ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৫ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ৭ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪৬২ পয়েন্টে। লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৫৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৫ টির। কমেছে ২১৩ টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টি কোম্পানির শেয়ার দর।
অন্যদিকে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৪৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬০ টির, কমেছে ১৬২ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১ টির দর। খবর বিডিনিউজের